কিম বার্নেট
কিম জন বার্নেট (ইংরেজি: Kim Barnett; জন্ম: ১৭ জুলাই, ১৯৬০) স্টাফোর্ডশায়ারের লিকে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার ও গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিং করতেন কিম বার্নেট।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কিম জন বার্নেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লিক, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৭ জুলাই ১৯৬০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ১.৫ ইঞ্চি (১.৮৭ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২৫ আগস্ট ১৯৮৮ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ জুলাই ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯–১৯৯৮ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২–১৯৮৮ | বোল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪–১৯৮৭ | ইম্পালাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০০২ | গ্লুচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩–২০১০ | স্টাফোর্ডশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৮ জুন ২০১৮ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
সম্পাদনামূলতঃ ডার্বিশায়ারের পক্ষে ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত খেলতেন। এছাড়াও ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত গ্লুচেস্টারশায়ারে খেলেছেন। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে বোল্যান্ড ও ইম্পালাসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। নিজ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। এ ক্লাবটির পক্ষে ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেছেন।[১]
এরপর থেকে বেশ কয়েকবছর ক্লাবের পক্ষে খেলেন। কিন্তু, ১৯৯৯ সালে খেলোয়াড় ও কাউন্টি কর্তৃপক্ষের সাথে মতভেদের কারণে দল ত্যাগ করেন ও গ্লুচেস্টারশায়ারে যোগ দেন। তবে, ২০০২ মৌসুমের পর পুনরায় চুক্তি নবায়ণ করা না হলে তিনি ক্ষুদ্ধ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান। তাস্বত্ত্বেও, অঞ্চলভিত্তিক লীগ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৭৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন কিম বার্নেট। এ সময়ে ৪০.৩৮ গড়ে ২৮,৫৯৩ রান তুলেছেন। তন্মধ্যে, ৬১টি সেঞ্চুরি করেছেন। লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩৯ রান তুলেন। ষোলবার সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, একাধারে এগারোবার এ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র চারটি টেস্ট খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন। এরজন্য অংশতঃ দূর্ভাগ্য ও নিজস্ব মতামত দায়ী ছিল। ২৫ আগস্ট, ১৯৮৮ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ভারত সফরের জন্য ইংরেজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। কিন্তু, ঐ সফরটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী দলের সফরে অংশ নেন। ফলশ্রুতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তিন বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেট খেলা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত হন।
মূল্যায়ন
সম্পাদনাব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখলেও কার্যকরীভাবে লেগ স্পিন বোলিং করতেন। ১৯৯৪ সালে ১৩.৩০ গড়ে ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর বোলিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। তবে তিনি মাত্র তেরো উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি।
একদিনের ক্রিকেটে বার্নেটের ভূমিকা নিয়ে গ্লুচেস্টারশায়ারের সাবেক কোচ জন ব্রেসওয়েল মন্তব্য করেন যে, তিনি অত্যন্ত সফল দলে খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
১৯৯৯ ও ২০০০ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপ ও সিএন্ডজি ট্রফি জয়ের ন্যায় ‘ডাবল ডাবল’ লাভের পাশাপাশি ২০০০ সালে সানডে লীগ জয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। সবটুকুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কিম বার্নেটকে ঘিরে হয়েছে। ব্রেসওয়েল আরও মন্তব্য করেন যে, ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি আবিষ্কারের পূর্বে বার্নেট রান সংগ্রহের বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করেছেন যা পদ্ধতিগতভাবে সর্বমোট রানকে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর মাইনর কাউন্টিজের দল স্টাফোর্ডশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালনসহ খেলায় অংশ নেন। ক্রিকেটে মনোনিবেশ ঘটানোর পূর্বে রোচেস্টার এফসি ও লিক টাউনের পক্ষে ক্লাব ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- ↑ Kim Barnett at Cricket Archive
- ↑ http://www.espncricinfo.com/blogs/content/story/921321.html
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কিম বার্নেট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কিম বার্নেট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ব্যারি উড |
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৮৪–১৯৯৫ |
উত্তরসূরী ডিন জোন্স |
পূর্বসূরী নতুন নিযুক্তি |
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট পরিচালক ২০১৬ - বর্তমান |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |