তারিক ফাতেমি
সৈয়দ তারিক ফাতেমি (উর্দু: طارق فاطمى; জন্ম: ৯ জুলাই ১৯৪৪), একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক যিনি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করেন। তিনি ইতিপূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২]
তারিক ফাতেমি | |
---|---|
পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী | |
কাজের মেয়াদ ৭ জুন ২০১৩ – ২৮ জুলাই ২০১৭ | |
রাষ্ট্রপতি | মামনুন হুসেন |
প্রধানমন্ত্রী | নওয়াজ শরীফ |
পূর্বসূরী | নবাবজাদা মালিক আমাদ খান |
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | রিয়াজ খোখার |
উত্তরসূরী | মালিহা লোধি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সৈয়দ তারিক ফাতেমি ৯ জুলাই ১৯৪৪ ঢাকা, পূর্ব বাংলা, ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
রাজনৈতিক দল | পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) |
দাম্পত্য সঙ্গী | জহরা ওয়াদুদ ফাতেমি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কূটনীতিক |
জীবনী
সম্পাদনাতৎলালীন ব্রিটিশ ভারতের ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী, ফাতেমি কর্মজীবনে পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনও কাজ করেছেন।[৩] এছাড়াও, তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) -এর পাকিস্তানের বৈদেশিক কূটনীতিক হিসাবে কাজ করেছেন। বৈদেশিক কূটনীতিক ছাড়াও তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত কোর্স এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বিষয়কের উপর শিক্ষকতা করেছেন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এর অন্যতম সদস্য, তিনি "দি ফিউচার অফ পাকিস্তান" বইটির রচয়িতা এবং নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে দেশের বৈদেশিক বিষয়ক তথ্য প্রদান করেন।[৩] তিনি রাশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং রুশ ভাষায় পারদর্শী।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাপাকিস্তানি কূটনীতিক হিসাবে দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে, যার মধ্যে নিউইয়র্ক, মস্কো (দুই বার), বেইজিং এবং ওয়াশিংটনে (দুই বার) কাজ করেন। তিনি আমেরিকা ও ইউরোপ বিভাগের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক, প্রতিরক্ষা ও প্রতিরক্ষা সৃষ্টির দায়িত্বে পালন করেন।
১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনগুলোর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘ কর্তৃক আফগানিস্তান বিষয়ে জেনেভা সন্ধিস্থাপন আলোচনার জন্য জোট-নিরপেক্ষ ও ওআইসির সম্মেলনে অংশ নেন।
১৯৯৯ সালে ফাতেমিকে কেন্দ্রীয় সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় - এটি দেশের বেসামরিক চাকরি সর্বোচ্চ পদ।
তিনি জিম্বাবুয়েতে পাকিস্তানের হাই কমিশনার (কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত) এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্দান, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ এবং পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ব্রাসেলস) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[৪]
অবসর গ্রহণের পরে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)-এ যোগদান করেন এবং দলের বিভিন্ন বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ বিষয়ে দলকে সহায়তা করেন।
ডন লিক্সস অভিযুক্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২০১৭ সালের এপ্রিলে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদ থেকে ফাতেমিকে অপসারণের নির্দেশ জারি করে। [৫] এর আগে একটি তদন্ত কমিটি ডন লিক্সসের জন্য ফাতেমিকে দায়ী করে।[৬] অভিযোগটি বিদায়ী চিঠিতে ফাতেমি প্রত্যাখ্যান করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ MOFA। "Profile of SYED TARIQ FATEMI"। Government of Pakistan। Ministry of Foreign Affairs Press Release। ১৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮।
- ↑ Staff। "Will the real Foreign Minister please stand up?"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ Participants of the Brookings Institution। "Participants of the Brookings Institution (includes profile of Tariq Fatemi)" (পিডিএফ)। Brookings Institution। ১৪ মে ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮।
- ↑ carnegieendowment। "CURRICULAM VITAE OF SPECIAL ASSISTANT TO THE PRIME MINISTER AMBASSADOR SYED TARIQ FATEMI" (পিডিএফ)।
- ↑ "Tariq Fatemi removed from post by PM following inquiry into Dawn story"। Dawn। ২৯ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৮।
- ↑ "Inquiry report holds Tariq Fatemi responsible for Dawn leaks"। Express Tribune। ২০ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৮।
- ↑ "Tariq Fatemi rejects inquiry committee allegations against him in farewell letter"। Dawn। ২ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৮।