জান্দী গণহত্যা
জান্দী গণহত্যা হলো ১৯৭১ সালের ২রা মে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ফরিদপুরের জান্দী গ্রামে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালি হিন্দুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা।[১][২][৩] বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, জান্দী গণহত্যায় মোট ৩১ জন হিন্দু প্রাণ হারান।[৪][৫]
জান্দী গণহত্যা জানদী গণহত্যা | |
---|---|
১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যার অংশ | |
স্থান | জান্দী, তুজারপুর, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বাংলাদেশ |
স্থানাংক | ২৩°২৪′০১″ উত্তর ৮৯°৫৮′৪০″ পূর্ব / ২৩.৪০০২১৫৯° উত্তর ৮৯.৯৭৭৮২৭৫° পূর্ব |
তারিখ | ২ মে ১৯৭১ |
লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
হামলার ধরন | ব্রাশফায়ার, গণহত্যা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | মেশিনগান, বেয়নেট |
নিহত | ৩১ |
অপরাধীগণ | পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার |
ঘটনা
সম্পাদনা১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশের পর শ্রীঅঙ্গনে গণহত্যা চালায়। খবরটি ফরিদপুরব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে হিন্দুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হিন্দুরা তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর শহর ত্যাগ করে জেলার অন্যান্য স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হন। তন্মধ্যে একজন, ব্যবসায়ী টনিক সেন পরিবার ও স্বজন নিয়ে জান্দী গ্রামে আশ্রয় নেন। টনিক সেন আওয়ামী লিগের সমর্থক ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জ্বালানী ও গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করছিলেন। দখলদার বাহিনী আওয়ামী লিগের সমর্থক ও টনিক সেনকে অনুসন্ধান করছিল।
১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনী ও দেশীয় সহযোগীরা জান্দী গ্রামে পৌঁছায় এবং গ্রামবাসীরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য গ্রামটিকে ঘিরে ফেলে। গ্রামের সকল হিন্দুদের ধরে পুরুষদের ব্রাশফায়ারে মারা হয় ও নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।[৬]
স্মরণ
সম্পাদনাপ্রতিবছর জান্দী ও ঈশানগোপালপুর গ্রামবাসীরা একত্রে গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ করে থাকে।[১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। ২০২০-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৪।
- ↑ "পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী ১৯১ জন ডা. এম এ হাসান (Unicoded) (Part 1)"। সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৩। ২০২০-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "একটি বাড়িতেই ব্রাশফায়ার করে ১৮ জনকে হত্যা"। Prothomalo। ২০২০-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৪।
- ↑ "নির্মম নির্যাতনের সাক্ষী - সমকাল"। Samakal। ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "বধ্যভূমির গদ্য (Unicoded) Part 4"। সংগ্রামের নোটবুক। ২০১৮-১২-১৭। ২০২০-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৪।
- ↑ "সেই রাজাকার – জনকণ্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন (Unicoded)"। সংগ্রামের নোটবুক। ২০১৮-১২-৩১। ২০২০-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৪।