নিগার সুলতানা (অভিনেত্রী)

ভারতীয় অভিনেত্রী

নিগার সুলতানা (২১শে জুন ১৯৩২ - ২১শে এপ্রিল ২০০০) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি আগ (১৯৪৮), পতঙ্গা (১৯৪৯), শীশ মহল (১৯৫০), মির্জা গালিব (১৯৫৪), ইয়াহুদি (১৯৫৮), দো কলিয়াঁ (১৯৬৮)-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তবে মুঘল-ই-আজম (১৯৬০)-এ বাহার বেগম চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে সর্বাধিক স্মরণ করা হয়। তিনি চিত্রনির্মাতা আসিফ করিমের স্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০০ সালের মে মাসে ভারতের মুম্বইয়ে মারা যান।

নিগার সুলতানা
জন্ম(১৯৩২-০৬-২১)২১ জুন ১৯৩২
মৃত্যু২১ এপ্রিল ২০০০(2000-04-21) (বয়স ৬৭)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৬–৮৬
দাম্পত্য সঙ্গীএস.এম.ইউসুফ
কে.আসিফ
সন্তান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

নিগার সুলতানা ১৯৩২ সালের ২১শে জুন তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ কন্যা ছিলেন। তাঁর দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। তিনি তাঁর শৈশব হায়দ্রাবাদ অতিবাহিত করেছিলেন; যেখানে তাঁর বাবা নিজামের রাজ্যে, সেনাবাহিনীতে, মেজর পদে চাকরি করেছিলেন।[১]

তিনি বেশ কিছু সময় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং পরে বাড়িতে পড়াশোনা করেন। তিনি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাটকে অংশ নিয়েছিলেন এবং তারপর থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।[১]

পেশা সম্পাদনা

নিগার সর্বপ্রথম হাম তুম অর ওহ নামক একটি চলচ্চিত্র দেখেছিলেন; এই চলচ্চিত্রটি ১৯৩৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি দেখার পর তিনি একজন অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর তাঁর বাবার বন্ধু জগদীশ শেঠি, মোহন ভাবনানীর সাথে তৈরিকৃত একটি চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি এতে পুরোপুরি শিহরিত হয়ে পরক্ষণেই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিলেন।[১]

তিনি ১৯৪৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রংভূমি নামক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন। রাজ কাপুরের আগ (১৯৪৮) নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে তিনি বলিউডে সকলের নজর কেড়েছিলেন। তিনি এই চলচ্চিত্রে "নির্মলা" চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা সমালোচক এবং দর্শকদের দ্বারা সমাদৃত হয়েছিল। এরপরে তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২]

তিনি ১৯৪৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শিকায়ত নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেটি পুনেতে তৈরি করা হয়েছিল; তারপরে ১৯৪৭ সালে বেলা-তে অভিনয় করেছিলেন, এটি একটি রঞ্জিত প্রযোজনা এবং এরপরে আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এক শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম মুঘল-এ-আজম এ তিনি রাজদরবারের নৃত্যশিল্পী "বাহার" এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যে মধুবালা এবং দিলীপ কুমারের প্রেমকে দেখে ঈর্ষান্বিত হত। লতা মঙ্গেশকর এবং শমসাদ বেগমের গাওয়া "তেরে মেহফিল মে" গানটি তাঁর উপরে চিত্রায়িত হয়েছিল।

মৃত্যু সম্পাদনা

তিনি ২০০০ সালের ২১শে এপ্রিল তারিখে ভারতের মুম্বইয়ে মারা যান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা