দক্ষিণ আরব (আরবি: جنوب الجزيرة العربية) একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল যা পশ্চিম এশিয়ার আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত, প্রধানত এটা এখন ইয়েমেন প্রজাতন্ত্র, তবুও এটি ঐতিহাসিকভাবে বর্তমানে সৌদি আরব এবং বর্তমান ওমানের ধোফার অন্তর্গত নাজরান, জিজান, আল-বাহাহ এবং 'আসির' অন্তর্ভুক্ত করে।

রাজনৈতিক সীমানা অতিক্রম করে দক্ষিণ আরবে স্বাতন্ত্র্যসূচক ভাষা এবং জাতিগত সম্পর্ক, সেইসাথে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অধিকারী মানুষ বসবাস করে। এখানে দুটি আদিবাসী ভাষা গোষ্ঠী রয়েছেঃ বর্তমানে বিলুপ্ত প্রাচীন দক্ষিণ আরব ভাষা এবং সম্পর্কহীন আধুনিক দক্ষিণ আরব ভাষা, যারা উভয়ই সেমেটিক পরিবারের সদস্য।

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

ইয়ামনাত শব্দটি পুরানো দক্ষিণ আরবের শিলালিপিতে দ্বিতীয় হিমিয়ারী রাজ্যের (যা শাম্মার ইয়াহরিশ ২ নামে পরিচিত) একজন রাজার উপাধিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। শব্দটি সম্ভবত আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলরেখা এবং এডেন এবং হাজরামাউতের মধ্যবর্তী দক্ষিণ উপকূলরেখাকে নির্দেশ করছিল।[১][২][৩][৪] ইয়েমেনীর একটি ব্যুৎপত্তি থেকে এসেছে ymnt, যার অর্থ "দক্ষিণ", এবং উল্লেখযোগ্যভাবে ডানদিকে ভূমির ধারণা দেয় ( 𐩺𐩣𐩬 )।[৫] অন্যান্য উত্সগুলি দাবি করে যে ইয়েমেন ইয়ামন বা য়ুমনের সাথে সম্পর্কিত, যার অর্থ "সুখী" বা "আশীর্বাদপ্রাপ্ত", কারণ এ দেশের বেশিরভাগ অংশই উর্বর ভূমি।[৬][৭] রোমানরা আরব মরুভূমি (মরু আরব) এর বিপরীতে একে আরাবিয়া ফেলিক্স (উর্বর আরব ) নামে অভিহিত করেছিল। ধ্রুপদী ল্যাটিন এবং গ্রীক লেখকরা দক্ষিণ আরব (প্রাচীন ইয়েমেন) বোঝাতে "ইন্ডিয়া" নামটি ব্যবহার করেছিলেন। সহস্রাব্দ ধরে দক্ষিণ আরব ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য রুটের অংশ ছিল।[৮] ওমানি সাম্রাজ্যের আবির্ভাবের সাথে, ভারত এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূল এবং মাদাগাস্কারের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
দক্ষিণ আরবের কপালের অলঙ্কার, সম্ভবত ১৮০০ দশকের শেষের দিকে, সোনা, মুক্তা, ফিরোজা, রত্নপাথর দিয়ে তৈরি, যা ডালাস মিউজিয়াম অফ আর্ট ( ডালাস, টেক্সাস, ইউএস) এ প্রদর্শিত হয়েছিল।

তিন হাজার বছর আগে, বেশ কিছু প্রাচীন রাজ্য দক্ষিণ আরবের অঞ্চল দখল করেছিল, যার মধ্যে ছিল মাইন, কাতাবান, হাদরামাউত এবং সাবা[৯] সেই প্রাচীনকালে দক্ষিণ আরব বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য তৈরী করেছিল। যার মধ্যে আছে মারিবের বিখ্যাত বাঁধ, মহাজাগতিক ধূপের বাণিজ্য, সেইসাথে শেবার কিংবদন্তি রানী[১০] দুই হাজার বছর আগে হিমিয়াররা দক্ষিণ আরবের শাসক হয়ে ওঠে। তারা কয়েক শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে রাখে। আকসুমের ইথিওপিয়ান সাম্রাজ্য প্রথমে ৩য়-৪র্থ শতাব্দীতে দক্ষিণ আরব আক্রমণ করে। পরে ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে রাজা কালেবের অধীনে দক্ষিণ আরব আক্রমণ করে যিনি এই অঞ্চল দখল করেন। সাসানি রাজবংশের পারস্য বাহিনীর দ্বারা তারা উৎখাত হয়েছিল ৫৭৫ সালে, যারা সমুদ্রপথে এসেছিল।[১১][১২][১৩][১৪] অর্ধ শতাব্দী পরে, ০৬ হিজরিতে (৬২৮ খ্রি.), অঞ্চলটি ইসলামী শাসকদের দখলে আসে।[১৫]

প্রাচীন দক্ষিণ আরব সম্পাদনা

প্রাচীন রাজ্য এবং পদবিঃ

প্রাক-ইসলামী বিদেশী দখলদারঃ

দক্ষিণ আরবের ইসলামি রাজবংশ সম্পাদনা

আদি আধুনিক ও ঔপনিবেশিক যুগে দক্ষিণ আরব সম্পাদনা

 
দক্ষিণ আরব ফেডারেশনের পতাকা, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রক্ষাকবচ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে দক্ষিণ আরব সম্পাদনা

স্বাধীন ইয়েমেনঃ

ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের বাইরে দক্ষিণ আরব সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বৃহত্তর ইয়েমেন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jawād ʻAlī (১৯৬৮)। الـمـفـصـّل في تـاريـخ العـرب قبـل الإسـلام (আরবি ভাষায়)। Dār al-ʻIlm li-l-Malāyīn। পৃষ্ঠা 171। 
  2. Neuwirth, Angelika; Sinai, Nicolai (২০১০)। The Qur??n in Context: Historical and Literary Investigations Into the Qur??nic Milieu (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 9789004176881 
  3. Burrowes (2010)
  4. Smith, William Robertson। Kinship and Marriage in Early Arabia। পৃষ্ঠা 193। আইএসবিএন 1117531937 
  5. Beeston, A.F.L.; Ghul, M.A. (১৯৮২)। Sabaic Dictionary। University of Sanaa, YAR। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 2-8017-0194-7 
  6. Vladimir Sergeyevich Solovyov (২০০৭)। Enemies from the East?: V. S. Soloviev on Paganism, Asian Civilizations, and Islam। Northwestern University Press। পৃষ্ঠা 149। আইএসবিএন 9780810124172 
  7. Edward Balfour (১৮৭৩)। Cyclopædia of India and of Eastern and Southern Asia, Commercial, Industrial and Scientific: Products of the Mineral, Vegetable and Animal Kingdoms, Useful Arts and Manufactures, Band 5। Printed at the Scottish & Adelphi presses। পৃষ্ঠা 240। 
  8. "Indian Ocean Trade Routes" 
  9. Brian Doe, South Arabia (London: Thames & Hudson 1971) at 60–102.
  10. Jean-Francois Breton, Arabia Felix (University of Notre Dame 1999) at 13–20, 23; 53–73; 3–5, 41–43.
  11. al-Tabari, The History of al-Tabari, volume V, The Sasanids, the Byzantines, the Lakmids, and Yemen (S.U.N.Y. 1999), in Yemen: Ethiopian conquest at 179, 182–183, 204–208, 212; Persia over al-Habashah at 159–160, 236–249.
  12. Stuart Munro-Hay, Aksum. An African civilization of late antiquity (Edinburgh Univ. 1991) at 71–74, 76–77 (3rd century), at 78–80 (4th century), at 84–88 (6th century).
  13. Sally Ann Baynard, "Historical Setting" in The Yemens: Country Studies (Washington, D.C.: Foreign Area Studies, The American University, c.1985) 1–89, at 3–14: Ethiopians at 11–12 (4th century for 4 decades, 6th century for about 50 years); Persians at xiii, 12.
  14. Guy Annequin, Little-Known Civilizations of the Red Sea (Geneva: Ferni 1979) at 196–202.
  15. al-Tabari, The History of al-Tabari, volume VIII, The Victory of Islam (S.U.N.Y. 1997) at 114 (became Muslim).
  16. Abū Muḥammad ʿAbd al-Malik b. Hishām, al-Sīra al-Nabawiyya. 3rd edition. 4 vols. (Beirut: Dār Ṣādir, 2010), 1:60-66; Fred M. Donner, Muhammad and The Believers: At the Origins of Islam (Cambridge: Belknap Press of Harvard University Press, 2012), 34; G.W. Bowersock, The Throne of Adulis: Red Sea Wars on the Eve of Islam (Oxford University Press, 2013), 117.