তিমুর সাগর

একটি অপেক্ষাকৃত অগভীর সমুদ্র যেটি উত্তর দিকে তিমুর দ্বীপ, পূর্বে আরাফুরা সাগর, এবং পশ্চিমে অস্ট

তিমুর সাগর (ইন্দোনেশীয়: Laut Timor; পর্তুগিজ: Mar de Timor; তেতুম: Tasi Mane অথবা Tasi Timór) হচ্ছে একটি অপেক্ষাকৃত অগভীর সমুদ্র যেটি উত্তর দিকে তিমুর দ্বীপ, পূর্বে আরাফুরা সাগর, এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ার সীমানা দ্বারা বেষ্টিত।

তিমুর সাগর
Map
স্থানাঙ্ক১০° দক্ষিণ ১২৭° পূর্ব / ১০° দক্ষিণ ১২৭° পূর্ব / -10; 127
ধরনসমুদ্র
অববাহিকাপূর্ব তিমুর, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া
পৃষ্ঠতল অঞ্চল৬,১০,০০০ কিমি (২,৪০,০০০ মা)
গড় গভীরতা৪০৬ মি (১,৩৩২ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা৩,২০০ মি (১০,৫০০ ফু)
দ্বীপপুঞ্জতিউই দ্বীপপুঞ্জ, অ্যাশমোর এবং কারটিয়ের দ্বীপপুঞ্জ
ট্রেঞ্চতিমুর খাদ
জনবসতিডারউইন, উত্তর অঞ্চল

সাগরটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রবালপ্রাচীর, বসতিহীন দ্বীপপুঞ্জ এবং গুরুত্বপূর্ণ হাইড্রোকার্বনের মজুদ। সাগরটিতে মজুদ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিরোধের সৃষ্টি হয় যার ফলে তিমুর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২০০৯-এ তিমুর সাগরে ২৫ বছরের সবচেয়ে ভয়ানক তেল নি:সরনের ঘটনা ঘটে।[১]

এটি হতে পারে যে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম অধিবাসীরা এসেছিল ইন্দোনেশিয়া থেকে তিমুর সাগর পাড়ির মাধ্যমে যখন কিনা সাগরের স্তর নিচু ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ভূগোল সম্পাদনা

 
তিমুর সাগর ভারত মহাসাগরের পূর্বে অবস্থিত।

এটির পূর্বদিকের পানি আরাফুরা সাগর নামে পরিচিত। তিমুর সাগর উত্তর অস্ট্রেলীয় উপকূলের তিনটি দৃঢ়কায় উপসাগরের সংলগ্ন, এগুলো হল জোসেফ বোনাপার্ট উপসাগর, বিগল উপসাগর এবং ভ্যান ডিয়েমেন উপসাগর। অস্ট্রেলীয় শহর ডারউইন হচ্ছে এই সাগর সংলগ্ন একমাত্র বড় শহর। উইন্ডহ্যাম ছোট শহরটি ক্যামব্রিজ উপসাগরের পশ্চিমে অবস্থিত,এটি জোসেফ বোনাপার্ট উপসাগরের একটি খাঁড়ি।

উত্তর অঞ্চল থেকে প্রবাহিত হয়ে তিমুর সাগরে পতিত হয় এমন নদীগুলোর মধ্যে অর্ন্তভুক্ত হল ফিশ নদী, কিং নদী, ড্রাই নদী, ভিক্টোরিয়া নদী এবং এ্যলিগ্যাটর নদী। তিমুর সাগরে পতিত হওয়া কিমবার্লি অঞ্চলের নদীগুলি হল অর্ড নদী, ফরেস্ট নদী, পেন্টেকস্ট নদী এবং ঢুরাক নদী।

সাগরটি ৪৮০ কিমি (৩০০ মাইল) প্রশস্ত এবং ৬১০,০০০ কিমি² (২৩৫,০০০ বর্গমাইল) এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। এর গভীরতম বিন্দু হল তিমুর খাদ (কিছু ভূতাত্ত্বিক বিবেচনা করেন যে এটি সুন্ডা খাতের দক্ষিণ-পূর্ব বিস্তারের অংশ, কিন্তু অন্যরা এটিকে দেখে তিমুর দ্বীপের পর্বতশ্রেণী এর অন্তরীপ হিসেবে।), খাদটি সাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত, যার গভীরতা ৩,৩০০ মি (১০,৮০০ ফু)। সাগরের অবশিষ্টাংশ অনেকটাই অগভীর, বেশির ভাগের গড় ২০০ মি (৬৫০ ফু) গভীরতার কম, এটি হিসাবে সাহুল শেল্ফে অবস্থিত, যেটি অস্ট্রেলীয় মহীসোপানের অংশ।

বিগ ব্যাংক শোলস হচ্ছে মহীসোপান এবং তিমুর খাদের মধ্যবর্তী ঢালু অঞ্চলের একটি এলাকা যেখানে কিছু সংখ্যক জলতলস্থিত ব্যাংকস অবস্থিত।[২] মগ্নচড়ার বাস্তুসংস্থান এগুলোর চারপাশের গভীর জলের থেকে ভিন্ন। মে ২০১০-এ, ঘোষণা করা হয়েছিল যে তিমুর সাগরের সমুদ্রতলদেশে প্রায় ৫০ কিমি চওড়া একটি জ্বালামুখ আবিষ্কৃত হয়েছে।[৩]

ব্যাপ্তি সম্পাদনা

 
২০০৬-এ তিমুর সাগরের উপরে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ফ্লয়েড

আর্ন্তজাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থা (IHO) তিমুর সাগরকে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম তরঙ্গ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে। IHO নিম্নোক্তভাবে এর সীমারেখা নির্ধারন করেছে:[৪]

উত্তরে সাভু সাগরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমানা [তিমুরের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের রোটি থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একটি রেখা দ্বারা, এই দ্বীপের মধ্য দিয়ে এটির দক্ষিণপশ্চিম বিন্দুতে] তিমুরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এবং বাঁদা সাগরের দক্ষিণ সীমানা [লকভ দক্ষিণ উপকূল বরাবর তানজং অরো ওসেও থেকে, লকভ এর দক্ষিণ পূর্ব বিন্দু বরাবর শের্মাতা হয়ে তানজং নাজাদোরা পর্যন্ত (৮°১৬′ দক্ষিণ ১২৮°১৪′ পূর্ব / ৮.২৬৭° দক্ষিণ ১২৮.২৩৩° পূর্ব / -8.267; 128.233), মোয়া এবং লেটী দ্বীপ থেকে তানজুং টুয়েট পাতেহ, লেটী-এর পশ্চিম বিন্দু, অত:পর তিমুরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রান্তসীমা তানজং সেওইরাওয়া পর্যন্ত একটি রেখা]।

পূর্বে আরাফুরা সাগরের পশ্চিম সীমানা [কেপ ডন থেকে তানজং অরো ওসেও পর্যন্ত একটি লাইন, সেলারই এর দক্ষিণ বিন্দু (তানিমবার দ্বীপপুঞ্জ)]।

দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলের কেপ ডন থেকে কেপ লন্ডনডেরী (১৩°৪৭′ দক্ষিণ ১২৬°৫৫′ পূর্ব / ১৩.৭৮৩° দক্ষিণ ১২৬.৯১৭° পূর্ব / -13.783; 126.917) পর্যন্ত।

পশ্চিমে কেপ লন্ডনডেরীর একটি রেখা থেকে রোটি দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বিন্দু পর্যন্ত (১০°৫৬′ দক্ষিণ ১২২°৪৮′ পূর্ব / ১০.৯৩৩° দক্ষিণ ১২২.৮০০° পূর্ব / -10.933; 122.800)।

আবহাওয়া সম্পাদনা

অনেক ক্রান্তীয় ঝড় এবং ঘূর্ণিঝড় তিমুর সাগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফেব্রুয়ারি ২০০৫-এ, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ভিভিয়েন এলাকাটিতে তেল ও গ্যাস উৎপাদন ব্যবস্থাকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং পরবর্তী মাসে, তীব্র ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় উইলি উৎপাদন বিঘ্নিত করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পেট্রোলিয়াম উৎপাদন সুবিধাগুলি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পিত, যদিও নিরাপত্তা সতর্কতার জন্য উৎপাদন প্রায়ই হ্রাস করা হয় বা সাময়িকভাবে থামানো হয় এবং শ্রমিকদের হেলিকপ্টার দ্বারা মূল ভূখন্ডে নিয়ে আসা হয় প্রধানত ডারউইন অথবা দিলিতে

প্রবালপ্রাচীর এবং দ্বীপসমূহ সম্পাদনা

 
Rowley Shoals, 2005

উল্লেখযোগ্য কিছু সংখ্যাক দ্বীপ এই সমুদ্রে অবস্থিত, লক্ষণীয়ভাবে মেলভিল দ্বীপ, অস্ট্রেলিয়ার তিওয়ি দ্বীপপুঞ্জের অংশ, এবং অস্ট্রেলিয়া-শাসিত অ্যাশমোর এবং কারটিয়ের দ্বীপ। এটা মনে করা হয় যে প্রথম দিকে মানুষরা অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছিল তিমুর সাগরে প্লব দ্বীপের মাধ্যমে।

স্কট ও সেরিঙ্গাপাতাম প্রবালপ্রাচীর এই এলাকায় গঠিত হয়েছিল এবং পশ্চিমে একই সমুদ্রগর্ভপথে রৌলি মগ্নচড়া অবস্থিত।

তিমুর স্রোত সম্পাদনা

তিমুর স্রোত হচ্ছে একটি মহাসাগরীয় স্রোত যেটি ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তিমুর সাগরে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। এটি ইন্দোনেশীয় স্রোতের একটি প্রধান সাহায্যকারী যেটি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত জল সরবরাহ করে।

হাইড্রোকার্বন মজুদ সম্পাদনা

 
Oil slick from the Montara oil spill in the Timor Sea September, 2009.

তিমুর সাগরের নিচে উল্লেখযোগ্য পরিমান তেল এবং গ্যাস রয়েছে। কিছু সংখ্যাক উপকূলবর্তী পেট্রোলিয়াম প্রকল্প এখন চালু রয়েছে এবং সেখানে কিছু অনুসন্ধান কার্যকলাপও চলছে এবং অনেক প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে। একটি গ্যাস পাইপলাইন তিমুর সাগর অতিক্রম করেছে সংযুক্ত পেট্রোলিয়াম উন্নয়ন এলাকা থেকে ডারউইনের নিকটে উইকহ্যাম পয়েন্ট পর্যন্ত।[৫]

তিমুর সাগর ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য বৃহত্তম তেল বিপর্যয়ের স্থান যখন মন্টারা তেল ক্ষেত্রটি ২১ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কনডেনসেট নি:সরন করেছিল।[৬] এই নি:সরনের ঘটনার সময় প্রতিদিন ৪০০ ব্যারেল তেল পানিতে মিশে যেত। অনুসন্ধানে মন্টারা কমিশন ওয়েলসের মালিক থাই কোম্পানী পিটিটিইপিকে দায়ী করে।[১]

বায়ো-আনদান প্রকল্প সম্পাদনা

তিমুর সাগরে পরিচালিত হওয়া বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম প্রকল্প হচ্ছে বায়ো-আনদান প্রকল্প, এটি পরিচালনা করে ককনোফিলিপস। বায়ো-আনদান ক্ষেত্রটি ডারউইনের প্রায় ৫০০ কিমি উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। গ্যাস পুনর্ব্যবহার প্রকল্প হিসাবে ২০০৪ সালে উৎপাদন শুরু হয়েছিল - কাঁচা উৎপাদন প্রবাহ থেকে ছিটানো এবং রপ্তানি করা তরল (কনডেনসেট, প্রোপেন এবং রাসায়নিক যৌগ) দিয়ে। গ্যাসকে জলাধারের মধ্যে নিচে পাম্প করা হয়েছিল। প্রায় একই সময়ে, সমুদ্রতলে ৫০০ কিমি লম্বা প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন চালু করা হয় ডারউইন পোতাশ্রয়ের উইকহ্যাম পয়েন্টে অবস্থিত একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্ল্যান্টের জন্য। ২০০৫ সালে পাইপলাইন এবং ডারউইন এলএনজি প্লান্টটি সম্পন্ন হওয়ার পর, উপকূল থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রে অবস্থিত বায়ো-আনদান প্রকল্পে গ্যাস উৎপাদনের পর এখান গ্যাসগুলি ডারউইন প্লান্টে পাঠানো হয় যেখানে এগুলো একটি তরল গ্যাসে রূপান্তরিত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী বিক্রয় চুক্তি অধীনে জাপানে পরিবহন করা হয়।[৭] বায়ো-আনদান প্রকল্পটি শুরুর পর থেকে, পূর্ব তীমুর ২০১৭ পর্যন্ত ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে; যাহোক, এটি পূর্বাভাস করা হয় যে এটির গ্যাসের মজুদ ২০২৩ পর্যন্ত টিকে থাকবে।[৮]

অন্যান্য প্রকল্প সম্পাদনা

এইডি অয়েল হচ্ছে পাফিন তেলক্ষেত্রের বৃহৎ তেল প্রকল্পের মালিক এবং উডসাইড পেট্রোলিয়াম লামিনারিয়া তেলক্ষেত্রে তেল উৎপাদন করে। ১৯৭৪ সালে আবিষ্কৃত বৃহত্তর সানরাইজ গ্যাস ক্ষেত্রটি এই অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তম এবং আশা করা যায় পূর্ব তিমুরকে কয়েক বিলিয়ন ডলার উপার্জনে সাহায্য করবে এটি । উডসাইড পেট্রোলিয়াম একটি ভাসমান প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৃহত্তর সানরাইজ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস প্রক্রিয়া করার পরিকল্পনা করছে, তবে পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী Xanana Gusmão এই পরিকল্পনাটির বিরোধিতা করেছেন এবং এর পরিবর্তে প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি পাইপ লাইনের মাধ্যমে দিলিতে গ্যাস দিতে চান।[৯]

আঞ্চলিক বিরোধ সম্পাদনা

 
ডিসেম্বর ২০১৩-এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

১৯৭০-এ তিমুর সাগরে পেট্রোলিয়াম আবিষ্কারের পর থেকে, তিমুর গ্যাপ নামে পরিচিত তিমুর সাগরের একটি অংশে অবস্থিত সম্পদগুলির মালিকানা ও শোষণের অধিকার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, এটি তিমুর সাগরের এলাকা যেটি তিমুর সাগরের উত্তর ও দক্ষিণে বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক সীমান্তের বাইরে অবস্থিত।[১০] এই মতবিরোধে প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া জড়িত, যদিও একটি সমাধান শেষ পর্যন্ত তিমুর গ্যাপ চুক্তি আকারে পৌঁছেছিল। ১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুরের জাতীয়তা ঘোষণার পর, তিমুর গ্যাপ চুক্তির শর্তাবলী বর্জিত হয় এবং তিমুর সাগর চুক্তির চূড়ান্ত পরিণতিতে অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।

অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক দাবি তিমুর গোত্রের বাথমেমেট্রিক অক্ষ (সর্বাধিক সমুদ্রতল গভীরতার রেখা) বরাবর বিস্তৃত। এটি পূর্ব তিমুরের নিজস্ব আঞ্চলিক দাবির উপরে ছাপিয়ে যায়, যা প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি পর্তুগাল এবং সমুদ্রের আইনের উপর জাতিসংঘের কনভেনশন অনুসরণ করে দাবি করে যে বিভাজক রেখাটি উভয় দেশের মধ্যে মধ্যবর্তী হওয়া উচিত।

এটি ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় যে, অস্ট্রেলিয়ার গোপন গোয়েন্দা বাহিনী (এএসআইএস) গ্রেটার সানরাইজের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলির উপর আলোচনার সময় পূর্ব তিমুরের কথাবার্তা শোনার জন্য গোপনে ডিভাইস ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। এটি অস্ট্রেলিয়া-পূর্ব তিমুর গুপ্তচরবৃত্তি কলঙ্ক হিসাবে পরিচিত হয়।

তিমুর সাগর চুক্তি সম্পাদনা

তিমুর সাগর চুক্তি, যেটি স্বাক্ষরিত হয় ২০ মে ২০০২-এ, তিমুর সাগর নামক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে (টিএসডিএ)। এই সংস্থাটি যৌথ পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্ট এরিয়া (জেপিডিএ) নামে পরিচিত তিমুর সাগরের একটি অংশের সমস্ত পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। ফেব্রুয়ারি ২০০৭-এ চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।[১০]

চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে, পূর্ব তিমুর এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ৯০:১০ অনুপাতে জেপিডিএ-তে পেট্রোলিয়াম উৎপাদনের রয়্যালটি বিভক্ত।[১১] এটি সমালোচিত হয়েছিল কারণ পূর্ব তিমুর এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সামুদ্রিক সীমানা চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি।[১০]

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সম্পাদনা

১৯৪০-এর দশকে জাপানি নৌবাহিনী তিমুর সাগরে জাহাজ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিমান হামলা করতো। ১৯ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪২-এ জাপান বিমানবাহী জাহাজ কোয়াগা ও অন্যান্য জাহাজ দিয়ে ডারউইন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়, এতে ইউএসএস পিরি সহ ৯ টি জাহাজ ডুবে যায়। এই বোমাহামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রশান্ত মহাসাগরীয় মঞ্চে তিমুরের যুদ্ধের শুরু ঘটিয়েছিল।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Andrew Burrell (২৯ এপ্রিল ২০১১)। "Montara oil spill firm seeks permission for more drills"The Australian। News Limited। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১১ 
  2. "Big Bank Shoals of the Timor Sea"। Australian Institute of Marine Science। ৩০ আগস্ট ২০০১। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০ 
  3. Jess Teideman (২১ মে ২০১০)। "Vast asteroid crater found in Timor Sea"Australian Geographic। ২৪ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  4. "Limits of Oceans and Seas, 3rd edition" (পিডিএফ)। International Hydrographic Organization। ১৯৫৩। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  5. "Santos - Our Activities - Timor Sea"Santos। ১৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১০ 
  6. "Huge oil spill plugged at last - rig owner"The AustralianNews Limited। ৩ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-০৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Darwin LNG"। ২৩ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  8. "Timor-Leste's big-spending leaders are squandering its savings"The Economist। ৪ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  9. "East Timor's Prime Minister Xanana Gusmão accuses Woodside of lying"news.com.auNews Limited। ২৭ মে ২০১০। ৩০ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  10. Richard Baker (২১ এপ্রিল ২০০৭)। "New Timor treaty 'a failure'"Theage.com.au। The Age Company Ltd। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১০ 
  11. "Joint Petroleum Development Area Fact sheet" (পিডিএফ)। ২০০৮-০৪-০৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-২৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা