জন কামিন্স

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

জন ব্রায়ান কামিন্স (ইংরেজি: John Commins; জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫) কেপ প্রদেশের পূর্ব লন্ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

জন কামিন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন ব্রায়ান কামিন্স
জন্ম১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫
পূর্ব লন্ডন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্ককেটি কামিন্স (পিতা); জেই কামিন্স (কাকা), এম কামিন্স (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৫৮)
২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ জানুয়ারি ১৯৯৫ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৯৪
রানের সংখ্যা ১২৫ ৫,৮৩৫
ব্যাটিং গড় ২৫.০০ ৪০.৮০
১০০/৫০ ০/০ ১৩/৩৪
সর্বোচ্চ রান ৪৫ ২০০*
বল করেছে ৩২৩
উইকেট
বোলিং গড় ৪২.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৩২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ জুন ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বোল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জন কামিন্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত জন কামিন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

মাঝারিসারির নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ছিলেন জন কামিন্স। স্থিতিশীল ভূমিকা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে লোকদেখানো কিংবা কৌশলপূর্ণ ব্যাটিংয়ের আশ্রয় নিতেন না। শারীরিকভাবে সুস্থ হবার পর বয়সের ভারে কাবু হয়ে পড়েন। তাসত্ত্বেও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে নিয়মিতভাবে রান তুলতে থাকেন। এরপর, বোল্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সময় খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জন কামিন্স। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে ডারবানে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিন টেস্টে অংশ নিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু, পায়ের সংযোগস্থলে আঘাতের কারণে তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।

১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড় জন কামিন্সের ভ্রাতৃষ্পুত্র তিনি।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "John Commins"। cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. "Former WP spinner murdered"Sport24। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৬ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা