নিজামুদ্দীন আমেঠভি

চিশতিয়া তরিকার আধ্যাত্মিক সুফি সাধক

নিজামুদ্দীন আমেঠভি (উর্দু: نظام الدین عثمانی امیتھوی‎‎) (১৪৯৩ - ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দ/৯০০ - ৯৭৯ হিজরি)[১][২] ছিলেন একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত এবং চিশতিয়া সুফি তরিকার একজন আধ্যাত্মিক সুফি সাধক। তিনি বাগদাদের সুফি সাধক শাইখ সিররি আস-সাকতির বংশধর ছিলেন।

নিজামুদ্দীন আমেঠভি
شيخ نظام الدين اميٹھوی
উপাধিশাইখ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
নিজামুদ্দীন

১৪৯৩
আমেঠি, লখনউ, অবধ রাজ্য
মৃত্যু১৫৭১
গোপামাউ
সমাধিস্থলআমেঠি
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাভারত
জাতিসত্তাভারতীয়
শিক্ষালয়সুফি
বংশপুর্ণ বংশধারা দেখুন
উল্লেখযোগ্য কাজশিক্ষকতা ও চিশতিয়া তরিকা মতবাদ প্রচার
পেশাশিক্ষক
ক্রমচিশতিয়া তরিকা
মুসলিম নেতা
শিক্ষকশাইখ মারুফ বিন ওয়াসি
পেশাশিক্ষক

বংশধারা সম্পাদনা

নিজামুদ্দীন আমেঠভির বংশীয় ধারাক্রম নিম্নরূপ:

নিজামুদ্দীন বিন মুহাম্মদ ইয়াসিন বিন ফখরুদ্দিন বিন আবুল ফজল বিন তাজুদ্দীন উসমানী।[৩]

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

তিনি ১৪৯৩ সালে ভূতপূর্ব অবধ রাজ্যের লখনউ জেলার আমেঠি নামক গ্রামে মুহাম্মদ ইয়াসিন আমেঠির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৪][৩]

বাল্যকালেই তিনি প্রাথমিক শিক্ষালাভ শুরু করেন। অতপর তিনি জৌনপুরে গমন করেন এবং শাইখ মারুফ বিন আব্দুল ওয়াসি'এর অধীনে শিক্ষালাভ করেন।[৫][২] অতপর তিনি মাঙ্কপুরে যান এবং সেখানে নুরুদ্দিন ইবনে হামিদ হুসাইনির হাতে চিশতিয়া তরিকায় বাইআত (শিষ্যত্ব) লাভ করেন।[৪][৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

অতপর তিনি জৌনপুরে ফিরে আসেন এবং কিছুকাল অবস্থান করে আমেঠিতে প্রত্যাবর্তন করেন। আমেঠিতে তিনি খাসায়ে খোদা সালেহির কন্যা মাখদুমা জাহানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অতপর গোপামাউ গমন করেন। অতপর মুফতি আদম ইবনে মুহাম্মদ সিদ্দিকির সাথে নিজ কন্যার বিবাহ দেন এবং কিছুদিন সেখানে অবস্থা করেন। অতপর তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন এবং সাধনা, ইবাদত ও শিক্ষকতা করে অতিবাহিত করেন। অতপর তিনি শাইখ এর দায়িত্বে নিযুক্ত হন।[৪][৩]

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার সম্পাদনা

পরবর্তীতে তিনি গোপামাউ গমন করেন এবং সেখানেই ১৫৭১ সালে মারা যান।[২] তাকে তার জন্মভুমি আমেঠিতে দাফন করা হয়। তার মাজারে তর্দি বেগ একটি বিশাল সমাধীসৌধ নির্মাণ করেন।[৪][৩]

তার স্ত্রী মাখদুমা জাহানের গর্ভে তার ছয় সন্তান জন্মগ্রহণ করে। যারা হলেন, আব্দুল জলিল, আব্দুল ওয়াহহাব, আব্দুল ওয়াসি, মুহাম্মদ, আহমদ ও আব্দুল হালিম। তন্মধ্যে আব্দুল ওয়াসি, আব্দুল ওয়াহহাব ও আব্দুল জলিল তার জীবদ্দশাতেই মৃত্যু বরণ করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে একজন সন্তান জন্মলাভ করে, যার নাম ছিল জাফর।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ذوالقعدہ میں وفات پانے والے صحابہ کرام اور اولیائے کرام رضوان اللہ تعالیٰ علیہم اجمعین"Hamariweb.com Articles (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৫ 
  2. মুহাদ্দিসে দেহলভি, আব্দুল হক (২০০৪)। আখবারুল আখইয়ার। উর্দু বাজার, লাহোর, পাকিস্তান: আকবর সেলার্স। পৃষ্ঠা ৫৪৯ – ৫৫০। 
  3. লখনভি হাসানি, আব্দুল হাই (১৯৯৯)। নুযহাতুল খাওয়াতির ওয়া বাহজাতুল মাসামি' ওয়ান নাওয়াজির। বৈরুত, লেবানন: দারে ইবনে হাযাম। পৃষ্ঠা ৪৪০। 
  4. আতিক খান, ডক্টর মুহসিন (২০১৭-১১-২২)। "شیخ مبارک بودلے جائسی اور اودھ میں دعوت اسلام (تیسری قسط)"মাজামিন ডট কম (উর্দু ভাষায়)। ২০২৩-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৪ 
  5. রহমান আলি, মৌলভি (১৯৬১)। তাযকিরায়ে উলামায়ে হিন্দকরাচি, পাকিস্তান: পাকিস্তান হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৫২৪।