গোমতী নদী (কুমিল্লা)
গোমতী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক গোমতী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ০৪।[২]
গোমতী নদী | |
কাপ্তান বাজার, কুমিল্লায় গোমতী নদী
| |
দেশসমূহ | ভারত, বাংলাদেশ |
---|---|
রাজ্য | ত্রিপুরা |
অঞ্চল | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
উৎস | ডম্বুর হ্রদ, ত্রিপুরা |
মোহনা | মেঘনা নদী |
দৈর্ঘ্য | ৯৫ কিলোমিটার (৫৯ মাইল) |
উৎপত্তি ও প্রবাহ
সম্পাদনাগোমতী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের (ডুম্বুর) ডুমুর নামক স্থানে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্যভূমির মধ্য দিয়ে সর্পিল পথ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবির বাজার স্থলবন্দরের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর এটি আঁকাবাঁকা প্রবাহপথে কুমিল্লার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, তিতাস উপজেলাসমূহ অতিক্রম করে সবশেষে দাউদকান্দিতে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে।[৩]
উপনদী এবং শাখানদী
সম্পাদনাগোমতীর প্রধান শাখানদী হলোঃ বুড়ি। আর আর্সি-নালিয়া হলো গোমতীর একমাত্র প্রশাখা নদী। এর কোনো উপনদী নেই।
অন্যান্য তথ্য
সম্পাদনাগোমতি নদীটি তীব্র খরস্রোতা। কুমিল্লায় এর প্রবাহমাত্রা ১০০ থেকে ২০,০০০ কিউসেক পর্যন্ত উঠানামা করে।[৩]
চিত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৯৮-২৯৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৮৭-১৮৯।
বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |