পান্না রাজ্য
পান্না রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷[১] এটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলা গঠন করেছে৷
পান্না রাজ্য পণ্ণা पन्ना | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৭৩১–১৯৫০ | |||||||
Panna State in the ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত পান্না রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
রাজধানী | পান্না | ||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৩১ | ৬,৭২৪ বর্গকিলোমিটার (২,৫৯৬ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৩১ | ২,১২,১৩০ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৩১ | ||||||
১৯৫০ | |||||||
|
১,০০৮ টি গ্রাম সংবলিত পান্না রাজ্য ছিল মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সির অন্তর্গত একটি দেশীয় রাজ্য, যা ৬,৭২৪ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ছিল। রাজ্যটির রাজধানী ছিল বর্তমান পান্না জেলার পান্না শহরে।
ইতিহাস
সম্পাদনাএই রাজ্যটির পূর্বতন রাজধানীটি পান্না শহরে ছিলনা। তবে রাজ্যটির প্রতিষ্ঠাকাল ছিল আনুমানিক ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দ এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন রাজগোণ্ড রাজা।[২] প্রায় তিনশ বছর পর মহারাজা ছত্রশাল দীর্ঘ সময় ধরে মুঘলদের প্রতিহত করার পর পান্না রাজ্যের (পূর্বের রাজধানী পান্না না থাকায় রাজ্যটির পৃথক নাম ছিল) প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পান্না শহরে রাজ্যের রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। নবনির্মিত শহরের প্রতিষ্ঠার পর তিনি মারাঠা পেশোয়াদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবেই চুক্তিবদ্ধ হন। ১৬৮০ মাহোবা দখলের পর পান্না রাজ্যের রাজা ছত্রশাল বুন্দেলখন্ড অধিকাংশ অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হন। ১৭৩১ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হলে তার বৃহত্তম রাজ্য পুত্রদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায় এবং এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির অধিকারী হন তার জামাতা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পান্না রাজ্যের অধিকারী হন ছত্রশালের জ্যেষ্ঠ পুত্র হার্দে শাহ।, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে পান্না ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়৷ রাজা নির্পত সিং সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে ব্রিটিশদের সাহায্য করলে ব্রিটিশ সরকার তাকে "মহারাজা" উপাধিতে ভূষিত করেন৷ ঐ একই সময়ে পান্নার মহারাজা নাগোদ এবং সোহাবল রাজ্যের ওপর অধিকার লাভ করেন৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯০২ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা মাধো সিংকে ভারতের ভাইসরয় পদচ্যুত করেন এক বছর পূর্বে নিজেও কাকা রাও রাজা খুমন সিংকে বিষ দিয়ে হত্যা করার অপরাধ প্রমাণ হওয়ার কারণে। [৩]
মহারাজা যাদবেন্দ্র সিং জুদেব ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের পয়লা জানুয়ারি ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানে সম্মতি স্বাক্ষর করলে রাজ্যটি স্বাধীন ভারতের বিন্ধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর তারিখে বিন্ধ্যপ্রদেশ, নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অংশীভূত হয়।
শাসকবর্গ
সম্পাদনাপান্না রাজ্যের শাসকগণ মহারাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন এবং রাজ্যটি ছিল একটি ১১ তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত রাজ্য।[৪]
রাজা
সম্পাদনা- ১৬৭৫ - ১৭৩১ রাজা ছত্রশাল
- ১৭৩১ - ১৭৩৯ হার্দে শাহ সিং
- ১৭৩৯ - ১৭৫২ সভা সিং
- ১৭৫২ - ১৭৫৮ আমন সিং
- ১৭৫৮ - ১৭৭৭ হিন্দুপত সিং
- ১৭৭৭ - ১৭৭৯ অনিরুদ্ধ সিং
- ১৭৭৯ - ১৭৮৫ পদশূণ্য
- ১৭৮৫ - ১৭৯৮ ধোকল সিং
- ১৭৯৮ - ১৮৩৪ কিশোর সিং
- ১৮৩৪ - ১৮৪৯ হরবংশ রায়
- ১৮৪৯ - ১৮৬৯ নির্পত সিং
মহারাজা
সম্পাদনা- ১৮৬৯ - জুন ১৮৭০ নির্পত সিং
- ৯ জুন ১৮৭০ - ১৮৯৩ রুদ্রপ্রতাপ সিং (১ জানুয়ারি ১৮৭৬ থেকে, স্যার রুদ্রপ্রতাপ সিং)
- ১৮৯৩ - ৯ মার্চ ১৮৯৮ লোকপাল সিং
- ৯ মার্চ ১৮৯৮ – ২২ এপ্রিল ১৯০২ মাধো সিং
- ২০ জুন ১৯০২ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ যাদবেন্দ্র সিং জুদেব
নামমাত্র মহারাজা
সম্পাদনা- ১৯৪৭ - ১৯৬৩ : যাদবেন্দ্র সিং জুদেব
- রাঘবেন্দ্র সিং জুদেব (মাঝলে মহারাজা) ও ভরতেন্দ্র সিং জুদেব (নানহে মহারাজা)
- ১৯৬৩ - xxxx : নরেন্দ্র সিং জুদেব
- xxxx - ২০০৯ : মানবেন্দ্র সিং জুদেব
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Panna"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 20 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 680।
- ↑ Princely States of India
- ↑ "An Indian Rajah deposed" (ইংরেজি ভাষায়) দ্য টাইমস (লন্ডন)। Wednesday, 23 April 1902। (36749), পৃ. 5।
- ↑ "Indian Princely States K-Z"। www.worldstatesmen.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৬।