পৃথিবীর ইতিহাস
পৃথিবীর ইতিহাস বলতে পৃথিবী নামক গ্রহটির উৎপত্তি থেকে আরম্ভ করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমগ্র সময়কালকেই বোঝানো হয়। অতীতের মূল ঘটনাগুলোর সম্পর্কে বুঝতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সমস্ত শাখাই মানুষকে সাহায্য করেছে। পৃথিবীর বয়স মহাবিশ্বের বয়সের কমবেশি এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সময়ের মধ্যে অজস্র ভূতত্ত্বীয় পরিবর্তন পৃৃথিবীতে ঘটে গেছে, জীবনের উদ্ভব হয়েছে এবং সেই জীবনে এসেছে বিবর্তন।
পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে কেউ সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।
পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ
সম্পাদনাথিয়া নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উড়ে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ।
গলিত লাভার সমুদ্র
সম্পাদনাথিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। টগবগ করে ফুটতে থাকা গলিত লাভার সমুদ্র তখন চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিল ঠিক তেমন'ই। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর জল জমে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর প্রথম সাগর-মহাসাগর। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ: জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর।
প্রথম মহাদেশ
সম্পাদনাএখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেক্টোনিক প্লেট এর ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ।
প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস
সম্পাদনামোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলা হয় Great Oxygen Crisis। আজ আমরা এই অক্সিজেনের কারণে বেঁচে আছি।
নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর
সম্পাদনাপ্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যাম এ অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে।
মহা-মহাদেশ
সম্পাদনামহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া।প্যানগায়ার মাধ্যমে অখণ্ড মহাদেশটি বিভক্ত হয়ে তৈরী করে অনেকগুলো মহাদেশ।এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কীভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো।
শীতকাল
সম্পাদনা৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ।
প্রাণের বিস্ফোরণ
সম্পাদনা৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী জীবের পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী জীব। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়।
প্রাণীজগতের বিলুপ্তি
সম্পাদনাপৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডাইনোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের।
বরফ যুগ
সম্পাদনাপাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ।
প্লাস্টিক যুগ?
সম্পাদনাবর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে।
লৌহ যুগ?
আদিম যুগ?
আধুনিক যুগ
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Stanley, Steven M. (২০০৫)। Earth system history (2nd সংস্করণ)। New York: Freeman। আইএসবিএন 978-0-7167-3907-4।
- Gradstein, F. M.; Ogg, James George; Smith, Alan Gilbert, সম্পাদকগণ (২০০৪)। A Geological Time Scale 2004। Reprinted with corrections 2006। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-78673-7।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |