পাপুয়া নিউগিনি
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩ দিন আগে Ahmed Reza Khan (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
পাপুয়া নিউগিনি,[টীকা ১] পুরো নাম দ্যা ইনডিপেনডেন্ট স্টেট অব পাপুয়া নিউ গিনি,[৮][টীকা ২] ইংরেজি Papua New Guinea প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি ওশেনিয়া মহাদেশের মেলানেশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। একটি দেশ। দেশটি নিউগিনি দ্বীপের পূর্ব অংশ নিয়ে গঠিত। দেশটির পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির দক্ষিণে অষ্ট্রেলিয়া এবং পূর্বে সলোমন দ্বীপের অবস্থান। রাজধানীর নাম পোর্ট মোর্সবি. দেশটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। দেশটির আয়তন, ৪,৬২,৮৪০ কিমি২ (১,৭৮,৭০০ মা২).[৯]
Independent State of Papua New Guinea পাপুয়া নিউগিনি | |
---|---|
নীতিবাক্য: "Unity in diversity"[১] | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | পোর্ট মোর্সবি |
সরকারি ভাষা | ইংরেজি, তোক পিসিন, Hiri Motu |
সরকার | একতান্ত্রিক সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র |
তৃতীয় চার্লস | |
Michael Ogio | |
Peter O'Neill | |
আইন-সভা | জাতীয় সংসদ |
স্বাধীন অস্ট্রেলিয়া থেকে | |
২৫ মার্চ ১৯৪৯ | |
• ঘোষণা ও স্বীকৃতি | ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৬২,৮৪০ কিমি২ (১,৭৮,৭০০ মা২) (৫৬তম) |
• পানি (%) | ২ |
জনসংখ্যা | |
• ২০২০ আনুমানিক | ৮৯,৩৫,০০০[৩] (১০১তম) |
• 2000 আদমশুমারি | ৫,১৮০,৭৮৯ |
• ঘনত্ব | ১৯.৩/কিমি২ (৫০.০/বর্গমাইল) (২০১ তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৭ আনুমানিক |
• মোট | $29.481 billion[৪] (139th) |
• মাথাপিছু | $3,635[৪] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৭ আনুমানিক |
• মোট | $21.189 billion[৪] (১৩৯ তম) |
• মাথাপিছু | $2,613[৪] |
জিনি (২০০৯) | ৪১.৯[৫] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০২০) | ০.৫৫৮[৬] মধ্যম · 154th |
মুদ্রা | Papua New Guinean kina (PGK) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+10, +11 (AEST) |
গাড়ী চালনার দিক | left |
কলিং কোড | +675 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .pg |
১৮৮০ সালে দেশটি উত্তরে জার্মান নিউগিনি এবং পাপুয়া অঞ্চল এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। দক্ষিণের অংশ, বর্তমান পাপুয়া নিউগিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে আসে, আইনত স্বতন্ত্র নিউ গিনি প্রাক্তন জার্মান উপনিবেশ থেকে লীগ অফ নেশনস ম্যান্ডেট পেয়ে স্বতন্ত্র দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিউগিনি সামরিক অভিযানের সময় দেশটি প্রচণ্ড যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউ গিনি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রানী করে একটি স্বাধীন কমনওয়েলথভূক্ত রাজ্যে পরিণত হয়। ২০২২ সালে দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথের মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর থেকে তৃতীয় চার্লস পাপুয়া নিউ গিনির রাজা।
পাপুয়ানিউ গিনিতে ৮৪০টি ভাষা রয়েছে (ইংরেজি সহ), সে বিবেচনায় দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ভাষাগত বৈচিত্রপূর্ণ দেশ। [১০] এটি সর্বাধিক গ্রামীণ দেশগুলির মধ্যে একটি, ২০১৯ সালের জনশুমারী অনুযায়ী এর জনসংখ্যার মাত্র ১৩.২৫% শহুরে বাস করে। [১১] এখানকার অধিকাংশ মানুষ প্রাচীন প্রথাগত সম্প্রদায়ভূক্ত হয়ে বসবাস করে। [১২] যদিও সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ,[১৩] ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জানা যায়, দেশটির জনসংখ্যা আসলে ১ কোটি ৭০ লাখের কাছাকাছি। [১৪][১৫] পাপুয়া নিউ গিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ রাষ্ট্র।
দেশটি অনেক অনথিভুক্ত প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল বলে মনে করা হয়। [১৬]
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পাপুয়া নিউগিনিকে একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে;[১৭] জনসংখ্যার প্রায় ৪০% কৃষক যারা নগদ অর্থনীতি থেকে তুলনামূলকভাবে স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করে।[১৮]
পাপুয়া নিউগিনি ১৯৭৬ সাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থার (আসিয়ান) একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র এবং পূর্ণ সদস্যপদ মর্যাদার জন্য আবেদন করে।[১৯] বর্তমানে পাপুয়া নিউ গিনি কমনওয়েলথ এর একটি পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র[২০] এছাড়াও দশেটি অন্যান্য যে সকল সংগঠনের সদস্য, সেগুলো হল, দ্যা প্যাসিফিক কমিউনিটি, দ্যা প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম,[২১] এবং জাতিসংঘ.
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনা'পাপুয়া' শব্দটি এসেছে একটি স্থানীয় শব্দ থেকে। যদিও এর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যায় না।[২২] নিউ গিনি দ্বীপপুঞ্জ সম্বন্ধে পর্তুগিজ অধিনায়ক ও ভূগোলবিদ আন্তোনিও গালভাও লিখেছিলেন যে:
এই সমস্ত দ্বীপপুঞ্জের লোকেরা কালো, এবং তাদের চুল ফ্রিজ, যাদের মালুকোর লোকেরা পাপুয়াস বলে।[২৩]
নিউ গিনি নামকরন করেছিলেন স্পেনের অভিযাত্রী Yñigo Ortiz de Retez। ১৫৪৫ সালে, তিনি আফ্রিকা উপকূলের গিনি অঞ্চলের মানুষদের সাথে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে এই নামকরন করেছিলেন।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর নিকট থেকে অস্ট্রেলিয়া জার্মান নিউ গিনি অধিকার করে। ১৯৭৫ সালে এটি অস্ট্রেলিয়ার নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও আনুসাঙ্গিক প্রমাণাদি থেকে যানা যায় যে, ৪২,০০০ থেকে ৪৫,০০০ বছর আগে মানুষ প্রথম পাপুয়া নিউ গিনিতে বসতি গড়েছিল। তারা মানব অভিবাসনের প্রথম দিকে আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীদের বংশধর ছিল। [২৪] ২০১৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টোফার ক্লেইন ও অন্যান্যদের করা এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে এই জাতিগুলো সাহুলে (বর্তমান অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনি নিয়ে গঠিত প্যালিওকন্টিনেন্ট) পৌছায় (বর্তমান অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনি নিয়ে গঠিত প্যালিওকন্টিনেন্ট) পৌঁছেছিল। প্রায় ১০,০০০ বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবার ফলে নিউ গিনিকে অস্ট্রেলিয় ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল, কিন্তু আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান এবং পাপুয়ানরা একে অপরের থেকে জিনগতভাবে প্রায় ৩৭,০০০ বছর আগে পৃথক হয়ে যায়।[২৫] খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দে নিউ গিনির উচ্চভূমিতে কৃষিকাজ স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছিল, এই অঞ্চল বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে একটি যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে উদ্ভিদ পোষণ করেছিল।[২৬] খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে নিউ গিনির উপকূলীয় অঞ্চলে অস্ট্রোনেশীয় ভাষাভাষী মানুষের আগমন ঘটে। একই সাথে মৃৎশিল্প, শূকর পালন এবং মাছ ধরার বিশেষ কৌশলের প্রচলন শুরু হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে, ব্যবসায়ীরা মিষ্টি আলুকে নিউ গিনিতে নিয়ে আসে, যেখানে এটি প্রধান খাদ্যে পরিণত হয়। পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা এ ফসলটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সংগ্রহ করে মালুকু দ্বীপপুঞ্জের মানুষের কাছে পরিচিত করায়।[২৭] মিষ্টি আলর উচ্চ ফলন ঐতিহ্যবাহী কৃষিসমাজকে আমূল পরিবর্তন করেছিল। এর আগে এখানকার প্রধান খাদ্য ছিল টারো বা কচু। মিষ্টি আলুর ফলন এর চাইতে অনেক বেশী হওয়ায় সেটা প্রধান খাদ্যের জায়গা দখল করে নেয় এর ফলে উচ্চভূমিতে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে।
যদিও বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নরমাংসভোজীতা নির্মূল হয়ে যায়, তফাপি অতীতের রীতিতে এসব দেশের অনেক অংশে আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে নরভোজ অনুশীলন করা হত। এসব মূলতঃ সামাজিক আচার অনুষ্ঠান হিসাবে পালিত হত। অনেক সময় শত্রুর আত্মার হনন বা তার ক্ষমতা অধিগ্রহণ করার জন্য এসব করা হত। [২৮][২৯]
১৯০১ সালে পাপুয়া উপসাগরের গোয়ারিবাড়ি দ্বীপে মিশনারি হ্যারি মুর ডানসি দ্বীপের দীর্ঘ বাড়িগুলিতে ১০,০০০ মাথার খুলি পেয়েছিলেন যেগুলো প্রচীন রীতির অনুশীলনের প্রমান বহন করে। [৩০] ১৯৯১ সালে মারিয়ানা টর্গোভনিক লিখেছিলেন, "সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নরমাংসভোজনের সর্বাধিক সম্পূর্ণ নথিভুক্ত ঘটনা পাপুয়া নিউ গিনি থেকে এসেছে, যেখানে পঞ্চাশ, ষাট এবং সত্তরের দশকে কিছু বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে নর শিকার ও নরমাংসভোজন তখনও প্রচলিত ছিল। এমনকি এখনো কিছু সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে এই আচরন বিদ্যমান। [৩১]
ইউরোপিয়দের আবির্ভাব
সম্পাদনাঊনিশ শতকের আগ পর্যন্ত ইউরোপিয়রা এই দ্বীপ সম্পর্কে খুব কমই জানতো। যদিও পর্তুগিজ এবং স্প্যানিশ অভিযাত্রিরা, যেমন ডোম জর্জ ডি মেনেজেস এবং ইনিগো অর্টিজ ডি রেটেজ, ১৬ শতকের প্রথম দিকে এই দ্বীপে আসে। এর ৫,০০০ বছর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়ীরা পাপুয়া নিউ গিনিতে বার্ডস অব প্যারাডাইজের পালক সংগ্রহ করতে যাতায়াত করত।[৩২]
মিশনারি
সম্পাদনা১৮৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পাপুয়া নিউ গিনিতে খ্রিস্টধর্মের প্রচার শুরু হয়। মেরি সোসাইটি (মেরিস্ট) এর একটি দল মেরিস্ট মিশনারি নামে উডলার্ক দ্বীপে আসে। তারা উম্বোই দ্বীপে তাদের প্রথম মিশন প্রতিষ্ঠা করে। সেই বছরের পরে, তবে পরে তারা তাদের মিশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। পাঁচ বছর পরে ১৮৫২ সালের 8 ই অক্টোবর, পন্টিফিকাল ইনস্টিটিউট ফর ফরেন মিশনস, একটি পন্টিফিকাল ইনস্টিটিউট, উডলার্ক দ্বীপে মিশনটি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে।
উপনিবেশ
সম্পাদনাদেশের দ্বৈত নামটি স্বাধীনতার আগে এর জটিল প্রশাসনিক ইতিহাস থেকে উদ্ভূত। ১৮৮৪ সালের শুরুতে, অঞ্চলটি দুটি ঔপনিবেশিক শক্তির মধ্যে বিভক্ত ছিল। [[জার্মান সাম্রাজ্য|জার্মানি বেশ কয়েক দশক ধরে দেশের উত্তর অংশ শাসন করেছিল। সেময় এর পরিচিত ছিল জার্মান নিউ গিনি নামে। আর দেশের দক্ষিণ অংশটি গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। ১৮৮৮ সালে পাপুয়া নিউ গিনি ও কাছাকাছি কিছু সংলগ্ন দ্বীপপুঞ্জ সহ ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যে পরিনত হয়। তখন তা পরিচিত হয় ব্রিটিশ নিউ গিনি হিসাবে। ১৯০২ সালে পাপুয়া কার্যকরভাবে নতুন ব্রিটিশদের কর্তৃত্বে স্থানান্তরিত হয়। ১৯০৫ সালে পাপুয়া আইন পাস হওয়ার সাথে সাথে এই অঞ্চলটির আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ করা হয় পাপুয়া অঞ্চল। অস্ট্রেলিয়ান প্রশাসন ১৯০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলের শাসনভার গ্রহন করে।
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অস্ট্রেলীয় বাহিনী জার্মান নিউ গিনি দখল করে নেয় এবং যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তা অস্ট্রিলিয়ার দখলে থাকে। যুদ্ধে জার্মানি ও অক্ষশক্তির পরাজিত হওয়ার পর, লীগ অব নেশনস অস্ট্রেলিয়াকে এই অঞ্চলটিকে লীগ অব নেশনসের ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪২-১৯৪৫), নিউ গিনি একটি বৃহৎ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। প্রায় ২১৬,০০০ জন জাপানি, অস্ট্রেলিয়ান এবং মার্কিন সেনা এই যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গিয়েছিল।[৩৩] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিজয়, অতীতে জার্মান শাসিত অঞ্চল ও ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চল একত্রিত হয়ে পাপুয়া এবং নিউ গিনি গঠিত হয়। পরে এর নাম হয় 'পাপুয়া নিউ গিনি'।
অস্ট্রেলিয়ার শাসন ও স্বাধীনতা
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, অস্ট্রেলিয়া পাপুয়া এবং নিউ গিনির দুটি নতুন সংযুক্ত অঞ্চলের শাসন কপরিচালনা করে। ১৯৫১ সালের মধ্যে, সখানে একটি ২৮ সদস্যের আইন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যদিও এটি সেখানে মূলত অস্ট্রেলিয়ান প্রশাসনিক সদস্যদের আধিপত্য ছিল, পাপুয়া নিউ গিনিবাসীদের জন্য মাত্র ৩ টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল।অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বাহিনীর একজন সদস্য স্যার ডোনাল্ড ক্লেল্যান্ড, এই নতুন কাউন্সিলের প্রথম প্রশাসক ছিলেন।
১৯৬৪ সালে, কাউন্সিলটি বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং পাপুয়া এবং নিউ গিনির ৬৪ সদস্যেকে নিয়ে ’হাউস অফ অ্যাসেম্বলি’ গঠিত হয়। যেখানে প্রথমবারের মতো পাপুয়া নিউ গিনির সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ১৯৬৭ সালে এই সভার সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ এবং ১৯৭১ সালে ১০০ জন[৩৪]
জুলাই মাসে ১৯৭২ সালের পাপুয়া নিউ গিনির সাধারণ নির্বাচনে মাইকেল সোমারে প্রথম পাপুয়া নিউ গিনির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ডিসেম্বরে, হুইটলাম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন ১৮৭২ অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল নির্বাচন। এরপরে হুইটলাম সরকার ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠা করে[৩৫]
সরকার ও রাজনীতি
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনি একটি কমনওয়েলথ রাজ্য, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস পাপুয়া নিউ গিনির নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। বিদায়ী শাসকগোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়া ধারণা করেছিল যে পাপুয়া নিউ গিনি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীনে থাকবে না। তবে পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠাতারা ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে ধারন করেলে তা নতুন রাষ্ট্রের জন্য সম্মানসূচক হবে বিবেচনা করেছিল। [৩৬] পাপুয়া নিউ গিনির গভর্নর-জেনারেল রাজার প্রতিনিধিত্ব করেন। কমনওয়েলথ রাজ্যগুলির মধ্যে পাপুয়া নিউ গিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এমন দুটি দেশ যেখানে গভর্নর-জেনারেল জাতীয় সংসদ কর্তৃক মনোনিত হবার পরে ব্রিটিশ রাজা কর্তৃক নিযুক্ত হন। যদিও সাংবাধানিকভাবে রাজা সংসদ দ্বারা মনোনিত ব্যাক্তিকেই এই পদে মনোনয়ন দিতে বাধ্য নন।
প্রশাসনিক বিভাগসমূহ
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনি চারটি অঞ্চলে বিভক্ত, যদিও সেগুলো কোন প্রশাসনিক বিভাগ নয়। তবে সরকারী, বাণিজ্যিক, ক্রীড়া এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ সহ আরো অনেক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশটিতে ২২টি প্রদেশ-পর্যায়ের বিভাগ রয়েছে। এদের মধ্যে ২০টি প্রদেশ, বুগেনভিলের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং জাতীয় রাজধানী জেলা। প্রতিটি প্রদেশ এক বা একাধিক জেলায় বিভক্ত। জেলাসমূহে এক বা একাধিক পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় স্তরের সরকারে বিভক্ত।
সামরিক
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনির প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশ প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি সামরিক সংস্থা। এর তিনটি শাখা আছে।[৩৭] স্থল শাখাটির ৭ টি ইউনিট রয়েছে, রয়েল প্যাসিফিক আইল্যান্ড রেজিমেন্ট, একটি বিশেষ বাহিনী ইউনিট, একটি ইঞ্জিনিয়ারস ব্যাটালিয়ন, সিগন্যালস এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও তিনটি ছোট ইউনিট আর একটি সামরিক একাডেমী। একটি এয়ারক্রাফট স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এয়ার এলিমেন্ট, যা অন্যান্য সামরিক শাখার লোকবল ও সরঞ্জামাদি পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। মেরিটাইম এলিমেন্টে চারটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় শ্রেণির টহল বোট, তিনটি প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ল্যান্ডিং ক্র্যাফট এবং একটি গার্ডিয়ান-শ্রেণির টহল নৌকা আছে। ল্যান্ডিং ক্র্যাফটগুলোর মধ্যে একটি প্রশিক্ষণ জাহাজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
অপরাধ ও মানবাধিকার
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনিকে প্রায়শই নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।[৩৮][৩৯] দ্য ল্যানসেটের ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বুগেনভিল দ্বীপের ২৭% পুরুষ তাদের স্ত্রী বা সঙ্গী নয় এমন নারীদের ধর্ষণ করার কথা জানিয়েছেন। এবং গণধর্ষণের হার ১৪.১%।[৪০] ইউনিসেফের মতে, ধর্ষণের শিকার প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৫ বছরের কম এবং ১৩ শতাংশের বয়স ৭ বছরের কম[৪১] সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান ডেম ক্যারল কিডুকে উদ্ধৃত করে চাইল্ডফান্ড অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর চিকিৎসা নিতে আসা ৫০ শতাংশের বয়স ১৬ বছরের নিচে, ২৫ শতাংশের বয়স ১২ বছরের কম এবং ১০ শতাংশের বয়স ৮ বছরের নিচে।[৪২] সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী হিসাবে ডেম ক্যারলের মেয়াদে, সংসদ পরিবার সুরক্ষা আইন (২০১৩) এবং লুকাউটিম পিকিনি আইন (২০১৫) পাস করেছে, পরিবার সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৭ সাল পর্যন্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করার কারণে অনুমোদিত হয়নি।[৪৩][৪৪]
পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয়দের মধ্যে সহিংসতা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি প্রাণহানি ঘটছে।
অর্থনীতি
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। যার মধ্যে আছে খনিজ, বন, সামুদ্রিক সম্পদ (বিশ্বের প্রধান টুনা সম্পদ মজুদের একটি বড় অংশ।) এবং কিছু কৃষি জমি। প্রত্যন্ত উচ্চ পর্বতমালা, উপত্যকা, জলাভূমি এবং দ্বীপপুঞ্জ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের উচ্চ ব্যয় এবং আরো অন্যান্য কিছু কারণে বিদেশী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এখানে কাজ করা বেশ কঠিন।
২০১৯ সালের হিসাবে, পিএনজির প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৮%, মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৩%[৪৫]
স্বর্ণ আবিষ্কার
সম্পাদনা১৮৫২ সালে পাপুয়ান উপদ্বীপের রেডস্কার উপসাগরের মৃৎপাত্রে প্রথম সোনার সন্ধান পাওয়া যায়।[৪৬]
পরিবহণ
সম্পাদনাদেশটির পার্বত্য অঞ্চল বিশাল পরিবহনের জন্য একটি বাধা। পাপুয়া নিউ গিনিতে ঔপনিবেশিক আমলে বিমানের প্রোচলন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বেশিরভাগ ভ্রমণ ও মলামাল পরিবহনের জন্য বিমানের ব্যবহার করা হয়। রাজধানী পোর্ট মোর্সবির সাথে পিএনজির অন্যান্য প্রধান শহরগুলির কোনও সড়কযোগাযোগ নেই। একইভাবে, অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে পৌছানোর জন্য একমাত্র মাধ্যম হল হালকা বিমান।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাপাপুয়া নিউ গিনি বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যার দেশ।[৪৭] ২০২০ সালের হিসাবে আনুমানিক ৮.৯৫ মিলিয়ন মানুষ এখানে বাস করে।[৪৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Somare, Michael (৬ ডিসেম্বর ২০০৪)। "Stable Government, Investment Initiatives, and Economic Growth"। Keynote address to the 8th Papua New Guinea Mining and Petroleum Conference। ২০০৬-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৭।
- ↑ "Never more to rise"। The National (February 6, 2006)। ১৩ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০০৫।
- ↑ বিশ্ব ব্যাংক ডেটাবেজ, বিশ্ব ব্যাংক, Wikidata Q21540096
- ↑ ক খ গ ঘ "Papua New Guinea"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "GINI index"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "2016 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Jones, Daniel (২০০৩) [1917], Peter Roach; James Hartmann; Jane Setter, সম্পাদকগণ, English Pronouncing Dictionary, Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-3-12-539683-8
- ↑ "Constitution of the Independent State of Papua New Guinea" (পিডিএফ)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;world-atlas
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ পাপুয়া নিউ গিনি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে, Ethnologue
- ↑ "শহুরে জনসংখ্যা (মোট জনসংখ্যার %) – পাপুয়া নিউ গিনি"। data.worldbank.org। ২০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০।
- ↑ James, Paul; Nadarajah, Yaso; Haive, Karen; Stead, Victoria (২০১২)। Sustainable Communities, Sustainable Development: Other Paths for Papua New Guinea। Honolulu, HI: University of Hawaii Press। ৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ https://www.nso.gov.pg/
- ↑ Lagan, Bernard (৫ ডিসেম্বর ২০২২)। "Papua New Guinea খুঁজে পেয়েছে প্রকৃত জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ সরকারি অনুমান"। The Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0140-0460। ৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৬।
- ↑ Fildes, Nic (৫ ডিসেম্বর ২০২২)। "Papua New Guinea's population size puzzles prime minister and experts"। Financial Times। ৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ Gelineau, Kristen (২৬ মার্চ ২০০৯)। "Spiders and frogs identified between 50 new species"। The Independent। ২৪ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০০৯।
- ↑ World Economic Outlook Database, October 2015 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে, International Monetary Fund আর্কাইভইটে আর্কাইভকৃত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে. Database updated on 6 October 2015. Accessed on 6 October 2015.
- ↑ World Bank. 2010. World Development Indicators. Washington DC.
- ↑ "Papua New Guinea keen to join ASEAN"। The Brunei Times। ৭ মার্চ ২০১৬। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Profile: The Commonwealth"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৯ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮ – news.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ "About Us – Forum Sec"। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Pickell, David; Müller, Kal (২০০২)। Between the Tides: A fascinating Journey between the Kamoro of New Guinea। Tuttle Publishing। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 978-0-7946-0072-3। ১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫। অজানা প্যারামিটার
|name-list-style=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Galvão, António (1862). The discoveries of the world, from their first original unto the year of Our Lord 1555, London: Printed for the Hakluyt society, p. 203.
- ↑ O'Connell, J. F.; Allen, J. (২০০৭)। "Pre-LGM Sahul (Australia-New Guine) and the archaeology of Early modern human" (পিডিএফ)। Rethinking the Human Revolution: New Behavioural and biological perspectives on the Origin and Dispersal of Modern Humans: 395–410।
- ↑ Klein, Christopher (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "DNA Study Finds Aboriginal Australians World's Oldest Civilization"। History। ২৬ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।
Updated Aug 22, 2018
- ↑ Diamond, J. (March 1997). Guns, Germs, and Steel: The Fates of Human Societies. W.W. Norton & Company. আইএসবিএন ০-৩৯৩-০৩৮৯১-২.
- ↑ Swadling, p. 282
- ↑ Knauft, Bruce M. (1999) From Primitive to Postcolonial in Melanesia and Anthropology ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে. University of Michigan Press. p. 103. আইএসবিএন ০-৪৭২-০৬৬৮৭-০
- ↑ "Cannibalism Normal For Early Humans? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ মার্চ ২০১০ তারিখে." National Geographic News. 10 April 2003.
- ↑ Goldman, Laurence (1999).The Anthropology of Cannibalism. Greenwood Publishing Group. p. 19. আইএসবিএন ০-৮৯৭৮৯-৫৯৬-৭
- ↑ Torgovnick, Marianna (1991). Gone Primitive: Savage Intellects, Modern Lives, University of Chicago Press. p. 258 আইএসবিএন ০-২২৬-৮০৮৩২-৭
- ↑ Swadling: "Such trade links and the nominal claim of the Sultan of Ceram over New Guinea constituted the legal basis for the Netherlands' claim over West New Guinea and ultimately that of Indonesia over what is now West Papua."
- ↑ Fenton, Damien. "How many died? (QnA)"। ৫ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১২।. Australian War Memorial.
- ↑ "The Legislative Council & the creation of the state of PNG - Keith Jackson & Friends: PNG ATTITUDE"। ২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ Dorney, Sean (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Australia's ignorance about Papua New Guinea is a loss for both nations"। The Guardian।
- ↑ Bradford, Sarah (১৯৯৭)। Elizabeth: A Biography of Britain's Queen । Riverhead Books। আইএসবিএন 978-1-57322-600-4।
- ↑ Mench, Paul (১৯৭৫)। The Role of the Papua New Guinea Defence Force। Australian National University। আইএসবিএন 978-0-909150-10-5। ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Davidson, Helen (৫ জুলাই ২০১৩)। "Médecins Sans Frontières opens Papua New Guinea clinic for abuse victims"। Guardian News and Media Limited। ১৪ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Davidson, Helen (১৯ জুলাই ২০১৩)। "Papua New Guinea: a country suffering spiralling violence"। Guardian News and Media Limited। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Jewkes, Rachel; Fulu, Emma; Roselli, Tim; Garcia-Moreno, Claudia (২০১৩)। "Prevalence of and factors associated with non-partner rape perpetration: findings from the UN Multi-country Cross-sectional Study on Men and Violence in Asia and the Pacific"। The Lancet। 323 (4): e208–18। ডিওআই:10.1016/S2214-109X(13)70069-X । পিএমআইডি 25104346।
- ↑ Niles, Chris (১৮ আগস্ট ২০০৮)। "UNICEF strives to help Papua New Guinea break cycle of violence"। New York City: UNICEF। ১৪ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Wiseman H (আগস্ট ২০১৩)। "Stop Violence Against Women and Children in Papua New Guinea" (পিডিএফ)। ChildFund। পৃষ্ঠা 5। ২৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৫।
- ↑ "No. 45 of 2015 Lukautim Pikinini Act 2015" (পিডিএফ)। National Parliament of Papua New Guinea। ১৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Survivors have legal rights: Family Protection Act"। Loop PNG। ১৪ মে ২০২০। ২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Data"। International Monetary Fund। ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Exploration for gold / Papua New Guinea: forty years of independence, State Library of NSW, Australia, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২২,
For thousands of years, the indigenous people of Papua New Guinea have mined and traded stone implements and ochre, and used clay to make pottery. Gold was first discovered in Papua New Guinea in 1852 as accidental traces in pottery from Redscar Bay on the Papuan Peninsula.
The NSW library's article further references the following primary sources (publications): * Drew, Philip, Leaves of Iron Glen Murcutt: pioneer of Australian Architectural Form, Harper Collins, Sydney 1985 * Nelson, Hank, Taim Bilong Masta, The Australian involvement in Papua New Guinea, Australian Broadcasting Commission, Sydney 1982 * Levien, Cecil John (1874–1932), Australian Dictionary of Biography. - ↑ James Fearon (২০০৩)। "Ethnic and Cultural Diversity by Country" (পিডিএফ)। Journal of Economic Growth। 8 (2): 195–222। এসটুসিআইডি 152680631। ডিওআই:10.1023/A:1024419522867। ১২ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Total Population-Both Sexes (XLSX, 2.4 MB)"। Department of Economic and Social Affairs। ৪ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "টীকা" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="টীকা"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি