টম গডার্ড
টমাস উইলিয়াম জন গডার্ড (ইংরেজি: Tom Goddard; জন্ম: ১ অক্টোবর, ১৯০০ - মৃত্যু: ২২ মে, ১৯৬৬) গ্লুচেস্টারে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | গ্লুচেস্টার, ইংল্যান্ড | ১ অক্টোবর ১৯০০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ মে ১৯৬৬ গ্লুচেস্টার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৬৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৬) | ২৫ জুলাই ১৯৩০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ মার্চ ২০১৬ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন টম গডার্ড।[১]
ঘরোয়া ক্রিকেট
সম্পাদনাপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হিসেবে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।[২] ১৯২২ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার ক্লাবে ফাস্ট বোলাররূপে যোগ দেন। কিন্তু প্রথম ছয় বছর তেমন সফলতা না পাওয়ায় ক্লাবের সাথে ১৯২৮ সালে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হয়েছে তাকে। সফলতা লাভে উদগ্রীব গডার্ড লর্ডসে গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবে যোগ দেন ও অফ স্পিনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ছয় তিন ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী গডার্ড তার দীর্ঘ বাহুকে কাজে লাগিয়ে বাউন্স প্রদানে সক্ষমতা দেখান। ফলশ্রুতিতে দ্রুত সফলতা পান ও ১৯২৯ সালে একই ক্লাবে পুনরায় যোগ দেন।
১৯২৯ সালে স্পিনার হিসেবে তিনি তার প্রথম মৌসুমে ১৮৪ উইকেট পান। পরবর্তী দুই বছরে ১৪০-এরও অধিক উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। চার্লি পার্কারকে সাথে নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে বোলিং জুটি গড়েন। ওয়ালি হ্যামন্ডের চমকপ্রদ ব্যাটিং ও ক্যাচ নেয়ার সক্ষমতায় দল সেরা সময় অতিবাহিত করে। ১৯২৯ সালে চতুর্থ, ১৯৩০ ও ১৯৩১ সালে দ্বিতীয় স্থান দখল করে তার দল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে দশ উইকেট লাভকারী বোলারদের অন্যতম তিনি। এ তালিকায় উইলফ্রেড রোডস, টিচ ফ্রিম্যান, চার্লি পার্কার ও জে. টি. হার্নের পরই তিনি অবস্থান করছেন। এছাড়াও এ তালিকায় ডব্লিউ. জি. গ্রেস ও অ্যালেক কেনেডি অবস্থান করছেন।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৩০-৩১ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[৩][৪] এ সময়ে তিনি এমসিসি দলের সঙ্গে ১৯৩০-৩১ ও ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।
১৯৩০ সালে কেবলমাত্র একবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সবগুলো দেশের বিপক্ষে সর্বমোট আটবার টেস্ট খেলতে পেরেছেন। তার সমসাময়িক হেডলি ভেরিটি ইংল্যান্ডের স্পিন বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন। ঐ সময়ে ধারণা করা হতো যে, টেস্টে অফ স্পিনারদের তুলনায় লেগ স্পিনারদের দাপট বেশি। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত টেস্টে তিনি একে-একে ডাডলি নোর্স, নরম্যান গর্ডন, বিলি ওয়েডকে আউট করে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৫]
১৯৩৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ২৪৮ উইকেট লাভের অসামান্য সাফল্যের প্রেক্ষিতে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন।[৬]
অবসর
সম্পাদনা১৯৫১ সালে পঞ্চাশ বছর বয়সে অসুস্থতার কারণে তাকে জোরপূর্বক অবসর নিতে হয়। কিন্তু, ৩০০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শের জন্য পুনরায় ১৯৫২ সালে মাঠে নামেন ও চৌদ্দ খেলায় অংশ নেন। কিন্তু, ৫১ বছর বয়সে আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবন চিরতরে শেষ হয়ে যায়। এ সময় তার উইকেট সংখ্যা ছিল ২,৯৭৯। খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর নিজ শহর গ্লুচেস্টারে একটি আসবাবপত্রের দোকান পরিচালনা করেন। ২২ মে, ১৯৬৬ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে গ্লুচেস্টারে দেহাবসানের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "tom goddard's Cricket Profile"। skysports। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬।
- ↑ Mukherjee, Abhishek (১ অক্টোবর ২০১৩)। "Tom Goddard: Fifth highest wicket-taker in First-Class history"। cricketcountry। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ACS (১৯৮২)। A Guide to First-Class Cricket Matches Played in the British Isles। Nottingham: ACS।
- ↑ "Marylebone Cricket Club Players"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "England tour of South Africa, 1938/39 – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "CRICKETER OF THE YEAR - 1938"। WISDEN। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টম গডার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টম গডার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)