শরিফ হালিল পাশা মসজিদ( বুলগেরীয়: Томбул джамия তুর্কি: Tombul Camii ) যা টম্বুল (বা তুম্বুল) মসজিদ হিসাবে অধিক পরিচিত। মসজিদটি বুলগেরিয়ার শুমেনে অবস্থিত। মসজিদটি বুলগেরিয়ার বৃহত্তম মসজিদ এবং বলকান অঞ্চলের বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি।

টম্বুল মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থাActive
অবস্থান
অবস্থানশুমেন, বুলগেরিয়া
স্থানাঙ্ক৪৩°১৬′২২″ উত্তর ২৬°৫৪′৫১″ পূর্ব / ৪৩.২৭২৭৮° উত্তর ২৬.৯১৪১৭° পূর্ব / 43.27278; 26.91417
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীউসমানীয় স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৭৪০-১৭৪৪
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে)২৫ মিটার
মিনার
মিনারের উচ্চতা৪০ মিটার
উঠোন থেকে মসজিদের ছবি

ইতিহাস সম্পাদনা

১৭৪০ থেকে ১৭৪৪ সালের মধ্যে নির্মিত মসজিদটি প্রথমে উত্তর-পূর্ব বুলগেরিয়ান(তৎকালীন উসমানীয় সাম্রাজ্য) শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল, তবে শহরটি বড় হবার ফলে শহরের কেন্দ্রটি সড়ে যাওয়ায় মসজিদটি এখন শুমেনের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। মসজিদের নামটি এর গম্বুজটির আকৃতি থেকে এসেছে।

মসজিদ এবং সংলগ্ন ভবনগুলি বুলগেরিয়ার বৃহত্তম। তুরস্কের ওড্রিন(এডিরনে) শহরের সুলতান সেলিম মসজিদের পরে এটিই বলকান অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। টম্বুল মসজিদকে জাতীয় গুরুত্বের একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

মসজিদদের ভবন নির্মাণের অর্থ দেন শেরিফ হালিল পাশা। যিনি শুমেনের ১৭ কিলোমিটার পূর্বে মাদারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

মসজিদের কমপ্লেক্সটি একটি প্রধান ভবন(একটি নামাজঘর) নিয়ে গঠিত। এতে একটি উঠোন এবং একটি বারোটি কক্ষ( মাদ্রাসার আবাসিক ঘর) রয়েছে। মূল ভবনটির মৌলিক অংশ একটি বর্গক্ষেত্রকার আকৃতির। তারপর মধ্যভাগে একটি বৃত্তের দিকে যাওয়া অষ্টভুজ হয়ে যায়। ভূমি থেকে ২৫ মিটার উপরে একটি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগে উদ্ভিজ্জ জীবনের মুরাল চিত্রকর্ম এবং জ্যামিতিক চিত্র এবং আরবি শিলালিপি, কুরআনের বাক্যাংশ রয়েছে। চারপাশের বারোটি কক্ষের সামনের উঠানটি খিলানের জন্য পরিচিত এবং মিনারটি ৪০ মিটার উঁচু। [১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Tombul Mosque"BgHotelite.com। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১