তিরুক্কুরুনতান্তকম

তিরুক্কুরুনতান্তকম ( তামিল: திருக்குறுந்தாண்டகம் ) তিরুমঙ্গাই আলবরের লেখা একটি তামিল হিন্দু সাহিত্যকর্ম। তিরুমঙ্গাই ছিলেন [১] [২] শ্রী বৈষ্ণবধর্মের বারোজন কবি-সন্তের একজন। [৩] কাব্যটি নালায়রা দিব্য প্রবন্ধম নামক স্তোত্রসংকলনের একটি অংশ। [৪] তিরুক্কুরুনতান্তকম ২০টি স্তোত্র নিয়ে গঠিত যা দেবতা বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত। এটি একটি তামিল কাব্যিক ছন্দে রচিত হয় যা তন্তকম নামে বিখ্যাত। এখানে একটি স্তবকের প্রতিটি পঙক্তিতে চতুষ্পদী শ্লোকের অংশীভুত ২৬টিরও বেশি অক্ষর আছে । [৫] [৬]

তিরুক্কুরুনতান্তকম
হনুমানের লঙ্কা দহন, রাজা রবি বর্মার চিত্র।
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
রচয়িতাতিরুমঙ্গাই আলবার
ভাষাতামিল
যুগখ্রিষ্টীয় ৯ম-১০ম শতাব্দী
শ্লোক২০

স্তবগান সম্পাদনা

তিরুক্কুরন্তন্তকম -এ কবি-সাধক দেবতার পবিত্র মন্দির তথা বেশ কয়েকটি দিব্য দেশম- এ বিষ্ণুর প্রতি তাঁর মঙ্গলাসনম (শুভ অভিনন্দন) অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বেশ কয়েকটি স্তোত্রে তিনি বিলাপ করে বলেছেন,তার মূল্যবান সময় তিনি হরিভক্তির পরিবর্তে ক্ষণস্থায়ী আনন্দ উপভোগে ব্যয় করেছিলেন। তিনি বিষ্ণু ও তাঁর কল্যাণ গুণাবলীকে তাঁর খাদ্য ও পানীয় বলে মনে করেন। [৭]

তিরুমঙ্গাই আলবর মোক্ষ লাভের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের প্রতি আত্মনিবেদন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যা তার মতে পার্থিব দুঃখকষ্টের অবসান ঘটায়। [৮]

এই রচনার পঞ্চম স্তোত্রে কবির আরাধ্য দেবতার মাধুর্যকে আখের রস উপভোগের সাথে তুলনা করেছেন : [৯]

তপ্ত লোহা যেমন পানি পান করে তদ্রুপ আমিও প্রেমে পূর্ণ হয়ে গেলাম। তা প্রভুকে সমর্পণ করে ভক্ত আমি গমন করলাম আর আমার আশ্রয় মিলে গেল। মেঘের মতো শ্যাম প্রভুকে হৃদয়ে রেখে আপনাকে আমি ইক্ষরসের মতো পান করি। আহা! কতই না মধুর আপনি!

— স্তোত্র ৫

এক স্তোত্রে রামায়ণে হনুমানের কার্যাবলীকে রামের প্রতি তার আত্মোৎসর্গের তুলনা করে বলা হয়েছে  : [১০]

পুরাকালে হনুমান সমৃদ্ধ এবং দেওয়াল দ্বারা সংরক্ষিত লঙ্কায় গিয়ে তা পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিলেন এবং তখন রামের চরণসেবার জন্য ফিরে এলেন। এই ভক্ত আমি, নিজের অস্থি পর্যন্ত গলিয়ে দেব, তখন স্নান করে, প্রভুকে নিজের প্রেমাসিক্ত হৃদয় থেকে বহির্গত জ্ঞানরূপ বারি দিয়ে তিরুমঞ্জন করাবো।

— স্তোত্র ১৫

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Dalal, Roshen (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 417। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6 
  2. Literary Heritage of the Tamils (ইংরেজি ভাষায়)। International Institute of Tamil Studies। ১৯৮১। পৃষ্ঠা 230। 
  3. RAMANUJAN, S. R. (২০১৪-০৮-১৩)। THE LORD OF VENGADAM (ইংরেজি ভাষায়)। PartridgeIndia। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-1-4828-3462-8 
  4. Cutler, Norman (১৯৮৭-০৫-২২)। Songs of Experience: The Poetics of Tamil Devotion (ইংরেজি ভাষায়)। Indiana University Press। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-0-253-11419-8 
  5. Zvelebil, Kamil (১৯৭৪)। Tamil Literature (ইংরেজি ভাষায়)। Otto Harrassowitz Verlag। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 978-3-447-01582-0 
  6. Peterson, Indira Viswanathan (২০১৪-০৭-১৪)। Poems to Siva: The Hymns of the Tamil Saints (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 80। আইএসবিএন 978-1-4008-6006-7 
  7. Sathakopan, Sri Varadachari। Thirumangai Azhwar's Thirukkurunthandakam (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 5। ১০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২৩ 
  8. Venkataraman, M. (২০২২-০৫-৩১)। ALWARS: THE VAISHNAVITE SAINTS (ইংরেজি ভাষায়)। Venkataraman M। পৃষ্ঠা 428। 
  9. Makarand Joshi। The Sacred Book Of Four Thousand 01 Nalayira Divya Prabandham Sri Rama Bharati 2000। পৃষ্ঠা 423। 
  10. Makarand Joshi। The Sacred Book Of Four Thousand 01 Nalayira Divya Prabandham Sri Rama Bharati 2000। পৃষ্ঠা 425। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

Tirukkuruntantakam (Tamil)