ডিন জোন্স
ডিন মারভিন জোন্স, এএম (ইংরেজি: Dean Jones; জন্ম: ২৪ মার্চ, ১৯৬১ - মৃত্যু: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) ভিক্টোরিয়ার কোবার্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন।
![]() ১৯৯২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডিন জোন্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডিন মারভিন জোন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কোবার্জ, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৪ মার্চ ১৯৬১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ মুম্বই, ভারত | (বয়স ৫৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩২৪) | ১৬ মার্চ ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৯) | ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ এপ্রিল ১৯৯৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১ - ১৯৯৮ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ - ১৯৯৭ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
ডিন জোন্স কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ক্রিকেট ধারাভাষ্যের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
১৯৮১-৮২ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গ্রাহাম ইয়ালপের আঘাতপ্রাপ্তিতে দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। মূল একাদশে না থাকলেও স্টিভ স্মিথের অসুস্থতায় খেলার সুযোগ পান। টেস্ট শুরুর পূর্বে খুবই অসুস্থ থাকা স্বত্ত্বেও অভিষেকেই তিনি ৪৮ রান সংগ্রহ করেন।[১]
খেলোয়াড়ী জীবনসম্পাদনা
১৯৮৪ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে জোন্স ৫২ টেস্টে অংশ নেন। ৪৬.৫৫ রান গড়ে ১১ সেঞ্চুরিতে ৩,৬৩১ রান সংগ্রহ করেন। ১৯৮৬ সালে ভারত সফরে তৎকালীন মাদ্রাজের বিখ্যাত টাই টেস্টে স্মরণীয় ইনিংস খেলেন। নিজস্ব তৃতীয় ঐ টেস্টে প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় পিচের মধ্যেই বেশ কয়েকবার বমি করতে থাকেন। কিন্তু অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের উদ্দীপনায় তিনি ২১০ রান করেন যা তার নিজস্ব সেরা সংগ্রহ ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে মহাকাব্যিক টেস্ট ইনিংসরূপে পরিচিতি পেয়ে আসছে।[১]
টেস্ট ক্রিকেটে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের অন্যতম ব্যাটিং মেরুদণ্ডে আসীন ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সফরে দলের প্রধান তারকার খ্যাতি পান। কিন্তু ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের শুরুতে বিতর্কিতভাবে টেস্ট দল থেকে ছিটকে পড়েন। অথচ, পূর্বেকার টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান গড়ে তিনি শীর্ষস্থানে ছিলেন।[২] কোচ বব সিম্পসনের সাথে ব্যক্তিগত বাদানুবাদ ও প্রচারমাধ্যমের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ই এর কারণ ছিল। অন্যান্য ধারাভাষ্যকারদের অভিমত যে, জাতীয় দল নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদই তার টেস্টে খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল মৃত্যু ডেকে আনে।
একদিনের আন্তর্জাতিকসম্পাদনা
একদিনের আন্তর্জাতিকে অন্যতম সফল ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়ে আসছেন তিনি। ১৬৪ খেলায় ৭ সেঞ্চুরি ও ৪৬ অর্ধ-শতক সহযোগে ৪৪.৬১ রান গড়ে ৬,০৬৮ রান করেন। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৭২.৫৬ যা বর্তমানের সাথে তুলনান্তে ঐ সময়ের জন্য সর্বোচ্চ স্তরের ছিল।
১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বিদ্যুৎ গতিতে রান সংগ্রহ, বহিঃমাঠে ক্যাচ সংগ্রহ, ফাস্ট বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলকাম হন।
বিতর্কসম্পাদনা
টেন স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালনকালে ডিন জোন্স ৭ আগস্ট, ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট খেলার ক্যাচ সংগ্রহকালে হাশিম আমলাকে টেরোরিস্ট বা সন্ত্রাসী নামে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেছিলেন যে, সন্ত্রাসীটি আরো একটি উইকেট ধরল। পরমুহুর্তেই সম্প্রচার বন্ধ করে বাণিজ্যিকভাবে বিজ্ঞাপন বিরতি দেয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বব্যাপী এ সম্প্রচারের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থক, খেলোয়াড়, সাবেক ক্রিকেটারসহ ভাষ্যকারের প্রচণ্ড ও বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ফলে টেন স্পোর্টস চ্যানেলটি ডিন জোন্সের সাথে তাদের চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখে। পরবর্তীতে জোন্স আমলা'র কাছে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, এ ধরনের মন্তব্য ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন না।[৩]
২০১১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ চলাকালে জোন্স মন্তব্য করেন যে, আরসিএকে ওয়ার্নের পদচুম্বন করা উচিত।[৪]
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
জুলাই, ২০১০ সালে জোন্স ২০০৭ সালের বর্ষসেরা পিতা পদবী প্রাপ্তির বিষয়ে বলেন যে, একজন বিমানবালার সাথে তার নয় বছরের সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন যাকে তিনি কখনও দেখেননি।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে বিলি মারডক ও প্রমিলা ক্রিকেটার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিকের সাথে একত্রে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[৫]
দেহাবসানসম্পাদনা
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে ভারতের মুম্বইয়ে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে ডিন জোন্সের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন স্টার নেটওয়ার্কের সম্প্রচারকারী দলের সদস্য হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) সম্পৃক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের হোটেল কক্ষে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ও ব্রেট লি তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিককরণের চেষ্টা চালান।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ 'I'm trying to hit sixes in the commentary box'
- ↑ Australia in Sri Lanka, Aug–Sep 1992 – Test Averages
- ↑ Dean Jones sacked after 'terrorist' remark
- ↑ ""Rajasthan Royals set to punish Shane Warne". The Times Of India. 15 May 2011."। ৫ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Pierik, Jon (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Jones, Fitzpatrick and Murdoch inducted into cricket's Hall of Fame"। The Age। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
আরও দেখুনসম্পাদনা
আরও পড়ুনসম্পাদনা
- Benaud, Richie (১৯৯১)। Border & Co: A Tribute To Cricket's World Champions। Hamlyn Australia। আইএসবিএন 0-947334-31-9।
- Jones, Dean (১৯৯১)। Dean Jones: One-Day Magic। Swan Publishing। আইএসবিএন 0-9587841-8-3।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডিন জোন্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডিন জোন্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী কিম বার্নেট |
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৯৬ - ১৯৯৭ |
উত্তরসূরী ডমিনিক কর্ক |