গোয়াইনঘাট উপজেলা
গোয়াইনঘাট বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[১][২]
গোয়াইনঘাট | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() প্রতিক্রিয়াশীল মানচিত্রে গোয়াইনঘাট উপজেলা | |
বাংলাদেশে গোয়াইনঘাট উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪′৪৮.০০০″ উত্তর ৯১°৫৮′১২.০০০″ পূর্ব / ২৫.০৮০০০০০০° উত্তর ৯১.৯৭০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪৮১.১৩ বর্গকিমি (১৮৫.৭৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৪১,৮৩৭ |
• জনঘনত্ব | ৫০০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯১ ৪১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা
৪৮১.১৩ বর্গ কি.মি. জুড়ে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে ভারতেরমেঘালয়, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলা, পূর্বে জৈন্তাপুর উপজেলা ও পশ্চিমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। প্রধান নদী সারি নদী, গোয়ানইন নদী, পিয়ান নদী।
প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা
গোয়াইনঘাট উপজেলায় বর্তমানে ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে ২৬০টি মৌজা এবং ২৬৪টি গ্রাম রয়েছে।[৩]ইউনিয়নসমূহ:
- ১নং রুস্তমপুর
- ২নং পশ্চিম জাফলং
- ৩নং পূর্ব জাফলং
- ৪নং লেঙ্গুড়া
- ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও
- ৬নং ফতেপুর
- ৭নং নন্দিরগাঁও
- ৮নং তোয়াকুল
- ৯নং ডৌবাড়ী
- ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও
- ১১নং মধ্য জাফলং
- ১২নং গোয়াইনঘাট সদর
ইতিহাস সম্পাদনা
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে গোয়াইন নদীর তীরবর্তী কথিত ০৫ পরগনা (ধরগ্রাম, আড়াইখা, পিয়াইনগুল, পাঁচভাগ ও জাফলং) নিয়ে এই উপজেলা গঠিত। ১৮৩৫ সনের ১৬ মার্চ ব্রিটিশ কর্তৃক ভারত উপমহাদেশ দখলের দীর্ঘ ৯০ বছর পর জৈন্তা ব্রিটিশের অধিকারে আসে। জৈন্তা রাজের পতনের পর ১৮৩৬ সালে গোয়াইনঘাট সিলেট জেলা কালেক্টটরেটের অধিনে ন্যস্ত হয়। গোয়াইনঘাট বাজারে ১৯০৮ সালে ব্রিটিশ সরকার গোয়াইনঘাট থানা স্থাপন করেন। তখন থানাকে পুলিশ স্টেশন বলা হতো। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে ১৯৮৩ সানের ১৫ এপ্রিল গোয়াইনঘাট থানার স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সনের ১৯ শে জুলাই উপজেলায় রুপান্তরিত হয়।[৪]
জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা
মোট জনসংখ্যা ২,৪১,৮৩৭ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫০১ জন/বর্গ কি:মি:। পূরুষ ও নারীর অনুপাত যথাক্রমে ৫১.৮০% ও ৪৮.২০%।[১]
শিক্ষা সম্পাদনা
এই উপজেলায় গড় শিক্ষার হার ৩২.৭%। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১১৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৯টি, মাদ্রাসা ৯টি ও কলেজ ৫ টি।[১]
অর্থনীতি সম্পাদনা
উপজেলাটির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা হচ্ছে: পাথর ব্যবসা, কয়লা ব্যবসা, চুনা পাথর ব্যবসা, চা ও পান উৎপাদন। এখানে জাফলং, ফতেপুর ও গুলনী চা বাগান নামে ৩টি চা বাগান রয়েছে।[১][৫]
দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, লালাখাল, লক্ষণ ছড়া, সাদাপাথর, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কসহ উল্লেখযোগ্য।[৬]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পাদনা
- ফয়জুল হাসান–সাবেক এম এল এ
- আব্দুল হান্নান–সাবেক এমপি
- দিলদার হোসেন সেলিম-সাবেক এমপি
- বিগ্রেডিয়ার তোফায়েল সারোয়ার রানা - অতিরিক্ত মহাপরিচালক র্যাব।
- রকিব আল হাফিজ - উপ কর কমিশনার,ঢাকা।
- ড.আতিউল্লাহ - সাবেক ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান শাবিপ্রবি।
- ফজলুল হক - অধ্যক্ষ, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ "এক নজরে গোয়াইনঘাট উপজেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "গোয়াইনঘাট উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৭।
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - গোয়াইনঘাট উপজেলা"। gowainghat.sylhet.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "উপজেলার পটভূমি"। gowainghat.sylhet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "ব্যবসা বাণিজ্য"। gowainghat.sylhet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "জাফলং, রাতারগুল সোয়ামফরেস্ট, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই ঝর্ণা"। gowainghat.sylhet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।