জাহরা শোজাই
জাহরা শোজাই একজন ইরানি রাজনীতিবিদ। ইরানি মহিলাদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে একজন প্রধান আইনজীবী, তিনি প্রেসিডেন্ট খাতামীর অধীনে মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এবং ১৯৯৭-২০০৫ পর্যন্ত তার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।[১]
জাহরা শোজাই | |
---|---|
প্রধান সেন্টার ফর ওম্যানস পার্টিসিপেশন | |
কাজের মেয়াদ ৩ জানুয়ারী ১৯৯৮ – ৩ আগস্ট ২০০৫ | |
রাষ্ট্রপতি | মোহাম্মদ খাতামি |
পূর্বসূরী | শাহলা হাবিবী |
উত্তরসূরী | নাসরিন সোলতানখাহ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫৬ তেহরান, ইরান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোরাদ-আলী তাওয়ানা |
সন্তান | ২ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
জীবিকা | আইনজীবী |
সেন্টার ফর ওম্যানস পার্টিসিপেশন
সম্পাদনা১৯৯৭ সালে, খাতামি সেন্টার ফর ওম্যানস পার্টিসিপেশন বা মহিলাদের অংশগ্রহণের কেন্দ্র স্থাপন করেন। তখন রাষ্ট্রপতি পদে যোগদান করে দেশে নারীদের বিষয় পরিচালনার জন্য এটি প্রধান প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে যখন আহমাদিনেজাদ রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ করেন, তখন তিনি এর নামকরণ করেন মহিলা ও পরিবার বিষয়ক কেন্দ্র (মারকাজ-ই-ওমর-ই-জনান ভা খানভাদেহ রিয়াসাত-ই জোমহুরি)।
ইরানের মন্ত্রিসভায় নিয়োগ
সম্পাদনারাষ্ট্রপতি খাতামি জহরা শোজাইকে তার নারী বিষয়ক উপদেষ্টা (পূর্বে শাহলা হাবিবির একটি পদ) এবং নারী অংশগ্রহণ কেন্দ্রের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করেন। এই নিয়োগ তাকে ইরানের রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্য করে তোলে। জহরা শোজাই, মাসুম ইবতেকারের সাথে ইসলামী বিপ্লবের পর প্রথম মন্ত্রিসভায় নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অংশগ্রহণ করেন।
উত্তরণ
সম্পাদনা২০০৫ সালের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের নির্বাচনের সাথে সাথে নাসরিন সোলতানখাহকে শোজাইয়ের পদে নিযুক্ত করা হয়। সেন্টার ফর উইমেন পার্টিসিপেশন এর বিপরীতে এই কেন্দ্রটির নামকরণ করা হয় নারী ও পরিবার বিষয়ক কেন্দ্র, কারণ এ নামটি খাতামীর অধীনে বলা হত। তবে অংশগ্রহণ আর নীতিগতভাবে গুরুত্ব ছিল না।
শোজাইর নারী অধিকার সম্পর্কে চিন্তা
সম্পাদনাতিনি ইরানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অসহায়ভাবে একটি আরবি শব্দ ব্যবহার করেছে আর তা হলো - রিজাল, যার অর্থ "পুরুষ" বা "ভদ্রলোক"। তিনি এর বিরোধীতা করেন এবং বলেন যে, একজন পুরুষ যেমন প্রেসিরডন্ট হতে পারে তেমনি একজন নারীও হতে পারে। শোজাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি রিজাল শব্দটি একবারে বাদ দিতে চান। তিনিই প্রথম এই বিষয়টা তুলে ধরেননি। তার আগে, ইসলামিক রিপাবলিকের প্রথম সংসদে তেহরানের সাংসদ এবং ১৯৯২ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লব নারীদের সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা আজম তালেঘানি১৯৯৭, ২০০১, ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১৭ সালে ভোটের জন্য নিবন্ধন করে একই কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। অবশ্যই, তিনি প্রতিবার গার্ডিয়ান কাউন্সিল দ্বারা ছিটকে পড়েছিলেন বটে কিন্তু ২০১৯ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কখনই লড়াই ছেড়ে দেননি। এক ক্লাবহাউসের আড্ডায় শোজাই বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন অভিভাবক পরিষদের তার প্রার্থিতা প্রত্যাখ্যান করার কোন কারণ নেই। এমনকি তিনি দাবি করেন যে তার নাম ৪০ জন প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে যা অভিভাবক পরিষদ সাধারণভাবে যোগ্য বলে মনে করে।[১] রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জাহরা শোজায়েই কয়েক দশক ধরে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছেন। এখন তিনি মনে করেন, সামনের সারির রাজনীতিতে যাওয়ার সময় এসেছে-এবং দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার।[২] খাতামি প্রশাসনের সময় মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা ৬৫ বছর বয়সী জাহরা শোজাই একমাত্র বিশিষ্ট মহিলা যিনি জুন মাসের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। অথচ ইরানের সরকার কোনো নারীকেই প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেননি।[৩]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "A Week With Khamenei: Women in the Presidential Election"। IranWire | خانه (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৭।
- ↑ Welle (www.dw.com), Deutsche। "Women's rights activist enters Iran presidential race | DW | 25.05.2021" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Who Are The Early Contenders For Iran's Looming Presidential Vote?"। RadioFreeEurope/RadioLiberty (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৭।