জিনজিরিলি মসজিদ, সেরেস
জিনজিরিলি মসজিদ ( গ্রিক: Ζινζιρλί Τζαμί,তুর্কি ভাষায় অর্থ "শিকলের মসজিদ"), গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় সেরেস শহরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ । সেরেসের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত ষোড়শ শতকে নির্মিত মসজিদটির স্থাপত্যরীতিতে মিমার সিনানের স্থাপত্যকৌশলের প্রভূত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
জিনজিরিলি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অঞ্চল | মধ্য মেসিডোনিয়া |
পবিত্রীকৃত বছর | ১৬শ শতকের শেষের দিকে |
অবস্থান | |
পৌরসভা | সেরেস |
দেশ | গ্রিস |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০৫′১৭.০″ উত্তর ২৩°৩৩′১৩.৪″ পূর্ব / ৪১.০৮৮০৫৬° উত্তর ২৩.৫৫৩৭২২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য, অটোম্যান স্থাপত্য |
বর্ণনা সম্পাদনা
মসজিদটি শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি একটি মাঝারি আকারের মসজিদ। যেখানে পূর্ব, উত্তর এবং পশ্চিম দিকে দুইতলা বিশিষ্ট পোর্টিকোসহ একটি কেন্দ্রীয়, বর্গাকার নামাজের স্থান রয়েছে; কিবলা দক্ষিণ দিকে অবস্থিত, যখন প্রবেশ পথটি উত্তর দিক থেকে। কেন্দ্রীয় স্থানটি একটি গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত, অন্যদিকে পোর্টিকোগুলি শীর্ষস্থানীয় শিবিরের গম্বুজ দ্বারা। মিম্বর ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি মার্বেল দ্বারা তৈরি, এবং গ্রিসে আজও টিকে থাকা অন্যতম সেরা মার্বেলের কাজের উদাহরণ। প্রবেশদ্বারে কলামগুলির মধ্যে ফাঁকা স্থানগুলির উপরে ছোট গম্বুজগুলি শীর্ষে একটি কলাম-সমর্থিত বারান্দা বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মূল কাঠামোর গাঁথুনীতে ইট দিয়ে ঘেরা বা রুক্ষ পাথরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বারান্দাটি পুরোপুরি চুনাপাথরের আশলারযুক্ত।[১]
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা
মসজিদটির স্থাপত্যরীতি এবং ভুমি পরিকল্পনা ও নকশায় ১৬শ শতাব্দীর শেষের দিকের অটোম্যান স্থাপত্যরীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান। এতে মিমার সিনানের স্থাপত্য কৌশল অনুসরণ করা হয়েছে, যা একই সময় ইস্তাম্বুলের মসজিদ্গুলিতে দেখা যায়।[১]
চিত্রশালা সম্পাদনা
-
উঁচু ভবন থেকে মসজিদের চিত্র
-
মসজিদের বাম পাশের ফাঁকা স্থান
-
বাতাস প্রবেশের জায়গা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ Dadaki, Spyridoula। "Ζινζιρλί Tζαμί: Περιγραφή" (গ্রিক ভাষায়)। Hellenic Ministry of Culture। ২৫ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।