জিয়াউল হক মৃধা
জিয়াউল হক মৃধা (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৫২) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১]
অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা | |
---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | ফজলুল হক আমিনী |
উত্তরসূরী | আবদুস সাত্তার ভূঞা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মোঃ জিয়াউল হক মৃধা ১ জানুয়ারি ১৯৫২ নোয়াগাঁওয়ে, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
সন্তান | ২ ছেলে ও ২ মেয়ে |
পিতামাতা | ফয়েজুল হক মৃধা (পিতা) জমিলা খাতুন (মাতা) |
শিক্ষা | বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ডিপ্লোমা ইন রুরাল পোভার্টি এলিভিয়েশন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আইনজীবী ও রাজনীতি |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাজিয়াউল হক মৃধা ১ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নোয়াগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম ফয়েজুল হক মৃধা এবং মাতা জমিলা খাতুন। ১৯৬২ সালে তার পিতা পার্শ্ববর্তী কালীকচ্ছ গ্রামে বসতি স্থাপন করেন।[২]
তিনি নোয়াগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালীকচ্ছ উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা, ১৯৬৭ সালে কালীকচ্ছ পাঠশালা থেকে এসএসসি, ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করেন।[২]
বিবাহিত জীবনে তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ে।
কর্মজীবন
সম্পাদনাজিয়াউল হক মৃধা ১৯৭৮ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই শাল্লায় ভারপ্রাপ্ত পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আইন পেশায় নিযুক্ত হন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাজিয়াউল হক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী হিসেবে ন্যাপ কৃষক সমিতির সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।[২]
১৯৯০ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে সরাইল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন। ১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে পার্টির সরাইল থানার সভাপতি হন।[২]
তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]
তিনি ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[৩][৪][২]
দশম জাতীয় সংসদ তিনি আইন বিচার ও সংসদ এবং বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Constituency 244_10th_Bn"। www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ জিয়াউল হক মৃধা (২০১৬)। পাড়ি দেবো কালের খেয়ায়। বাংলাদেশ: আকাশ। পৃষ্ঠা ১০২।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-৩০।