ডাকাতিয়া ইউনিয়ন
ডাকাতিয়া ইউনিয়ন , ভালুকা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]
ডাকাতিয়া | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে ডাকাতিয়া ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৪৬″ উত্তর ৯০°২২′৩৯″ পূর্ব / ২৪.৩৭৯৪৪° উত্তর ৯০.৩৭৭৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
উপজেলা | ভালুকা উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাভৌগোলিক অবস্থানে ২৪.৩৭৫০° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৩৭৭৮° পূর্ব দ্রাগিমাংশে অবস্থিত। ডাকাতিয়া ইউনিয়নের উত্তরে ভালুকার উথুরা ইউনিয়ন, পূর্বে মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন, দক্ষিণে কাচিনা ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে সখিপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়ন
ইতিহাস
সম্পাদনাডাকাতিয়া ইউনিয়নের নামকরনের সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। পূর্বে ডাকাতিয়া গ্রামের নাম ছিল বিরামনগর।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ঘন শাল গজারি বনে পরিপূর্ণ এই এলাকায় পূর্বে থেকেই মান্দাই, কোচ এবং গারো আদিবাসীদের বসবাস ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৮ শতকের শেষের দিকে বন জঙ্গল পরিষ্কার করে পশ্চিমের টাঙ্গাইল থেকে এসে ইউনিয়নের পশ্চিম অংশে এবং পূর্ব অংশে ভালুকা থেকে লোকজন এসে বসবাস শুরু করে। বুনো বাঘ ভাল্লুক পূর্ণ বনে এসে বসবাস করা দুঃসাহসী কাজ। ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় দুঃসাহসিক লোকদের "ডাহাইত্যা" লোক নামেও কথার কথায় ডাকা হয়। ধারণা করা যায় এই কথ্য "ডাহাইত্যা" শব্দের শুদ্ধ লিখিত রূপ হলো ডাকাতিয়া।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অবশ্য কোন এক জমিদারকে 'খাঁচায় ঢাকা টিয়া' পাখি উপহার দেয়ার পর থেকে "ঢাকা টিয়া" অপভ্রংশ হয়ে ডাকাতিয়া নাম হওয়ার কথা কেউ কেউ বলে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ডাকাতিয়া ইউনিয়নবাসীর গৌরবউজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ডাকাতিয়া ঢালুয়াপাড়ায় মেজর আফসার বাহিনীর সদর দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধের ট্রেইনিং সেন্টার ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সেখানে আফসার বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র পত্রিকা 'জাগ্রত বাংলা' দৌলা বাজার থেকে প্রকাশিত হতো। 'জাগ্রত বাংলার' সম্পাদক ছিলেন ডাকাতিয়ার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এ কালাম তবে ছ্দ্ধ নাম (বাঙ্গালী ) নামে প্রকাশিত হতো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনা৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ডাকাতিয়া ইউনিয়ন গঠিত। ১নং ওয়ার্ড (আউলিয়ারচালা, সিংলা, নয়াপাড়া), ২নং ওয়ার্ড (হিজুলীপাড়া, বালিয়াগাড়া, বিন্নরীপাড়া), ৩নং ওয়ার্ড (ডাকাতিয়া), ৪নং ওয়ার্ড (ইন্তারঘাট, আখালিয়া,কালিরচালা ডুমনিঘাট), ৫নং ওয়ার্ড (আংগারগাড়া), ৬নং ওয়ার্ড (হোসেনপুর), ৭নং ওয়ার্ড (ঢালুয়া, কাতলামারী), ৮নং ওয়ার্ড (পাঁচগাও), ৯নং ওয়ার্ড (চানপুর, সোনাখালী)
- ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ৫নং ওয়ার্ড আংগারগাড়া বাজারের পাশে অবস্থিত।
- ভোট কেন্দ্র মোট ১০টি।
আয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনাআয়তন ৬৪.৯৯৪ বর্গ কিলোমিটার। ১৫,৯০৩ একর জনসংখ্যা ৩৬,৭০১ জন। পুরুষ - ১৮,৪৮৩ জন , নারী - ১৮,২১৪ জন ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষার হার
সম্পাদনাশিক্ষার হার :৪৯.০৩% (২০০১সালের আদম শুমারী অনুসারে)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাউচ্চ বিদ্যালয়
- আংগারগাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়,
- ডাকাতিয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়
- কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়
- পাঁচগাও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়
দাখিল মাদ্রাসা
- আল কুদ্দুস দাখিল মাদ্রাসা, দৌলা
- ডাকাতিয়া গোলাপবাগ দাখিল মাদ্রাসা
- কাতলামারী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা
স্বাস্থ্য
সম্পাদনাএকটি সরকারি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে যা আংগারগারা বাজারে অবস্থিত। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে।
হাট বাজার
সম্পাদনাইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাট বাজারগুলো হলো :
- আংগারগাড়া বাজার
- ডাকাতিয়া বাজার
- দৌলা বাজার
- নয়াপাড়া বাজার
- ইন্তারঘাট বাজার
- আউলিয়ার চালা বাজার
- সিংলা বাজার
- বালিয়াগড়া
- ঢালুয়া বাজার
- ছিটাল বাজার
- ডুমনিঘাট বাজার
- কাতলামারী বাজার
- আখালিয়া বাজার
- চানপুর বাজার
- হোসেনপুর বড় বাজার
- কালিয়াজুড়ি বাজার
আংগারগাড়া বাজারে সপ্তাহে তিন দিন ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট বসে। এছাড়া ডাকাতিয়া চৌরাস্তায় প্রতিদিন বাজার বসে।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা১। ঢালুয়া পাড়া স্মৃতিসৌধ ২। আংগারগাড়া মুক্ত মঞ্চ,মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ,এবং আংগারাড়া বাজার জামে মসজিদ মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সদর দফতর (কামুখ্যার বাড়ি) দৌলার বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ কালাম সম্পাদিত জাগ্রত বাংলার পত্রিকার সদর দফতর
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনা- এম.এ ওয়াহেদ -- শিল্পপতি
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ডাকাতিয়া ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ভালুকা উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। ১৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |