ক্যাম্পেওনাতো নাসিওনাল দে লিগা দে প্রিমেরা দিভিসিওন, যা প্রিমেরা দিভিসিওন [pɾiˈmeɾa ðiβiˈsjon] বা লা লিগা [la ˈliɣa] নামে পরিচিত, স্পেনের লিগা নাসিওনাল দে ফুতবল প্রফেসিওনাল (এলএফপি)-এর শীর্ষ পর্যায়ের পেশাদারী ঘরোয়া ফুটবল লিগ। স্পনরশিপ সংক্রান্ত কারণে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটিকে বর্তমানে নামকরণ করা হয়েছে লালিগা ইএ স্পোর্টস ( LALIGA EA SPORTS)। এই লিগে ২০টি দলের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়এবং সর্বনিম্ন স্থান অধিকারী ৩টি দলকে অবনমন করে সেহুন্দা দিভিসিওন-এ প্রেরণ করা হয়। পরিবর্তে সেহুন্দা দিভিসিওনের শীর্ষ ৩ দলকে প্রিমেরা দিভিসিওনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

লা লিগা
সংগঠকলিগা দে ফুটবল প্রফেশনাল
(লা লিগা)
স্থাপিত১৯২৯; ৯৪ বছর আগে (1929)
দেশস্পেন স্পেন
কনফেডারেশনউয়েফা
দলের সংখ্যা২০
লিগের স্তর
অবনমিতসেহুন্দা ডিভিশন
ঘরোয়া কাপকোপা দেল রে
স্পেনীয় সুপার কাপ
আন্তর্জাতিক কাপউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
উয়েফা ইউরোপা লিগ
উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ
বর্তমান চ্যাম্পিয়নবার্সেলোনা (২৭তম শিরোপা)
(২০২২–২৩)
সর্বাধিক শিরোপারিয়াল মাদ্রিদ (৩৫টি শিরোপা)
সর্বাধিক ম্যাচস্পেন আন্দোনি জুবিজারেতা
(৬২২ ম্যাচ)
শীর্ষ গোলদাতাআর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি
(৪৭৪ গোল)
সম্প্রচারকসম্প্রচারকের তালিকা
ওয়েবসাইটlaliga.es
২০২৩–২৪ লা লিগা

এ পর্যন্ত ৬২টি দল লা লিগা খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তন্মধ্যে নয়টি দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৫০-এর দশক থেকে এ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব এ প্রতিযোগিতায় একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। রিয়াল মাদ্রিদ সর্বোচ্চ ৩৫ বার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

এপ্রিল, ১৯২৭ সালে হোসে মারিয়া আচা নামীয় গোটশে দলের পরিচালক প্রথম স্পেনের জাতীয় লিগ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাবনা করেন। অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা, কোন কোন দল অংশগ্রহণ করবে ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় নিয়ে অনেক বিতর্কের পর রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন লিগ পদ্ধতি প্রবর্তনে সায় দেয়। সংস্থাটি ১০ দল নিয়ে ১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রিমেরা দিভিসিওনের প্রচলন ঘটায়। কোপা দেল রেই প্রতিযোগিতার পূর্বতন বিজয়ী দলসমূহ - বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাথলেটিক বিলবাও, রিয়াল সোসিয়েদাদ, আরেনাস ক্লাব দে গেটশো-কে নির্বাচিত করা হয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, এস্পানিওল এবং ইউরোপা - এ তিনটি দল কোপা দেল রে'র রানার্স-আপ হিসেবে ও নক-আউটভিত্তিক প্রতিযোগিতা থেকে রেসিং ক্লাব দে সান্তান্দেরর লিগে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।

তন্মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং অ্যাথলেটিক বিলবাও - এ তিনটি দল লা লিগা প্রতিযোগিতা আয়োজনের পর থেকে অদ্যাবধি অবনমনের হাত থেকে বেচে রয়েছে।

প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা

দ্বৈত রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতার রূপরেখা প্রণীত হয়েছে। মৌসুমের মেয়াদ সেপ্টেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত। প্রত্যেকটি দল একে-অপরের বিরুদ্ধে নিজ মাঠ ও অন্যের মাঠে খেলবে। ৩৮ খেলায় অংশ নিবে প্রত্যেক দল। জয়ের জন্যে দল পাবে ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ে ১ পয়েন্ট এবং পরাজিত হলে কোনরূপ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে না। দলীয় অবস্থান নির্ধারিত হবে সর্বমোট পয়েন্টের মাধ্যমে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট লাভকারী দল চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করবে। যদি কোন কারণে সর্বোচ্চ পয়েন্ট দুই বা ততোধিক দলের মাঝে সীমাবদ্ধ হয় তাহলে নিম্নরূপ নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে। নিয়মগুলো হলো :[১]

  • যদি সকল দল একে-অপরের বিরুদ্ধে দুইবার খেলায় অংশ নেয় তাহলে -
    • যদি দুই দলের মধ্যে টাই হয়, তাহলে একে-অপরের বিরুদ্ধে গোল পার্থক্য প্রযোজ্য হবে (বাইরের মাঠে গোল এ নিয়মের বাইরে)
    • যদি দুই দলের বেশি টাই হয়, তাহলে টাই ভাঙ্গা হবে একে-অপরের বিরুদ্ধে খেলার ফলাফল হবে -
      • একে-অপরের বিরুদ্ধে অর্জিত পয়েন্ট
      • একে-অপরের বিরুদ্ধে গোল পার্থক্য
      • একে-অপরের বিরুদ্ধে গোল করা

প্রিমেরা দিভিসিওন এবং সেহুন্দা দিভিসিওনের মধ্যে উত্তরণ ও অবনমন পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। লা লিগার সর্বনিম্ন স্থান অধিকারী দলগুলোকে সেহুন্দা দিভিসিওনে পাঠানো হয়। অন্যদিকে সেহুন্দা দিভিসিওন থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি এবং ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী দলগুলোর মধ্যে প্লে-অফ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শীর্ষস্থানের দলটিকে প্রিমেরা দিভিসিওন উত্তরণ ঘটানো হয়।

ক্লাব সমূহ সম্পাদনা

দল অবস্থান ২০২২–২৩ মৌসুম প্রিমেরা দিভিসিওনে প্রথম মৌসুম প্রিমেরা দিভিসিওনে মৌসুম সংখ্যা বর্তমান দফায় প্রথম মৌসুম বর্তমান দফায় মৌসুম সংখ্যা প্রিমেরা দিভিসিওন শিরোপার সংখ্যা সর্বশেষ শিরোপা
আলাভেস ভিতোরিয়া-ইয়াসতেজ ৪র্থ (সেহুন্দা দিভিসিওন) ১৯৩০–৩১ ১৭ ২০২৩–২৪
আলমেরিয়া আলমেরিয়া ১৭তম ২০০৭–০৮ ২০২২–২৩
অ্যাথলেটিক বিলবাও বিলবাও ৮ম ১৯২৯ ৯৩ ১৯২৯ ৯৩ ১৯৮৩–৮৪
আতলেতিকো মাদ্রিদ মাদ্রিদ ৩য় ১৯২৯ ৮৭ ২০০২–০৩ ২২ ১১ ২০২০–২১
বার্সেলোনা বার্সেলোনা ১ম ১৯২৯ ৯৩ ১৯২৯ ৯৩ ২৭ ২০২২–২৩
কাদিস কাদিস ১৪তম ১৯৭৭–৭৮ ১৬ ২০২০–২১
সেলতা ভিগো ভিগো ১৩তম ১৯৩৯–৪০ ৫৮ ২০১২–১৩ ১২
হেতাফে হেতাফে ১৫তম ২০০৪–০৫ ১৯ ২০১৭–১৮
জিরোনা জিরোনা ১০ম ২০১৭–১৮ ২০২২–২৩
গ্রানাদা গ্রানাদা ১ম (সেহুন্দা দিভিসিওন) ১৯৪১–৪২ ২৭ ২০২৩–২৪
লাস পালমাস লাস পালমাস ২য় (সেহুন্দা দিভিসিওন) ১৯৫১–৫২ ৩৫ ২০২৩–২৪
মায়োর্কা পালমা ৯ম ১৯৬০–৬১ ৩১ ২০২১–২২
ওসাসুনা পামপ্লোনা ৭ম ১৯৩৫–৩৬ ৪১ ২০১৯–২০
রায়ো ভায়েকানো মাদ্রিদ ১১তম ১৯৭৭–৭৮ ২১ ২০২১–২২
রিয়াল বেতিস সেভিয়ে ৬ষ্ঠ ১৯৩২–৩৩ ৫৮ ২০১৫–১৬ ১৯৩৪–৩৫
রিয়াল মাদ্রিদ মাদ্রিদ ২য় ১৯২৯ ৯৩ ১৯২৯ ৯৩ ৩৫ ২০২১–২২
রিয়াল সোসিয়েদাদ সান সেবাস্তিয়ান ৪র্থ ১৯২৯ ৭৭ ২০১০–১১ ১৪ ১৯৮১–৮২
সেভিয়া সেভিয়ে ১২তম ১৯৩৪–৩৫ ৭৯ ২০০১–০২ ২৩ ১৯৪৫–৪৬
ভালেনসিয়া ভালেনসিয়া ১৬তম ১৯৩১–৩২ ৮৯ ১৯৮৭–৮৮ ৩৬ ২০০৩–০৪
ভিয়ারিয়াল ভিয়ারিয়াল ৫ম ১৯৯৮–৯৯ ২৪ ২০১৩–১৪ ১১

ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা সম্পাদনা

প্রতি মৌসুমে লা লিগার র্শীর্ষ চার দল সরাসরি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ৫ম ও ৬ষ্ঠ দল উয়েফা ইউরোপা লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায়। ৭ম দল সুযোগ পায় উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের রথম রাউন্ডে খেলার সুযোগ।

প্রিমেরা দিভিসিওনে সাফল্যের পাশাপাশি ভালেনসিয়া, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বাধিক সাফল্যমণ্ডিত দল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ চারটি দল স্পেনের দল হিসেবে পাঁচ বা ততোধিক আন্তর্জাতিক ট্রফি লাভে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও দলগুলো ইউরোপের সর্বমোট ট্রফি লাভের শীর্ষ দশ দলের তালিকায় স্থান পেয়েছে।[২] ২০০৫-০৬ মৌসুমে বার্সেলোনা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং সেভিয়া উয়েফা কাপ জয় করেছে। প্রাইমেরা ডিভিশন প্রথম লিগ হিসেবে ইউরোপে ১৯৯৭ সালের পর এ দ্বৈত শিরোপা লাভকারী লিগ।

ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় লা লিগা অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে। ইউরোপীয় লিগগুলোর উপর উয়েফা র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এ লিগের স্থান বর্তমানে শীর্ষস্থানে। গত পাঁচ বছর ধরে লা লিগা'র অবস্থান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং জার্মানির বুন্দেসলিগার উপরে।[৩]

বিজয়ী দল সম্পাদনা

ক্লাবসমূহের পারফরম্যান্স সম্পাদনা

ক্লাব বিজয়ী দল রানার্স আপ বিজয়ী মৌসুম
রিয়াল মাদ্রিদ
৩৫
২৪
১৯৩১-৩২, ১৯৩২-৩৩, ১৯৫৩-৫৪, ১৯৫৪-৫৫, ১৯৫৬-৫৭, ১৯৫৭-৫৮, ১৯৬০-৬১, ১৯৬১-৬২, ১৯৬২-৬৩, ১৯৬৩-৬৪, ১৯৬৪-৬৫, ১৯৬৬-৬৭, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৬৮-৬৯, ১৯৭১-৭২, ১৯৭৪-৭৫, ১৯৭৫-৭৬, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৭৮-১৯, ১৯৭৯-৮০, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭, ১৯৮৭-৮৮, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৬-৯৭, ২০০০-০১, ২০০২-০৩, ২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮, ২০১১-১২, ২০১৬-১৭, ২০১৯-২০, ২০২১–২২
বার্সেলোনা
২৭
২৭
১৯২৯, ১৯৪৪-৪৫, ১৯৪৭-৪৮, ১৯৪৮-৪৯, ১৯৫১-৫২, ১৯৫২-৫৩, ১৯৫৮-৫৯, ১৯৫৯-৬০, ১৯৭৩-৭৪, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯০-৯১, ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৭-৯৮, ১৯৯৮-৯৯, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১২-১৩, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০২২–২৩
আতলেতিকো মাদ্রিদ
0১১
0১০
১৯৩৯-৪০, ১৯৪০-৪১, ১৯৪৯-৫০, ১৯৫০-৫১, ১৯৬৫-৬৬, ১৯৬৯-৭০, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৬-৭৭, ১৯৯৫-৯৬, ২০১৩-১৪, ২০২০-২১
অ্যাথলেটিক বিলবাও
0
0
১৯২৯-৩০, ১৯৩০-৩১, ১৯৩৩-৩৪, ১৯৩৫-৩৬, ১৯৪২-৪৩, ১৯৫৫-৫৬, ১৯৮২-৮৩, ১৯৮৩-৮৪
ভালেনসিয়া
0
0
১৯৪১-৪২, ১৯৪৩-৪৪, ১৯৪৬-৪৭, ১৯৭০-৭১, ২০০১-০২, ২০০৩-০৪
রিয়াল সোসিয়েদাদ
0
0
১৯৮০-৮১, ১৯৮১-৮২
দেপর্তিভো লা করুনা
0
0
১৯৯৯-২০০০
সেভিয়া
0
0
১৯৪৫-৪৬
রিয়াল বেতিস
0
0
১৯৩৪-৩৫

সাফল্যগাঁথা সম্পাদনা

উয়েফা'র লিগের মানদণ্ড অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে লা লিগা ইউরোপে অত্যন্ত শক্তিশালী লিগ প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। লা লিগা বিশ্বের অধিক জনপ্রিয় পেশাদারী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে। ২০০৯-১০ মৌসুমে লিগে দর্শকদের উপস্থিতির হার ছিল খেলা প্রতি ২৮,২৮৬ জন। এ সংখ্যা বিশ্বের যে কোন পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ স্থানের অধিকারী। ইউরোপে পেশাদার ফুটবল লিগে এ সংখ্যা ৩য় সর্বোচ্চ। তাদের পূর্বে রয়েছে শুধুমাত্র জার্মানির বুন্দেসলিগা এবং ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Reglamento General de la RFEF 2010 (Artículo 201)" (পিডিএফ) (Spanish ভাষায়)। RFEF। ৭ জুন ২০১০। ১৯ মে ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১০ 
  2. "UEFA club competitions press kit (.PDF archive, page 23)" (পিডিএফ)। UEFA Official Website। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-২৫ 
  3. "UEFA ranking of European leagues"। Bert Kassies। মে ২০১১। 
  4. "European football statistics"। ২০০৮। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা