দূরত্ব (চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

দূরত্ব এটি ২০০৪-এর একটি বাংলাদেশী শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেন মোরশেদুল ইসলাম, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর ব্যানারে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটির প্রধান কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, হাকিম ফেরদৌস, আখতার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শহিদুল আলম সাচ্চুতানিয়া। ছবিটি ২০০৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।[২]

দূরত্ব
দূরত্ব চলচ্চিত্রের কভার.jpg
ডিভিডি'র মোড়ক
পরিচালকমোরশেদুল ইসলাম[১]
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর
ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)
রচয়িতাহুমায়ূন আহমেদ
শ্রেষ্ঠাংশেরাইসুল ইসলাম আসাদ
হুমায়ুন ফরীদি
সুবর্ণা মুস্তাফা
হাকিম ফেরদৌস
আখতার হোসেন
দেলোয়ার হোসেন
ওয়াহিদা মল্লিক জলি
শহিদুল আলম সাচ্চু
তানিয়া
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকএল অপু রোজারিও
সম্পাদকরতন পাল
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি২০০৪
দৈর্ঘ্য৯৫ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

কাহিনীর সারাংশসম্পাদনা

বাবা মায়ের ব্যস্ততার সীমা নেই। একমাত্র ছেলেকে বাবা মা কেউই ঠিকমত সময় দিতে পারেনা। এভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে ছোট্ট এগার বছরের পুতুল (ফাহাদ)। বাসার কাজের বুয়াই ওর দেখা শুনা করে। বই পড়তে ছবি আকতে আর কম্পিউটারে গেম খেলতে ওর ভাল লাগে। এক সকালে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই বানরের খেলা দেখতে পায়। ও বেরিয়ে আসে । এরপর সে হাটতে হাটতে একটা পার্কে গিয়ে বসে। সেখানে আগে থেকেই ওর বয়সী আরেকটা ছেলে বসে ছিল। সে তার কুকুরটিকে বার বার মারছিল। একসময় সে পুতুলকেও ইটের ছোট টুকরা ছুড়ে মারে। পুতুল ওকে মারছে কেন তা জিজ্ঞেস করতেই ছেলেটা বাজে বাজে কথা বলে। অবশ্য এরপরই ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কত শত গল্প হয়। ছেলেটা রেল স্টেশনে থাকে তার এক মাত্র বোনকে নিয়ে। বোনটা খুব সুইট। ওদের মধ্যে দারুন শখ্যতা গড়ে ওঠে। ওরা ট্রেনে করে ময়মনসিংহ যায়। সেখানেই ট্রেনে এক গানওয়ালার সাথে দেখা হয় যে গান গায় আর দাতের মাজন বিক্রি করে সেই সাথে কান পাকা মলম কর্ণসুন্দর বিক্রি করে। যদিও কেউ তা কেনেনা। পুতুল নতুন বন্ধুদের কাছ থেকে একটা টাকা চেয়ে নিয়ে এক কৌটা কর্ণসুন্দর কিনলে সেই বিক্রেতা যে কি খুশি হয় তা বলার নয়।

ওদিকে একমাত্র ছেলেকে না পেয়ে বাবামা দিশে হারা হয়ে যায়। এক হুজুর ডাকে। সেই হুজুর পুতুলের জামা কাপড়ের গন্ধ শুকে বলে কোথায় আছে। এভাবেই টান টান উত্তেজনার পর এক সময় পুতুল ফিরে আসে নিজের বাড়িতে।

ওদের বাড়িটা দেখে বস্তির সেই মেয়েটি বলে এটা তোমাদের বাড়ি? তোমরা কি এই দেশের রাজা? ও কোন কথা না বলে বাসায় ফিরে যায়।

শ্রেষ্ঠাংশেসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা