পেপে রেইনা
হোসে মানুয়েল "পেপ" রেইনা পায়েজ (স্পেনীয় উচ্চারণ: [xoˈse maˈnwel ˈpepe ˈreina ˈpa.eθ]; জন্ম: ৩১ আগস্ট ১৯৮২) হলেন একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি সিরি এ ক্লাব নাপোলি এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে একজন গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হোসে মানুয়েল রেইনা পায়েজ[১] | ||
জন্ম | ৩১ আগস্ট ১৯৮২ | ||
জন্ম স্থান | মাদ্রিদ, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)[২] | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | নাপোলি | ||
জার্সি নম্বর | ২৫ | ||
যুব পর্যায় | |||
ইএফ মাদ্রিদ ওয়েস্তে | |||
১৯৯৮–১৯৯৯ | বার্সেলোনা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৯৯ | বার্সেলোনা সি | ৩ | (০) |
১৯৯৯–২০০০ | বার্সেলোনা বি | ৪১ | (০) |
২০০০–২০০২ | বার্সেলোনা | ৩০ | (০) |
২০০২–২০০৫ | ভিয়ারিয়াল | ১০৯ | (০) |
২০০৫–২০১৪ | লিভারপুল | ২৮৫ | (০) |
২০১৩–২০১৪ | → নাপোলি (ধার) | ৩০ | (০) |
২০১৪–২০১৫ | বায়ার্ন মিউনিখ | ২ | (০) |
২০১৫– | নাপোলি | ১০৯ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
১৯৯৮–১৯৯৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ | ৯ | (০) |
১৯৯৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ | ২ | (০) |
২০০০ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৮ | ১ | (০) |
২০০০–২০০৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ২০ | (০) |
২০০৫– | স্পেন | ৩৬ | (০) |
২০০০ | কাতালোনিয়া | ১ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১০ মে ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
তিনি হচ্ছেন বার্সেলোনা এবং আতলেতিকো মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক মিগেল রেইনার পুত্র। পেপে রেইনা বার্সেলোনার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফুটবল জগতে পদার্পণ করেন। তিনি ২০০০–০১ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় অভিষেক করেন। অতঃপর ২০০২ সালে তিনি লা লিফার অন্য এক ক্লাব ভিয়ারিয়ালে যোগদান করেন, যেখানে তিনি ২টি উয়েফা ইন্তেরততো কাপ শিরোপা জয়লাভ করেন। তিনি ভিয়ারিয়ালে ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেন। অতঃপর ২০০৫ সালে, রেইনা প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব লিভারপুলে যোগদান করেন এবং উয়েফা সুপার কাপে খেলার মাধ্যমে অভিষেক করেন, যেটি লিভারপুল জয়লাভ করে। তার খেলা দিয়ে তিনি ক্লাবটির গোলরক্ষকের জন্য প্রথম পছন্দে পরিণত হন এবং এফএ কমিউনিটি শিল্ড ও এফএ কাপে ক্লাবটির হয়ে মূল একাদশে নিয়মিত খেলেন। তিনি ২০০৬ সালে এফএ কাপের ফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের নেওয়া ৫টি পেনাল্টির ৪টি ঠেকিয়ে দেন। ২০০৭ সালে, তিনি লিভারপুলের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেন, এর মাধ্যমে তিনি তার বাবার মতো সাফল্য অর্জন করেছিলেন, কিন্তু লিভারপুল এসি মিলানের কাছে হেরে যায়।
ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক
সম্পাদনা- ৯ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[৩]
স্পেন | ||
---|---|---|
সাল | উপস্থিতি | গোল |
২০০৫ | ২ | ০ |
২০০৬ | ৩ | ০ |
২০০৭ | ৪ | ০ |
২০০৮ | ৩ | ০ |
২০০৯ | ৭ | ০ |
২০১০ | ২ | ০ |
২০১১ | ৩ | ০ |
২০১২ | ২ | ০ |
২০১৩ | ৫ | ০ |
২০১৪ | ২ | ০ |
২০১৫ | ০ | ০ |
২০১৬ | ১ | ০ |
২০১৭ | ২ | ০ |
মোট | ৩৬ | ০ |
সম্মাননা
সম্পাদনাক্লাব
সম্পাদনা- লিভারপুল[৪]
- উয়েফা সুপার কাপ: ২০০৫
- এফএ কাপ: ২০০৫–০৬
- ইএফএল কাপ: ২০১১–১২
- এফএ কমিউনিটি শিল্ড: ২০০৬
- নাপোলি[৪]
- কোপা ইতালিয়া: ২০১৩–১৪
- বায়ার্ন মিউনিখ[৪]
- বুন্দেসলিগা: ২০১৪–১৫[৫]
আন্তর্জাতিক
সম্পাদনা- স্পেন[৪]
- স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬
ব্যক্তিগত
সম্পাদনা- প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন গ্লাভ: ২০০৫–০৬, ২০০৬–০৭, ২০০৭–০৮
- লিভারপুল মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়: ২০০৯–১০
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড লিভারপুল মাসের সেরা খেলোয়াড়: ডিসেম্বর ২০১০
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "FIFA World Cup South Africa 2010: List of Players" (পিডিএফ)। Fédération Internationale de Football Association (FIFA)। ৪ জুন ২০১০। পৃষ্ঠা 29। ১৭ মে ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Josè ManuelReina"। SSC Napoli (ইতালীয় ভাষায়)। ৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Pepe Reina"। European Football। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ "Pepe Reina"। Soccerway। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Gladbach wieder Dritter - FC Bayern ist Meister" [Gladbach third again - FC Bayern are champions] (জার্মান ভাষায়)। kicker। ২৬ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Official website of Pepe Reina (ইংরেজি) (স্পেনীয়)
- পেপে রেইনা – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- Premier League profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জুন ২০১৩ তারিখে
- সকারবেসে পেপে রেইনা (ইংরেজি)
- বিডিফুটবলে পেপে রেইনা (ইংরেজি)