পিটার ফন দার বিল

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

পিটার জারহার্ড ভিন্টসেন্ট ফন দার বিল (ইংরেজি: Pieter van der Bijl; জন্ম: ২১ অক্টোবর, ১৯০৭ - মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩) কেনিলওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[]

পিটার ফন দার বিল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পিটার জারহার্ড ভিন্টসেন্ট ফন দার বিল
জন্ম২১ অক্টোবর, ১৯০৭
কেনিলওয়ার্থ, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩(1973-02-16) (বয়স ৬৫)
কাক বে, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক, প্রশাসক
সম্পর্কভিএ ফন দার বিল (পিতা), ভিএডব্লিউ ফন দার বিল (কাকা), ভিন্টসেন্ট ফন দার বিল (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৩)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ মার্চ ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৪
রানের সংখ্যা ৪৬০ ২৬৯২
ব্যাটিং গড় ৫১.১১ ৪০.১৭
১০০/৫০ ১/২ ৫/১৮
সর্বোচ্চ রান ১২৫ ১৯৫
বল করেছে ৪০৬
উইকেট
বোলিং গড় ৩১.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৩৬/২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ মে ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও ইংরেজ ক্রিকেটে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পিটার ফন দার বিল

শৈশবকাল

সম্পাদনা

কেপ টাউনের রন্ডেবশ এলাকার ডাইওসেসান কলেজে অধ্যয়ন করেছেন পিটার ফন আদর বিল। ১৯২৮ সালে রোডস বৃত্তিপ্রাপক হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ব্রাসেনোস কলেজে পড়াশুনো করেছেন।[] ১৯৩০ সালে সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, অক্সফোর্ডে তিনি সবচেয়ে লম্বাটে ব্যক্তি।[]

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে গড়পড়তা খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও নিজ দেশের পক্ষে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। এরফলে, নিজ বন্ধুসহ নিজের কাছেই বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়ান। ব্রাসেনোস কলেজে থাকাকালে হেভিওয়েটে মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি পান। শট-পুট ও রাগবিতে কলেজের প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৩২ সালে শেষ বর্ষে থাকাকালে লর্ডসে অক্সফোর্ডের সদস্যরূপে খেলেন। ফাস্ট শর্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে তিনি দূর্দান্ত খেলেন। এ ধরনের খেলা এ. ডব্লিউ. কারের নেতৃত্বে নটস দল অনুশীলনীতে খেলতো।

অক্সফোর্ডে অবস্থানকালে ক্রিকেটের তুলনায় অ্যাথলেটিক্স ও মুষ্টিযুদ্ধে অধিক দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। অ্যাথলেটিক্সে শট পুট বিষয়ে খেলতেন। প্রথম বছরে ফ্রেশম্যানদের অনুশীলনীতে তিনি চতুর্থ স্থানে ছিলেন ও পরবর্তীতে অর্ধ-ব্লু লাভ করেন।[] পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুষ্টিযুদ্ধ খেলায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি হন। হেভিওয়েটে তিনি জয়ী হন। এটিই ঐ প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়। চারটির মধ্যে তিনটিতে বিজয়ী হয়ে রাবার লাভ করেন।[]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ১৯৪২-৪৩ মৌসুম পর্যন্ত পিটার ফন দার বিলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন শুরু করেন।

১৯২৬-২৭ মৌসুমে দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। এ পর্যায়ে তিনি উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস বাদে ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আর তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি।[] ১৯২৭-২৮ মৌসুমে একটি খেলায় অংশগ্রহণের পর প্রায় চার বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জগৎ থেকে দূরে থাকেন।

১৯২৯ সালে ক্রিকেট খেলায় ফ্রেশম্যানদের অনুশীলনী খেলার জন্যে তাকে দলে রাখা হয়নি। তাসত্ত্বেও, ১৯৩০ সালে বড়দের খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে তাকে কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করানো হয়নি। ১৯৩১ সালে একটি খেলায় অংশ নেন। অপরাজিত ১৬ ও শূন্য রান করার পর তাকে ঐ মৌসুমের কোন খেলায় আর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[]

১৯৩২ সালে ভন দার বিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যাচাইবাছাইয়ের খেলায় অংশ নিয়ে সেঞ্চুরি করেন। ফলশ্রুতিতে, শুরুরদিকে খেলাগুলো তাকে দলে নেয়া হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলীর সন্তুষ্টি লাভে সক্ষম হন। কখনোবা ইনিংস উদ্বোধন, কখনোবা মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে ধারাবাহিকভাবে রান তুলতে সচেষ্ট হন। ৪৫.০০ গড়ে ৫৪০ রান তুলেন তিনি।[] এসেক্সের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা খেলা উপহার দেন। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৯৭ রান সংগ্রহের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬০ রান।[] তার এ ধরনের সফলতা লাভ করা সত্ত্বেও ব্যাটিংয়ের কৌশলের বিষয়ে সমালোচিত হন। দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, প্রায়শঃই তার ড্রাইভগুলো শেষ পর্যায়ে এসেছে ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নয়। তার রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমা ভালোমানের। সময় সচেতন না হওয়ায় তিনি সেঞ্চুরি করতে পারেননি।[১০] অক্সফোর্ড দল ক্রিকেটে শক্তিধর ছিল না। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাকে শুরুতেই রাখা হতো। কিন্তু, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে উচ্চ রানের ড্র হওয়া খেলায় তিনি তার একমাত্র ইনিংসে মাত্র ৭ রান তুলতে পেরেছিলেন।[১১]

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন

সম্পাদনা

অক্সফোর্ডের পড়াশুনো শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে আসেন। তবে, পরবর্তী কয়েক মৌসুমে তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নেননি। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে পুনরায় অংশ নিয়ে তিনটে খেলায় অংশগ্রহণ করেন। তবে, আশানুরূপ সফলতা পাননি। ফলশ্রুতিতে, ১৯৩৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পরের বছর মৌসুমের শেষদিকে একটিমাত্র খেলায় অংশ নেন। এবারও, ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে রাখা হয়নি।[১২] তবে, ১৯৩৬-৩৭ মৌসুম থেকে দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। ১৯৩৭-৩৮ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। অভিষেকের দশ বছরের অধিক সময় পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সন্ধান পান। গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ১৯৫ রান তুলেন। এটিই পরবর্তীকালে তার সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে চিত্রিত হয়। এছাড়াও, খেলায় তিনি বোলিং উদ্বোধনে নামেন। তবে কোন উইকেট পাননি ও কখনো নিয়মিত বোলার হিসেবে খেলতেন না।[১৩]

পরের মৌসুমে এক ডজন ইনিংস খেলে আরও দুইটি সেঞ্চুরি করেন ও পাঁচটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রান তুলে ৬০.৩০ গড়ে রান তুলেন।[] এ পর্যায়ে তার ব্যাটিংয়ের মান পূর্বের তুলনায় বেশ ভালো ছিল। ১৯৩৭-৩৮ মৌসুমের শেষদিকে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে একটি খেলায় শেষ ওভারে ছয় বল থেকে ২৮ রান সংগ্রহ করে দলকে জয় এনে দেন।[১৪]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার ফন দার বিল। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ মার্চ, ১৯৩৯ তারিখে ডারবানে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে আসে। ঐ সময়ের স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা কারি কাপ বাতিল হয়ে যায়। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে সফররত দলের বিপক্ষে শুরুরদিকের খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র ১৯ ও ১৪ রান তুলেন।[১৫]

পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার জন্যে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বড়দিনের প্রাক্কালে ড্র হওয়া ঐ টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অ্যালান মেলভিলের সাথে একত্রে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৪ ও ৩৮ রান তুলেছিলেন তিনি।[১৬]

দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে আরও মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ড্র হওয়া খেলার প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান তুলেন। এরপর ফলো-অনের কবলে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। দ্বিতীয় উইকেটে এরিক রোয়ানের সাথে ১৪৭ রান করে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন। নিজে করেন ৮৭ রান।[১৭] দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ভন দার বিল তার ইনিংসের প্রথম ভাগে সহজাত রক্ষণাত্মক খেলা উপহার দেন। কিন্তু, পরবর্তীতে নিজেকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে যেতে সচেষ্ট ছিলেন।[১৮]

কিন্তু, তৃতীয় টেস্টে নিজেকে আর তুলে ধরতে পারেননি। ইংল্যান্ড দল ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। তিনি ২৮ ও ১৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।[১৯] প্রথম তিন টেস্টে ব্রুস মিচেলের সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন। চতুর্থ টেস্টে অ্যালান মেলভিলের সাথে নতুন উদ্বোধনী জুটি গড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র ইনিংসে তারা ১০৮ রানের জুটি গড়েন। তবে, ভন দার বিল ৩১ ও মেলভিল ৬৭ রান তুলে দলের একই রানে বিদেয় নেন।[২০] এ পর্যায়ে সিরিজের ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। ইংল্যান্ড চার টেস্টের তিনটিতে ড্র করে ও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। চূড়ান্ত টেস্টে রান সংগ্রহ স্ফীততর হয়। ড্র হবার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ জয় করে। ভন দার বিল নিজস্ব সেরা খেলায় অংশ নেন। ১২৫ ও ৯৭ রান তুলেছিলেন তিনি।[২১] প্রথম ইনিংসে মেলভিলের সাথে ১৩১ রান তুলেন। পুরো দিন ব্যাটিং করে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। উইজডেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, তার ব্যাটিং রক্ষণাত্মক ও স্ট্রোকের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছিল। প্রথম রান তুলতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট ব্যয় করেন ও তিন ঘণ্টা বাদে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান। বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেননি তিনি। তবে, ডগ রাইটের এক ওভার থেকে বাইশ রান তুলে নিয়ে সকলকে বিস্ময়াভূত করেন। এ পর্যায়ে তিনি পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান। এরপর প্রধান স্ট্যান্ডে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।[২২] দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রুস মিচেলকে ভন দার বিলের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামানো হয়। প্রথম উইকেটে তারা ১৯১ রান তুলতে সমর্থ হন। কিন্তু, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র তিন রানের জন্যে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে খেলায় দুইটি সেঞ্চুরি করতে পারেননি।[২৩]

পুরো সিরিজে ৫১.১১ গড়ে ৪৬০ রান তুলেন। মোট রান সংগ্রহের দিক দিয়ে ব্রুস মিচেলের ৪৬৬ রানের পরই তার অবস্থান ছিল।[২৪]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিযোগিতাধর্মী ক্রিকেটের সমাপ্তি ঘটে। তবে, ১৯৩৯-৪০ মৌসুমে স্বল্প কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর প্রীতিখেলায় অংশ নিয়েছিল। তবে, যুদ্ধের পর প্রথম-শ্রেণীর খেলা পুনরায় শুরু হলেও তিনি আর কোন টেস্ট কিংবা কারি কাপের খেলায় অংশ নেননি।[] যুদ্ধকালীন উত্তর আফ্রিকায় গুরুতর আহত হন। এরপর, তিনি আর কোন ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি।[২৫]

বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কেপটাউনের ডাইওসেসান কলেজ প্রিপারেটরি স্কুলের প্রধানশিক্ষক হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি টেস্ট দল নির্বাচক ও প্রশাসকের ভূমিকা পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার সন্তান ভিন্টসেন্ট ফন দার বিল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সফলতম খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। তার সন্তান ভিন্টসেন্ট ফন দার বিল বেশ দীর্ঘদেহের অধিকারী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের দলগুলোয় অংশ নেন। তবে, তার খেলোয়াড়ী জীবনে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যবাদের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি। পিতা ও তার কাকা ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের ক্রিকেটার ছিলেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে কেপ প্রদেশের কাক বে এলাকায় পিটার ফন দার বিলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Pieter van der Bijl"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১৭ 
  2. "Rhodes Scholars, complete list"। www.rhodeshouse.ox.ac.uk। ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১২ 
  3. "University Sport: Oxford Prospects"। The Times (45653)। London। ২৫ অক্টোবর ১৯৩০। পৃষ্ঠা 7। 
  4. "University Sports: Oxford"। The Times (45146)। London। ৮ মার্চ ১৯২৯। পৃষ্ঠা 7। 
  5. "University Boxing: Oxford's Victory"। The Times (45147)। London। ৯ মার্চ ১৯২৯। পৃষ্ঠা 6। 
  6. "Scorecard: Eastern Province v Western Province"। www.cricketarchive.com। ১৭ মার্চ ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১১ 
  7. "Scorecard: Oxford University v Yorkshire"। www.cricketarchive.com। ৬ মে ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১২ 
  8. "First-class batting and fielding in each season by Pieter van der Bijl"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৫ 
  9. "Scorecard: Essex v Oxford University"। www.cricketarchive.com। ১৮ জুন ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৫ 
  10. "Oxford at Leyton: An even game with Essex"। The Times (46165)। London। ২১ জুন ১৯৩২। পৃষ্ঠা 6। 
  11. "Scorecard: Oxford University v Cambridge University"। www.cricketarchive.com। ৪ জুলাই ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৫ 
  12. "First-class matches played by Pieter van der Bijl"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৭ 
  13. "Scorecard: Western Province v Griqualand West"। www.cricketarchive.com। ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৭ 
  14. "Exciting Finish to Currie Cup Match"। The Times (47937)। London। ৮ মার্চ ১৯৩৮। পৃষ্ঠা 6। 
  15. "Scorecard: Western Province v MCC"। www.cricketarchive.com। ১২ নভেম্বর ১৯৩৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৭ 
  16. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৮ 
  17. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৮ 
  18. "Cricket: South Africa Save the Game"। The Times (48195)। London। ৫ জানুয়ারি ১৯৩৯। পৃষ্ঠা 4। 
  19. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২০ জানুয়ারি ১৯৩৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৮ 
  20. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৮ 
  21. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ৩ মার্চ ১৯৩৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৮ 
  22. "M.C.C. in South Africa, 1938–39"। Wisden Cricketers' Almanack (1940 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 742 
  23. "M.C.C. in South Africa, 1938–39"। Wisden Cricketers' Almanack (1940 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 743 
  24. "Test Batting and Fielding for South Africa: MCC in South Africa 1938/39"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৯ 
  25. E.W. Swanton, Sort of a Cricket Person, William Collins, London, 1972, p. 102.

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা