মহাকাশযান
মহাকাশযান এক ধরনের যান বা যন্ত্র যা মহাকাশযাত্রার জন্য বিশেষ নকশায় তৈরি করা হয়। এগুলিকে বাংলায় মহাশূন্যযান, নভোযান, নভোখেয়াযান, অন্তরীক্ষযান, ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হতে পারে। কখনও কখনও মহাকাশযান পৃথিবী থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বহিঃস্থ মহাশূন্যে প্রবেশ করে এবং পরে আবার পৃথিবীতে তথা ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে; এক্ষেত্রে উৎক্ষিপ্ত মহাকাশযান মহাকাশ সফরকালে একটি পূর্ণ কক্ষপথ তৈরি করতে পারেনা বিধায় এর গতিপথকে উপকক্ষীয় মহাশূন্য উড্ডয়ন বলা হয়ে থাকে। কক্ষীয় মহাশূন্য উড্ডয়নের ক্ষেত্রে মহাকাশযানটি গ্রহের চারদিকে একটি বদ্ধ কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং একে কেন্দ্র করে আবর্তন করতে থাকে। আবার রোবট নিয়ন্ত্রিত মহাশূন্য অভিযানের জন্য ব্যবহৃত মহাকাশযানগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা রোবটের মাধ্যমে দূর-নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলে। রোবট নিয়ন্ত্রিত মহাকাশযানের মধ্যে যেগুলো গ্রহের কক্ষপথ ছাড়িয়ে অসীম মহাশূন্যের দিকে যাত্রা করে তাদেরকে মহাকাশ সন্ধানী যান বলা হয়। এরকম একটির নাম নিউ হরাইজনস্। আর যেগুলো কোন গ্রহের কক্ষপথে আবর্তনরত থাকে তাদের বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ।
মহাকাশযানের গতিসম্পাদনা
বর্তমানে মহাকাশযানের যে গতি তা দিয়ে মহাবিশ্বের বিরাট ব্যাপ্তিতে ভ্রমণ অসম্ভব। এজন্য মানুষকে তাদের সৃষ্ট মহাকাশযানের গতি বাড়াতে হবে। হিস্টরি চ্যানেলের দ্য ইউনিভার্স নামক ধারাবাহিক প্রামাণ্য চিত্রে মহাকাশযানের গতি বৃদ্ধির কয়েকটি উপায়ের উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হল:
- সূর্যের বিকিরণ চাপকে কাজে লাগিয়ে সৌর পাল
- র্যামজেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন সংযোজন বিক্রিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো।
- কণা-প্রতিকণা সংঘর্ষের মাধ্যমে উৎপাদিত শক্তি ব্যবহার করা।
- স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দিয়ে দূরবর্তী স্থানকেই কাছে নিয়ে আসা।
- ট্যাকিয়ন নামক তাত্ত্বিক অতিপারমাণবিক কণার আলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে ভ্রমণের প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করা।