ইন্দুরকানী উপজেলা

পিরোজপুর জেলার একটি উপজেলা
(জিয়ানগর উপজেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ইন্দুরকানী উপজেলা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার একটি উপজেলা।[২]

ইন্দুরকানী
উপজেলা
মানচিত্রে ইন্দুরকানী উপজেলা
মানচিত্রে ইন্দুরকানী উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′১৫.৮০৪″ উত্তর ৮৯°৫৮′৪৪.২৯২″ পূর্ব / ২২.৫০৪৩৯০০০° উত্তর ৮৯.৯৭৮৯৭০০০° পূর্ব / 22.50439000; 89.97897000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাপিরোজপুর জেলা
আয়তন
 • মোট৯৪.৬০ বর্গকিমি (৩৬.৫৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [১]
 • মোট৭৭,৬৭৪
 • জনঘনত্ব৮২০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৬%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ৭৯ ৯০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস সম্পাদনা

ইন্দুরকানী উপজেলা পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার সাথে একীভূত ছিল। ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার)৮৭ তম বৈঠকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানাকে “জিয়ানগর” উপজেলা নামে নাম করণের প্রস্তাব আনা হয়। এরপর ২০০২ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পিরোজপুর সদর উপজেলার পত্তাশী, পাড়েরহাট ও বালিপাড়া এ ৩টি ইউনিয়নের ৯৪.৬০ বর্গ কি.মি. আয়তন নিয়ে জিয়ানগর উপজেলা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই আদেশের বলে ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্থানীয় জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে ইন্দুরকানী সফর করে ইন্দুরকানী কলেজ মাঠে এক জনসভায় ইন্দুরকানী থানাকে জিয়ানগর উপজেলা নামে উদ্বোধন করেন।

পরবর্তীতে, ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ১১৩ তম সভায় পিরোজপুরের ৭ম উপজেলা জিয়ানগরের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ইন্দুরকানী থানার নামে নাম করনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় এবং এর ঠিক একমাস পরে (৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (উপজেলা-১ শাখা) এর এক প্রজ্ঞাপন (গেজেট) জারীর মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা

ইন্দুরকানী উপজেলার উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে বলেশ্বর নদীমঠবাড়িয়া উপজেলা, পূর্বে কচা নদীভাণ্ডারিয়া উপজেলা, পশ্চিমে পানগুছি নদীবাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ সম্পাদনা

ইন্দুরকানী উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ইন্দুরকানী থানার আওতাধীন।

ইউনিয়নসমূহ:

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইন্দুরকানী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৭৭,২১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭,৯৪৭ জন এবং মহিলা ৩৯,২৭০ জন। মোট পরিবার ১৭,১৯৯টি।[৩]

শিক্ষা সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইন্দুরকানী উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬১.২%।[৩]

ইন্দুরকানী মুক্ত দিবস সম্পাদনা

 
ইন্দুরকানী মুক্ত দিবস

ইন্দুরকানী উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ০২ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সলের রক্তঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে হানাদার মুক্ত হয়েছিল পিরোজপুরসহ এই জেলার (তৎকালীন মহকুম) বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্দুরকানী উপজেলা তথা তৎকালীন ইন্দুরকানী থানার বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ০২ ডিসেম্বর।সমগ্র মহকুমাব্যাপী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে ঐ দিন হানাদারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করে, ফলে ইন্দুরকানী থানার বিভিন্ন স্থান থেকে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায় ।[৪]

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

  • ইন্দুরকানী সরকারী কলেজ (২০০১) [৫]
  • এইচএফ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজ (১৯৯৬)
  • ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • পারেরহাট রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১)
  • সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮)
  • মেহেউদ্দিন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৯)
  • দক্ষিণ ইন্দুরকানী এসএমএ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৭)
  • টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসা (১৯৫৫)
  • বিজিএম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)
  • কালাইয়া রাজিয়া রশিদ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা (২০০০)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ইন্দুরকানী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫ 
  2. প্রতিনিধি, পিরোজপুর; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "'জিয়ানগর' উপজেলা এখন 'ইন্দুরকানী'"bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৪ 
  3. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. [www.indurkani.pirojpur.gov.bd/site/page/9023ca1c-17a2-11e7-9461-286ed488c766 "ইন্দুরকানী মুক্ত দিবস"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৩ 
  5. "সরকারি হলো পিরোজপুরের ইন্দুরকানী কলেজ | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৯-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা