পিয়ালে পাশা মসজিদ
পিয়ালে পাশা মসজিদ (উসমানীয় তুর্কি: پیاله پاشا جامع Piyale Paşa Camii), তেরসানে মসজিদ (আক্ষরিক অর্থে: শিপইয়ার্ড মসজিদ) নামেও পরিচিত। এটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের বেয়োগলু জেলার কাসিমপাসা এলাকায় অবস্থিত ১৬ শতকের একটি উসমানীয় মসজিদ।
পিয়ালে পাশা মসজিদ | |
---|---|
پیاله پاشا جامع | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০২′৪৮″ উত্তর ২৮°৫৭′৫৮″ পূর্ব / ৪১.০৪৬৬° উত্তর ২৮.৯৬৬° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | মিমার সিনান |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | উসমানীয় স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৫৬৫ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৫৭৩ |
বিনির্দেশ | |
দৈর্ঘ্য | ৩০.৫ মিটার (১০০ ফুট) (প্রার্থনা হল) |
প্রস্থ | ১৯.৫ মিটার (৬৪ ফুট) |
গম্বুজসমূহ | ৬ |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ২২.২ মিটার (৭৩ ফুট) |
গম্বুজের ব্যাস (ভেতরে) | ৯.১ মিটার (৩০ ফুট) |
মিনার | ১ |
ইতিহাস
সম্পাদনাপিয়ালে পাশা মসজিদটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থপতি মিমার সিনান উজিয়ার এবং গ্র্যান্ড অ্যাডমিরাল পিয়াল মেহমেদ পাশার জন্য নকশা করেছিলেন। মসজিদটি ১৫৬৫ থেকে ১৫৭৩ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়।[১] মসজিদটি একটি প্রাক্তন ডকইয়ার্ডের জায়গায় নির্মাণ করা হয়, এটি পিয়ালে পাশার দ্বারা সমর্থিত একটি প্রস্তাবিত খাল প্রকল্পের অবস্থানও ছিল।
স্থাপত্য
সম্পাদনামিমার সিনান দ্বারা নকশা করা অন্যান্য মসজিদ্গুলো একটি বড় কেন্দ্রীয় গম্বুজবিশিষ্ট হলেও পিয়ালে পাশা মসজিদটি ছয়টি অভিন্ন গম্বুজ দিয়ে নির্মিত। দুটি সারিতে তিনটি গম্বুজ পাশাপাশি সাজানো, যার প্রতিটির ব্যাস প্রায় ৯ মিটার (৩০ ফুট)। এটি ইস্তাম্বুলের একাধিক গম্বুজবিশিষ্ট মাত্র দুটি মসজিদের মধ্যে একটি। অন্যটি ভাসাত আতিক আলি পাশা মসজিদ। গম্বুজগুলো প্রার্থনা হলের মাঝখানে একজোড়া সরু গ্রানাইট স্তম্ভ দ্বারা সমর্থিত।[২] মিনারটি কিবলা-বিরোধী প্রাচীরের কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়। এটি ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়। মসজিদের অভ্যন্তরস্থ তিনটি দেয়ালের চারপাশে কোবাল্ট-নীল পটভূমিতে সাদা থুলুথ লিপির শিলালিপিসহ ইজনিক টাইলসের সারি বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ দেয়ালগুলো বর্তমানে চুনকাম করা হয়েছে, যদিও সেগুলো প্রথম থেকেই সজ্জিত ছিল। কিবলার দেয়ালের জানালায় দাগযুক্ত কাঁচটি আসল নয়।[২]
মসজিদের উত্তর-পশ্চিমে গম্বুজবিশিষ্ট অষ্টভুজাকৃতির সমাধিতে পিয়ালে পাশার পুত্র ও কন্যাদের সমাধি রয়েছে। সেখানে সব মিলিয়ে তেরোটি কফিন রয়েছে। তার স্ত্রী গেভারহান সুলতান (সেলিমের কন্যা) দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং হাগিয়া সোফিয়ার পাশে সেলিম দ্বিতীয়ের সমাধিতে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।[৩]
বেশ কয়েকটি অভিন্ন ইজনিক টাইলযুক্ত লুনেট প্যানেল বর্তমানে প্যারিসের মুসি ডু ল্যুভরে প্রদর্শিত হচ্ছে।[৪][৫] লিসবনের মিউজু ক্যালোস্ট গুলবেনকিয়ান[৬][ক] এবং লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এবং আলবার্ট মিউজিয়াম[৮] ১৯ শতকে পিয়ালে পাশা মসজিদ থেকে সরানো হয়েছে বলে মনে করা হয়।[৯] প্যানেলগুলো জানালার নীচের সারির উপরে স্থাপন করা হয়। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, লুনেটের টাইলসগুলো মসজিদের সাথে যুক্ত তবে বর্তমানে ভেঙে ফেলা কিয়স্ক থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়।[১০] আরেকটি লুনেট প্যানেলের দুটি টাইলসসহ একজোড়া টাইলস সম্ভবত ২০০৪ সালে ক্রিস্টিস কর্তৃক নিলামে বিক্রি করা মিহরাব থেকে আসে।[১১][১২]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
পিয়ালে পাশা মসজিদের বাহ্যিক দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের বাহ্যিক দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের বাহ্যিক দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের গ্যালারি
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের গ্যালারি
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের সাধারন দৃশ্য
-
মুয়াজ্জিনের মঞ্চের দিকে পিয়ালে পাশা মসজিদের দৃশ্য
-
পাশ থেকে পিয়ালে পাশা মসজিদের ভেতরের দৃশ্য
-
মিহরাবের দিকে পিয়ালে পাশা মসজিদের দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের মিহরাবের বিস্তারিত দৃশ্য
-
ভেতর থেকে পিয়ালে পাশা মসজিদের গম্বুজ
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের বাগানের প্রবেশদ্বার
-
পিয়ালে পাশা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার সমাধি
আরও দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Necipoğlu 2005, পৃ. 424।
- ↑ ক খ Necipoğlu 2005, পৃ. 426।
- ↑ Necipoğlu 2005, পৃ. 426-427।
- ↑ Inv. no. OA 7508, Paris: Musée du Louvre, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ .
- ↑ Inv. no. OA 7509, Paris: Musée du Louvre, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ .
- ↑ Inv. no. 1598B, Lisbon: Museu Calouste Gulbenkian, ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ .
- ↑ Queiroz Ribeiro 2009, পৃ. 108।
- ↑ Inv. no. 1889:1 to 16-1897, London: Victoria and Albert Museum, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ .
- ↑ Denny 2004, পৃ. 208, 213।
- ↑ Denny 2005, পৃ. 154।
- ↑ Sale 6895 Lot 326: Two Iznik polychrome pottery tiles, London: Christie’s auction house, ২৭ এপ্রিল ২০০৪, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ .
- ↑ Sale 6895 Lot 241: Two Iznik pottery half tiles, London: Christie’s auction house, ২৭ এপ্রিল ২০০৪, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ .
উৎস
সম্পাদনা- Denny, Walter B. (২০০৪)। Iznik: the artistry of Ottoman ceramics। London: Thames & Hudson। আইএসবিএন 978-0-500-51192-3।
- Denny, Walter B. (২০০৫)। "Dispersed Ottoman unified-field tile panels" (পিডিএফ)। Benaki Museum Journal। 4, 2004: 149–157। আইএসএসএন 2407-9502। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২২।
- Gülru Necipoğlu (২০০৫)। The Age of Sinan: Architectural Culture in the Ottoman Empire। London: Reaktion Books। আইএসবিএন 978-1-86189-253-9।
- Queiroz Ribeiro, Maria (২০০৯)। Iznik pottery and tiles in the Calouste Gulbenkian collection। Lisbon: Calouste Gulbenkian Foundation। আইএসবিএন 978-972-8848-58-3।