জামিল চৌধুরী
জামিল চৌধুরী একজন বাংলাদেশি প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে তাকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ ভূষিত করেন।[১][২]
জামিল চৌধুরী | |
---|---|
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪ – ১১ ডিসেম্বর ১৯৭৮ | |
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮০ – ১৯৮৮ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাজামিল চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। তিনি আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার ফিজিকসে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাজামিল চৌধুরী ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি সত্তরের দশকের প্রায় শেষ ভাগ পর্যন্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সত্তরের দশকের শেষ ভাগ থেকে আশির দশকের শুরু পর্যন্ত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদাসম্পন্ন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যুরোর পরিচালক ছিলেন। আশির দশকে তিনি জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (১৯৮৮-১৯৯১) ছিলেন। ১৯৯২ সালে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর নেন।[২]
তিনি ২০০০ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছায়ানট এবং জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহসভাপতি ছিলেন।[২]
গ্রন্থ
সম্পাদনাজামিল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:-
পুরস্কার
সম্পাদনা- একুশে পদক (২০১৪)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "১৫ গুণী ব্যক্তি পেলেন একুশে পদক"। রাইজিংবিডি.কম। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ফারহানা আজিম শিউলী, টরন্টো, কানাডা থেকে (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "পাঠশালার আসরে অভিধানপ্রণেতা জামিল চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "এই অভিধানে আমরা 'গাছবিশেষ' বা 'ফুলবিশেষ' লিখে ছেড়ে দিইনি: জামিল চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। ১ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ জামিল চৌধুরী। বাংলা একাডেমি বাংলা বানান (অভিধান)। বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমি। আইএসবিএন 9840753010।
- ↑ জামিল চৌধুরী। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা (অভিধান)। বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমি। আইএসবিএন 9840754947।
- ↑ জামিল চৌধুরী, সম্পাদক। ব্যবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। বাংলাদেশ: অনন্যা। পৃষ্ঠা ৩২২।