প্রোফেসর শঙ্কু (ছোটোগল্প সংকলন)
প্রোফেসর শঙ্কু হল সত্যজিৎ রায়ের লেখা নয়টি কল্পবিজ্ঞান ছোটোগল্পের একটি সংকলন। এই গল্পগুলির উপজীব্য বিষয় হল সত্যজিৎ-সৃষ্ট বিজ্ঞানী প্রোফেসর শঙ্কুর বিভিন্ন অভিযান। ১৯৬৫ সালে নিউ স্ক্রিপ্ট থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।[১]
লেখক | সত্যজিৎ রায় |
---|---|
অঙ্কনশিল্পী | সত্যজিৎ রায় |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধারাবাহিক | প্রোফেসর শঙ্কু |
ধরন | কল্পবিজ্ঞান ছোটোগল্প |
প্রকাশক | নিউ স্ক্রিপ্ট আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৬৭ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৭৩ |
পরবর্তী বই | প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা |
প্রোফেসর শঙ্কু বইয়ের প্রথম সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলি হল: "ব্যোমযাত্রীর ডায়রি", "প্রোফেসর শঙ্কু ও হাড়", "প্রোফেসর শঙ্কু ও ম্যাকাও", "প্রোফেসর শঙ্কু ও ঈজিপ্সীয় আতঙ্ক", "প্রোফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুল", "প্রোফেসর শঙ্কু ও গোলক রহস্য" ও "প্রোফেসর শঙ্কু ও চী চিং"। দ্বিতীয় সংস্করণে "প্রোফেসর শঙ্কু ও খোকা" ও "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্প দু-টি যুক্ত হয়।[১]
প্রথম সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিতীয় সংস্করণে সংযোজিত অতিরিক্ত গল্প দু-টি ১৯৬৬ ও ১৯৬৭ সালে উক্ত পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়।[২]
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাপ্রোফেসর শঙ্কু-কেন্দ্রিক কল্পবিজ্ঞান ছোটোগল্পগুলি সত্যজিৎ রায়ের মৌলিক সৃষ্টি হলেও তার বাবা সুকুমার রায়ের লেখা দু-টি গল্পের মধ্যে এই বিজ্ঞানী চরিত্রটির পূর্বাভাস লক্ষ্য করা যায়। এই গল্প দু-টি হল "হেশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়রি" ও "নিধিরাম পাটকেল"।[৩] অভিনেত্রী অপর্ণা সেনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সত্যজিৎ রায় জানিয়েছিলেন:[৩][৪]
শঙ্কু যখন প্রথম evolve [বিকশিত হয়] করে, তখন শঙ্কু was a slightly comic character [ছিল একটি সামান্য কমিক চরিত্র]. It was take off on science fiction [এটি কল্পবিজ্ঞান থেকে শুরু হয়েছিল]. সেটার উৎস ছিল আমার বাবার লেখা ‘হেশপ্রাম হুঁশিয়ারের ডায়রি’।
প্রকাশনার ক্রম
সম্পাদনাপ্রোফেসর শঙ্কু ছোটোগল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে নিম্নোক্ত ক্রমে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়:
শিরোনাম | প্রকাশনার তারিখ | কাহিনি-সারাংশ | সূত্র |
---|---|---|---|
"ব্যোমযাত্রীর ডায়রি" | আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ ১৩৬৮ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ; তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত) | প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু তার চাকর প্রহ্লাদ, পোষা বিড়াল নিউটন ও রোবট বিধুশেখরকে নিয়ে নিজের তৈরি একটি রকেটে চড়ে মঙ্গল গ্রহে উপস্থিত হন। অবতরণের দু ঘণ্টা পরেই মঙ্গলের মাছ-সদৃশ প্রাণীদের আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে তারা রকেটে ফিরে আসতে বাধ্য হন। রকেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাশূন্যে যাত্রা করে। কিন্তু পৃথিবীতে ফেরার পথ হারিয়ে রকেট সৌরজগতের অজানা কোনও এক দিকে পাড়ি দেয়। তিন বছর বাদে তারা উপস্থিত হন টাফা নামে এক গ্রহে। সেই গ্রহের বাসিন্দারা হল অতিকায় পিঁপড়ের আকৃতি-বিশিষ্ট বুদ্ধিহীন এক শ্রেণির বাংলা-জানা আদিম মানুষ। তারা শঙ্কুকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে সেই গ্রহে রেখে দেয়। ল্যাবরেটরির অভাবে শঙ্কুর বৈজ্ঞানিক গবেষণাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনিও সেই গ্রহেই থেকে যেতে বাধ্য হন। | [২][৫][৬] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিষ মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৫৯
- ↑ ক খ সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিষ মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৯২
- ↑ ক খ বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যের ইতিহাস ও বিবর্তন (১৯৫০-২০০০), ড. মহুয়া ভট্টাচার্য গোস্বামী, পত্রলেখা, কলকাতা, ২০১১ সংস্করণ, পৃ. ১৮১
- ↑ অপর্ণা সেন গৃহীত সত্যজিৎ রায়ের সাক্ষাৎকার, সানন্দা, ৩১ জুলাই, ১৯৮৬
- ↑ বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যের ইতিহাস ও বিবর্তন (১৯৫০-২০০০), ড. মহুয়া ভট্টাচার্য গোস্বামী, পত্রলেখা, কলকাতা, ২০১১ সংস্করণ, পৃ. ১৮২
- ↑ শঙ্কু সমগ্র, সত্যজিৎ রায়, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ২০০২, পৃ. ২০
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- "ব্যোমযাত্রীর ডায়রি" গল্পপাঠ – রেডিও মির্চি ৯৮.৩ এফএম