জিন টিয়ার্নি

মার্কিন অভিনেত্রী
(জিন টায়ার্নি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জিন ইলাইজা টিয়ার্নি (ইংরেজি: Gene Eliza Tierney; ২০ নভেম্বর ১৯২০ - ৬ নভেম্বর ১৯৯১)[] ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী। তিনি তার সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত ছিলেন এবং নিজেকে হলিউডের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।[] টিয়ার্নি লরা (১৯৪৪) ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি লিভ হার টু হেভেন (১৯৪৫) ছবিতে এলেন বেরেন্ট হারল্যান্ড চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

জিন টিয়ার্নি
Gene Tierney
স্টুডিও প্রচারণামূলক ছবিতে টিয়ার্নি
জন্ম
জিন ইলাইজা টিয়ার্নি

(১৯২০-১১-২০)২০ নভেম্বর ১৯২০
মৃত্যু৬ নভেম্বর ১৯৯১(1991-11-06) (বয়স ৭০)
হিউস্টন, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিগ্লেনউড সেমেটারি
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৩৮-১৯৮০

টিয়ার্নির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকা হল হেভেন ক্যান ওয়েট (১৯৪৩)-এ মার্থা স্ট্র্যাবল ভ্যান ক্লিভ, দ্য রেজরস এজ (১৯৪৬)-এ ইসাবেল ব্র্যাডলি ম্যাচুরিন, দ্য ঘোস্ট অ্যান্ড মিসেস মুইয়ার (১৯৪৭)-এ লুসি মুইয়ার, হুয়ার্পুল (১৯৪৯)-এ অ্যান সাটন, দ্য মেটিং সিজন (১৯৫১)-এ ম্যাগি কার্লেটন ম্যাকনল্টি এবং দ্য লেফট হ্যান্ড অব গড (১৯৫৫)-এ অ্যান স্কট।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

জিন টিয়ার্নি ১৯২০ সালের ২০শে নভেম্বর নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাওয়ার্ড শেরউড টিয়ার্নি ম্যানহাটনের একজন সফল বীমা ব্যবসায়ী এবং মাতা বেল লাভিনিয়া টেলর একজন শারীরিক শিক্ষা প্রশিক্ষক।[] তার পিতা আইরিশ বংশোদ্ভূত। তার বড় ভাই হাওয়ার্ড শেরউড "বুচ" টিয়ার্নি এবং ছোট বোন প্যাট্রিশিয়া "প্যাট" টিয়ার্নি।

টিয়ার্নি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্টপোর্টে বেড়ে ওঠেন। তিনি কানেটিকাটের ফার্মিংটনের মিস পোর্টারস স্কুল ও ওয়াটারবারির সেন্ট মার্গারেট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং সুইজারল্যান্ডের লসানের একটি স্কুলে তার পড়াশোনা শেষ করেন। স্কুলের সাময়িকীতে তার প্রথম কবিতা নাইট প্রকাশিত হয়েছিল এবং তার জীবনের বাকি সময়েও তিনি মাঝে মাঝে কবিতা লিখতেন। স্কুলে তিনি লুইজা মে অ্যালকটের লিটল উইমেন উপন্যাস অবলম্বনে মঞ্চস্থ নাটকে জো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ তার সম্পর্কে বলেন যে তিনি তাদের অনুকরণ করতেন এবং সেন্ট মার্গারেটে তাকে "ক্লাস রোম্যান্টিক" হিসেবে অভিহিত করা হত।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

টিয়ার্নি আর্নস্ট লুবিচের হাস্যরসাত্মক হেভেন ক্যান ওয়েট (১৯৪৩) ছবিতে মার্থা স্ট্র্যাবল ভ্যান ক্লিভ চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তার কর্মজীবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি ১৯৪৪ সালে ডানা অ্যান্ড্রুজের সাথে অটো প্রেমিঞ্জারের নোয়া চলচ্চিত্র লরা-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। আ বেল ফর অ্যাডানো (১৯৪৫) ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি লিভ হার টু হেভেন (১৯৪৫) ছবিতে হিংসুটে আত্মরতিমূলক যৌন আবেদনময়ী এলেন বেরেন্ট হারল্যান্ড চরিত্রে অভিনয় করেন। বেন অ্যামেস উইলয়ামসের সর্বাধিক বিক্রীত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে কর্নেল ওয়াইল্ডের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এটি ১৯৪০-এর দশকে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। পরিচালক মার্টিন স্কোরসেজি এই ছবিটিকে তার সর্বকালের সবচেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্রের একটি বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন টিয়ার্নি ছিলেন স্বর্ণযুগের সবচেয়ে অমূল্যায়িত অভিনেত্রীদের একজন।[]

টিয়ার্নি ওয়াল্টার হিউস্টন ও ভিনসেন্ট প্রাইসের সাথে ড্রাগনউইক (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে মিরান্ডা ওয়েলস চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি ছিল পরিচালক হিসেবে জোসেফ এল. ম্যাংকাভিৎসের অভিষেক চলচ্চিত্র। একই সময়ে তিনি উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ের উপন্যাস দ্য রেজরস এজ অবলম্বনে নির্মিত একই নামের (১৯৪৬) ছবিতে টাইরন পাওয়ারের বিপরীতে ইসাবেল ব্র্যাডলি ম্যাচুরিন চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ম্যাংকাভিৎসের দ্য ঘোস্ট অ্যান্ড মিসেস মুইয়ার ছবিতে রেক্স হ্যারিসনের বিপরীতে লুসি মুইয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন।[] পরের বছর তাকে পাওয়ারের সাথে ব্যবসাসফল স্কুবল হাস্যরসাত্মক দ্যাট ওয়ান্ডারফুল আর্জ (১৯৪৮) ছবিতে সারা ফার্লি চরিত্রে দেখা যায়। টিয়ার্নি রিচার্ড কন্তে ও হোসে ফেরারের বিপরীতে লরা ছবির পরিচালক প্রেমিঞ্জারের ধ্রুপদী নোয়া চলচ্চিত্র হুয়ার্পুল (১৯৪৯)-এ অ্যান সাটন চরিত্রে পুনরায় একত্রে কাজ করেন।

তিনি ধারে প্যারামাউন্ট পিকচার্সে কাজ করেন এবং জন লুন্ড, থেলমা রিটার ও মিরিয়াম হপকিন্সের সাথে মিচেল লেইসেনের প্রহসনধর্মী দ্য মেটিং সিজন (১৯৫১)-এ ম্যাগি কার্লেটন ম্যাকনল্টি চরিত্রে অভিনয় করেন। এই দশকে তাকে রে মিলান্ডের বিপরীতে ওয়ার্নার ব্রসের ক্লোজ টু মাই হার্ট]]-এ মিজ শেরিডান চরিত্রে এবং দ্য লেফট হ্যান্ড অব গড (১৯৫৫)-এ অ্যান স্কট চরিত্রে দেখা যায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সেভারো, রিচার্ড (৮ নভেম্বর ১৯৯১)। "Gene Tierney, 70, Star of 'Laura' And 'Leave Her to Heaven,' Dies"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. "Gene Tierney Biography"টার্নার ক্লাসিক মুভিজ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  3. "Scorsese Introducing Leave Her to Heaven"ইউটিউব। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  4. Gene Tierney: A Shattered Portrait. The Biography Channel, March 26, 1999 interview with film scholar Jeanine Basinger.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা