কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেট
সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
কোম্পানীগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
কোম্পানীগঞ্জ | |
![]() বাংলাদেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেটের অবস্থান | |
বাংলাদেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেটের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪′৪৫″ উত্তর ৯১°৪৫′১৫″ পূর্ব / ২৫.০৭৯১৭° উত্তর ৯১.৭৫৪১৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
জাতীয় সংসদ | সিলেট-৪ |
সরকার | |
• এমপি | ইমরান আহমদ (আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২৯৬.৭৬ বর্গকিমি (১১৪.৫৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৭৪,০২৯ |
• জনঘনত্ব | ৫৯০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ২৮.৮০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩১০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯১ ২৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
২৯৬.৭৬ বর্গ কি.মি. জুড়ে অবস্থিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা, পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা, পশ্চিমে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা। কোম্পানীগঞ্জের প্রধান নদীগুলো হল ধলাই, সুরমা ও পিয়াইন।
উপজেলা প্রতিনিধিগণসম্পাদনা
- উপজেলা চেয়ারম্যান=হাজী শামীম আহমদ(পাড়ুয়া মাঝপাড়া)।
- উপজেলা নির্বাহী অফিসার=লুসিকান্ত হাজং (০১৭৩০৩৩১০৩৩)
- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান= মোঃলাল মিয়া।
- উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান=মোছাঃআয়শা বেগম।
- সহকারী কমিশনার (ভূমি)=ডি. এম. সাদিক আল শাফিন
- উপজেলা থানার ওসি=হিল্লোল রায়
- উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার=মোহাম্মদ নাঈম হাসান
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কোম্পানীগঞ্জ থানার আওতাধীন।[২]
১৯৭৬ সালে স্থাপিত পুলিশ ফাঁড়ি ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এতে ৭৪টি মৌজা এবং ১৫৮টি গ্রাম আছে।
ইতিহাসসম্পাদনা
১৭৭৯সালে খাসিরা ভোলাগঞ্জের পান্ডুয়া গ্রামে ব্যবসায়ীদের উপর আক্রমণ করেছিল, যারা ইউরোপীয়দের কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। অনেক বণিক সিলেটের কালেক্টর রবার্ট লিন্ডসে কে অনুরোধ করেছিলেন যাতে খাসি থেকে তাদের বাঁচাতে একটি ছোট ইটের দুর্গ তৈরি করে দেন ১৭৮৯ সালে, সিলেটের কালেক্টর জন উইলস পান্ডুয়ায় অনেক সিপাহী স্থাপন করেছিলেন। খাসি অবশ্য তাদের আক্রমণ চালিয়ে যায়, থানাদার ও বহু সিপাইকে হত্যা করে। দুই ইউরোপীয় বণিক পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি উইলিসকে জানাতে সক্ষম হয়েছিল, যিনি এটি কলকাতায় সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। এরপরে একটি বাহিনী সেখান থেকে পান্ডুয়া গ্রামে প্রেরণ করা হয়েছিল, যদিও এটি রক্তহীন পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। উইলস সরকারকে আরও বলেছিলেন যে খাসি সেনারা প্রতিটি আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, মেসেঞ্জারের শিরশ্ছেদ করবেন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের সময়ে এমনকি তারা যেমন সিলেটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ততই উত্তর সিলেটের উপর তার সত্যই নিয়ন্ত্রণ ছিল। ১৭৯৫ সালে খাসির আরেকটি অভিযান ঘটে এবং এর অনেক বছর পরে খাসীরা তাদের পাহাড়েই রয়ে গিয়েছিল এবং সমভূমিগুলিকে ঝামেলা করে না। ১৯৭৬সালে কোম্পানিগন্জ থানাটি ধলাই নদীর তীরে বুরদেও গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বর্তমান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত তবে এর মধ্যে রয়েছে ইসলামপুর ইউনিয়ন (ছাতক), জালালাবাদ ইউনিয়ন (সিলেট সদর) পাশাপাশি রুস্তমপুর ও তোয়াকুল ইউনিয়ন (গোয়াইনঘাট)। থানা তৈরির কারণ ছিল কারণ শহরে যাওয়ার কোনও প্রধান রাস্তা ছিল না এবং বর্ষাকালে নদীর একমাত্র প্রবেশ পথ ছিল। এই অঞ্চলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক খাতে প্রবল উপস্থিতি ছিল এবং তাই এর নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
জনসংখ্যা ১,৭৪,০২৯। এর মধ্যে পুরুষ প্রায় ৮৯,৬৪৯ জন এবং মহিলা-৮৪,৩৮০ জন।
শিক্ষাসম্পাদনা
গড় শিক্ষার হার ২৮.৮০%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহসম্পাদনা
উল্লেখযোগ্য ও বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ কলেজ সমূহ
- ১.এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ
- ২.ইমরান আহমদ করিগরি কলেজ
- ৩.শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
- ৪.ভাটরাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
- ৫.পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
দাখিল ও আলিম মাদরাসা
- ১.নতুন মেঘারগাঁও মাদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা
- ২.কলাপাড়া যোঁগিরগাঁও হাফিজিয়া জালালিয়া দাখিল মাদরাসা
- ৩.পাড়ুয়া নোয়াগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা
- ৪.কাঁঠালবাড়ী চৌমুহনীবাজার আলীম মাদরাসা
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ১.পূর্ণছগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়।
- ২.বর্নি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- ৩.রণিখাই হুমায়ুন রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৪.দলইরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৫.কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৬.ঢালারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৭.তেলিখাল উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৮.ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
- ৯.কলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
- ১০.শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
- ১১.পারকুল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহ
- ১.দিগলবাঁকেরপাড়া-ফেদেরগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- ২.চাটিবহর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কোম্পানীগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "এক নজরে কোম্পানীগঞ্জ"। companiganj.sylhet.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |