জোয়াও ফেলিক্স

পর্তুগিজ ফুটবল খেলোয়াড়

জোয়াও ফেলিক্স সিকোয়েইরা (জন্ম: ১০ নভেম্বর ১৯৯৯) হলেন একজন পর্তুগিজ পেশাদার ফুটবলার যিনি আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে লা লিগা ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।

জোয়াও ফেলিক্স
২০১৯ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদ ফেলিক্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম জোয়াও ফেলিক্স সিকোয়েইরা
জন্ম (1999-11-10) ১০ নভেম্বর ১৯৯৯ (বয়স ২৫)
জন্ম স্থান ভিসেউ, পর্তুগাল
উচ্চতা ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+ ইঞ্চি)[]
মাঠে অবস্থান আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
বার্সেলোনা
জার্সি নম্বর ১৪
যুব পর্যায়
২০০৭–২০০৮ ওএস পেস্তিনিয়াস
২০০৮–২০১৪ পোর্তো
২০১৪–২০১৫ পাদ্রোয়েন্সে
২০১৫–২০১৮ বেনফিকা
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০১৬–২০১৮ বেনফিকা বি ৩০ (৭)
২০১৮–২০১৯ বেনফিকা ২৬ (১৫)
২০১৯– আতলেতিকো মাদ্রিদ ৯৬ (২৫)
২০২৩ চেলসি (ধারে) ১৬ (৪)
২০২৩– বার্সেলোনা (ধারে) (০)
জাতীয় দল
২০১৭ পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৮ (২)
২০১৮ পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ (০)
২০১৭–২০১৯ পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২১ ১০ (৪)
২০১৯– পর্তুগাল (০)
অর্জন ও সম্মাননা
পুরুষদের ফুটবল
 পর্তুগাল-এর প্রতিনিধিত্বকারী
উয়েফা নেশনস লিগ
বিজয়ী ২০১৯ পর্তুগাল
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৭ মার্চ ২০২০ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২ মার্চ ২০২০ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

ক্লাব খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

তিনি পর্তুগালের ভিসিউ শহরে জন্মগ্রহণ কেেন, পর্তুগালের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব এফসি পোর্তো-এর কিশোর বিভাগে যোগদান করার পূর্বে, জোয়াও ফেলিক্স ওস এস পেস্টিনহাসে খেলোয়াড়ী উন্নয়ন করেন, যেখানে তিনি সাত বছর অতিবাহিত করেন। তাকে তার চিকন শারীরিক গঠনের কারণে তারা ছেড়ে দেয় এবং তিনি পর্তুগালে রাজধানী লিসবন-এ অবস্থিত জনপ্রিয় পর্তুগিজ ফুটবল ক্লাব এসএল বেনফিকা-এ চলে আসেন।[]

২০১৬ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর মাসে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে জোয়াও ফেলিক্স পর্তুগালের দ্বিতীয় সারির পেশাদার লিগ লিগা প্রো-এ বেনফিকা বি এর হয়ে প্রথম পেশাদার খেলায় অভিষিক্ত হন, খেলাটিতে তিনি তার দলে সতীর্থ "উরেলিও বেটা" এর বদলে ৮৩তম মিনিটে পর্তুগিজ ফুটবল ক্লাব ফ্রিয়ামুন্ডে-এর বিপক্ষে মাঠে নামেন, যেখানে তার দল গোলশূন্য ড্র নিয়ে ম্যাচটি শেষ করে। অভিষিক্ত হওয়ার ফলে, বেনফিকা বি এর হয়ে অভিষেক হওয়ার সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে বোনে যান।[] ২০১৬-১৭ সালের পুরো মৌসুম মিলিয়ে তিনি ১৩টি ম্যাচ খেলে সর্বমোট ৩টি গোল করেন, প্রথমটি ২০১৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি মানে তার নিজ শহরের দল একাডেমিকো দ্য ভিইসিউ-এর বিপক্ষে হওয়া ম্যাচে ২-১ ব্যাবধানে হারার মধ্যদিয়ে।[] পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ৩০শে জানুয়ারী মাসে, ঘরের মাঠের খেলায় ফামালিসাও-এর বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচটিতে তিনি হ্যাট-ট্রিক করেন।[]

২০১৮–১৯ মৌসুমে, জোয়াও ফেলিক্স বেনফিকার প্রথম সারির দলে খেলার সুযোগ পান, ২০১৮ সালের ৮ই আগস্ট মাসে তিনি পর্তুগালে প্রথম সারির পেশাদার লিগ প্রিমেরিরা লিগা-এ আরেকদল বোয়াভিস্টা-এর বিপক্ষে অভিষিক্ত হন, খেলাটিতে তার দল ২-০ গোল ব্যবধানে জয় পায়। এর এক সপ্তাহ পর, তিনি তার প্রথম প্রিমেরিরা লিগা গোল করেন, এতে তিনি ঐতিহাসিক লিসবন ডার্বিতে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে যান। পর্তুগালের সর্ববৃহৎ শহর লিসবন-এ অবস্থিত ইস্টাডিও দ্য লুজ স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে তার করা একমাত্র গোলেই তার ক্লাব লিজবনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "João Félix"। Atlético Madrid। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০২০ 
  2. Azevedo, Pedro Miguel (২৬ এপ্রিল ২০১৭)। "João Félix, o magricela que escapou ao FC Porto e brilha no Benfica" [João Félix, the scrawny kid who slipped from FC Porto and shines for Benfica]। O Jogo (Portuguese ভাষায়)। ১২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. João Félix é o mais novo de sempre a jogar pelo Benfica B Record (in Portuguese)
  4. "Benfica B perde com o Académico em Viseu" [Benfica B lose to Académico in Viseu] (Portuguese ভাষায়)। Maisfutebol। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  5. "João Félix marca três golos na goleada do Benfica B ao Famalicão" [João Félix scores three goals in Benfica B's thrashing of Famalicão]। Diário de Notícias (Portuguese ভাষায়)। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  6. "João Félix: "I shivered""স্পোর্ট লিসবোয়া বেনফিকা। ২৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা