জ্যোৎস্না বিশ্বাস
জ্যোৎস্না বিশ্বাস একজন বাংলাদেশী মঞ্চ ও যাত্রা অভিনেত্রী। তিনি ৩০০টির বেশি যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন[১] এবং ২০টি যাত্রা পরিচালনা করেছেন।[২] যাত্রায় অভিনয়ের জন্য ১৯৭৭ সালে তিনি "যাত্রা সম্রাজ্ঞী" খেতাব লাভ করেন।[৩] মঞ্চ ও যাত্রায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১১ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।[৪]
জ্যোৎস্না বিশ্বাস | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেত্রী |
দাম্পত্য সঙ্গী | অমলেন্দু বিশ্বাস |
সন্তান | অরুণা বিশ্বাস (কন্যা) মিঠু বিশ্বাস (পুত্র) |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
জ্যোৎস্না মানিকগঞ্জ জেলার এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তার গান-বাজনা এবং অভিনয়ের আগ্রহ দেখা যায়।[৩]
কর্মজীবনসম্পাদনা
জ্যোৎস্না ১৯৬০ এর দশকে যাত্রায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[২] ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন উত্তম গুহ পরিচালিত সহস্রধারায়। ১৯৯৯ সালে তিনি তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত চিত্রা নদীর পারে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আফসানা মিমি পরিচালিত পৌষ ফাগুনের পালা" ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন।[৫]
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা যাত্রাপালায় সিরাজের খালা ঘসেটি বেগমের চরিত্রে এবং তার মেয়ে অরুণা বিশ্বাস আলেয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি তার মেয়ে অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত ধুলোর আকাশ নাটকে অভিনয় করেন। নাট্যকার মান্নান হীরা রচিত এই নাটকে তিনি ধুলো বুড়ি চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়।[১] তিনি এর আগে অরুণার পরিচালনায় বড় দিদি নাটকে অভিনয় করেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
জ্যোৎস্না অমলেন্দু বিশ্বাসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অমেলন্দু একুশে পদক বিজয়ী মঞ্চ ও যাত্রা অভিনেতা।[৩] তাদের এক কন্যা অরুণা বিশ্বাস।[৬] অরুণা একজন অভিনেত্রী এবং টেলিভিশন নাটক পরিচালক।[৬] পুত্র মিঠু বিশ্বাস একজন নাট্য নির্মাতা। বর্তমানে তিনি তার পুত্র ও কন্যার সাথে কানাডায় বসবাস করেন।[৭]
সম্মাননাসম্পাদনা
- যাত্রাশিল্পে অবদানের জন্য বাবিসাস পুরস্কার আজীবন সম্মাননা (২০১৫)[১]
- মঞ্চ ও যাত্রায় অবদানের জন্য একুশে পদক (২০১১)
- বগুড়ার আমরা ক'জন শিল্পীগোষ্ঠী থেকে স্বর্ণখচিত মুকুট (২০১০)[৮]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "মা-মেয়ের 'ধুলোর আকাশ'"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ Ershad Kamol (১ জুলাই ২০০৬)। "Jyotsna Biswas : Jatra queen's endeavour for the welfare of artistes"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "আলাপের অতিথি: জ্যোৎস্না বিশ্বাস"। সাতদিন। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "13 named for Ekushey Padak"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "মেয়ের পরিচালনায় মা"। যায়যায়দিন। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "Aruna Biswas : Changing tracks"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৮ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "দেশে আসলেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "লায়লা হাসান ও জ্যোৎস্না বিশ্বাস সংবর্ধিত"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]