পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ও রাগবি ইউনিয়ন খেলোয়াড়

পার্সি সিডনি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স (ইংরেজি: Percy Twentyman-Jones; জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ৮ মার্চ, ১৯৫৪) বিউফোর্ট ওয়েস্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রাগবি ইউনিয়ন খেলোয়াড় ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপার্সি সিডনি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স
জন্ম(১৮৭৬-০৯-১৩)১৩ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬
বিউফোর্ট ওয়েস্ট, কেপ উপনিবেশ
মৃত্যু৮ মার্চ ১৯৫৪(1954-03-08) (বয়স ৭৭)
কেপটাউন, কেপপ্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট৮ নভেম্বর ১৯০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০
রানের সংখ্যা ৩০৬
ব্যাটিং গড় ০.০০ ১৮.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৫৩
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ অক্টোবর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৮৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ১৯০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

১৮৯৮ থেকে ১৯০৫ সময়কালে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ব্যাটিং অনুপযোগী পিচেও সফররত অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ৩৩ ও দলের ৮০ রানের মধ্যে ৫০ রান তুলেছিলেন।[১] উভয় ইনিংসেই তিনি দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন। এরফলে, কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকান দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স। ৮ নভেম্বর, ১৯০২ তারিখে কেপটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। উভয় ইনিংসেই শূন্য রানে বিদেয় নিতে হয়েছিল।[২]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি রাগবি ইউনিয়ন খেলায়ও দক্ষ ছিলেন। ১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাগবি ইউনিয়নের তিনটি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে রাগবি ইউনিয়নে অংশ নিয়েছেন। উইং হিসেবে মাঠে অবস্থান করতেন। ১৮৯৬ সালে ব্রিটিশ লায়ন্স দল দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি খেলায় অংশ নেয়। সবগুলো খেলাতেই তার অংশগ্রহণ ছিল।[৩] কিম্বার্লীতে খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রাই লাভ করেছিলেন। তবে, ঐ খেলায় স্বাগতিক দল ৩-৯ ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল। চূড়ান্ত টেস্টই তার সর্বশেষ খেলা ছিল। ৫-০ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় জয় পায়।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[৪] ১৮৯৮ সালে আইনজীবী হিসেবে সনদ পান। ১৯২৬ সালে বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, প্রথিতযশা ক্রীড়া প্রশাসক ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। ৮ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে কেপটাউনে জটিল অপারেশনের পর পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্সের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Western Province v Australians 1902-03"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৬ 
  2. "South Africa v Australia, Cape Town 1902-03"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৬ 
  3. Percy Twentyman-Jones rugby profile Scrum.com
  4. "The blond bombshell"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা