দাউদকান্দি উপজেলা
দাউদকান্দি উপজেলা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
দাউদকান্দি | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে দাউদকান্দি উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′৬″ উত্তর ৯০°৪৩′১৩″ পূর্ব / ২৩.৫৩৫০০° উত্তর ৯০.৭২০২৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
জাতীয় সংসদ | ২৪৯ কুমিল্লা-১ |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ২১০.২১ বর্গকিমি (৮১.১৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৬৮,৪২৭ |
• জনঘনত্ব | ৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাদাউদকান্দি উপজেলার উত্তরে মেঘনা উপজেলা ও তিতাস উপজেলা, দক্ষিণে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা, পূর্বে চান্দিনা উপজেলা ও মুরাদনগর উপজেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৫৬৪ খ্রিষ্টাব্দে সোলেমান কররানী বাংলাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। সোলেমান কররাণীর মৃত্যুর পর তার ছোট পুত্র দাউদকাররাণী সম্রাট আকবরের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে।তারপর তিনি নিজের নামাংকিত মুদ্রা চালু করেন এবং নিজেকে বাংলার শাসক হিসাবে ঘোষণা করেন। ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই মাসে সম্রাট আকবরের সাথে এক যুদ্ধে দাউদকাররাণী মৃত্যুবরণ করেন। কথিত আছে যে, দাউদকাররাণীর নামানুসারেই 'দাউদকান্দির'নামকরণ করা হয়। অন্য এক সূত্র হতে জানা যায় তাৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আদেশক্রমে ১৭৭৮ খ্রিঃ মিঃজেঃস রেনেল কর্তৃক তৈরী বৃৃটিশ অধূষিত বাংলা ও বিহারের মানচিত্রে 'ডেভিড স্কাডি' নামক স্থানের নির্দেশনা রয়েছে। ইংরেজরা 'দাউদ' নামকে 'DEVID' এবং 'কান্দিকে' 'SKENDI' উল্লেখ করেছেন।[২]
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাদাউদকান্দি উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম দাউদকান্দি থানার আওতাধীন।
- দাউদকান্দি উত্তর
- দাউদকান্দি দক্ষিণ (দাউদকান্দি পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ফলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত)
- সুন্দলপুর
- বারপাড়া
- গৌরীপুর
- জিংলাতলী
- ইলিয়টগঞ্জ উত্তর
- ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ
- মালিগাঁও
- মোহাম্মদপুর পশ্চিম
- মারুকা
- বিটেশ্বর
- গোয়ালমারী
- পদুয়া
- পাঁচগাছিয়া পশ্চিম
- দৌলতপুর
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাদর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- দাউদকান্দি গোমতী সেতু
- ঐতিহ্যবাহী বানিয়া পাড়া জামে মসজিদ
- শ্রীরায়েরচর দরগা বাড়ী- পদুয়া
- দাউদকান্দি ঈদগাহ (বিশ্বরোড)
- জারিফ আলী পার্ক (দাউদকান্দি)
অর্থনীতি
সম্পাদনাযোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনারাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলিস্থান পার্ক এর দক্ষিণ দিক থেকে সরাসরি দাউদকান্দি গৌরীপুরের বাস আছে অথবা রাজধানীর সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি দাউদকান্দির বাস আছে।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাসংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৩] | সংসদ সদস্য[৪][৫][৬][৭][৮] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৯ কুমিল্লা-১ | মেঘনা উপজেলা, দাউদকান্দি উপজেলা এবং তিতাস উপজেলা | পদ শূন্য |
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
সম্পাদনাক্রম নং. | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম (নয়ন) |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | মোসাঃ রোজিনা আক্তার |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | মোঃ মহিনুল হাসান |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "এক নজরে দাউদকান্দি"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ [ http://daudkandi.comilla.gov.bd/node/31952/-দাউদকান্দির-ইতিহাস- ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে http://daudkandi.comilla.gov.bd/node/31952/-দাউদকান্দির-ইতিহাস- ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে]
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।