গয়নার বাক্স (চলচ্চিত্র)

গয়নার বাক্স হল বাংলা হাসির ভৌতিক চলচ্চিত্র। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট গল্প রাসমনির 'সোনাদানা' অবলম্বনে গয়নার বাক্স ছবিটি নির্মিত হয়।[১][২][৩] এই ছবিটি ১২ই এপ্রিল ২০১৩ এ মুক্তি পায়।[৪]

গয়নার বাক্স
গয়না বাক্স ছবি ব্যানার
ছবি ব্যানার
পরিচালকঅপর্ণা সেন
প্রযোজকশ্রীকান্ত মোহতা
মহেন্দ্র সোনি
উৎসগয়নার বাক্স, রাসমনির সোনাদানা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শ্রেষ্ঠাংশেমৌসুমি চট্টোপাধ্যায়
কঙ্কনা সেন শর্মা
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
সুরকারদেবজ্যোতি মিশ্র
চিত্রগ্রাহকসৌমিক হালদার
সম্পাদকরবিরঞ্জন মৈত্র
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেস ফিল্ম
মুক্তি
  • ১২ এপ্রিল ২০১৩ (2013-04-12)
স্থিতিকাল১৪১ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা

কাহিনীটি দেশভাগের সময় পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর সংলগ্ন নবাবগঞ্জে চলে আসা এক বিগতশ্রী বাঙালি হিন্দু জমিদার পরিবারের এক বিধবা কর্তৃক সঞ্চিত গয়নাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে । কাহিনীর প্রধান চরিত্র রাসমণি ১১ বছর বয়সে বিধবা হওয়ার পর বাকী জীবনটা ভাইদের সংসারে থেকে নিজের ৫০০ ভরি (১ ভরি = ভারতে ১১.৫৫ গ্রাম, পাকিস্তানে ১২.৫ গ্রাম) সোনার গয়না একটি কাঠের বাক্সের মধ্যে আগলে রেখেছে । ১৯৪৯ সালে সেই পরিবারের ছোট ছেলে চন্দনের বউ রূপে পদার্পণ করে গরিব ঘরের মেয়ে সোমলতা । গয়নার প্রতি লোভ না থাকায় সোমলতাকে রাসমণির ভাল লেগে যায় । কিন্তু সোমলতার বিয়ের কিছুকাল পরেই রাসমণির মৃত্যু হয় । নিজের গয়নার প্রতি অত্যন্ত আসক্তির ফলে মৃত্যুর পর রাসমণি ভূতে পরিণত হয় । লোভী আত্মীয়দের হাত থেকে নিজের গয়না বাঁচাতে রাসমণির ভূত সেগুলি সোমলতার কাছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তুলে দেয় ।

এদিকে জমিদারবংশের মর্যাদা রক্ষায় পরিবারের পুরুষরা চাকরি করে উপার্জন করতে অনিচ্ছুক হওয়ায়, চন্দনের বড়ভাইয়ের জুয়ার নেশায় এবং শরিকদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার খরচ জোগাতে গিয়ে পরিবারের সঞ্চিত টাকা ক্রমশঃ ফুরিয়ে আসতে থাকে, কিন্তু রাসমণির ভূতের দাপটে সোমলতা সেই সঞ্চিত গয়না কারুর সামনে প্রকাশ করতে পারল না । অবশেষে সোমলতা গোপনে কিছু গয়না বন্ধক রেখে টাকার জোগাড় করে এবং সেই টাকা দিয়ে শাড়ী বিক্রির ব্যবসা শুরু করে । সোমলতার দক্ষ পরিচালনায় ব্যবসা অত্যন্ত ভালভাবে চলতে থাকে এবং বন্ধক রাখা গয়না ফেরত আনা হয় । এরই মধ্যে জানা যায় যে চন্দন এক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে । সোমলতা রাসমণির ভূতের কাছে এই ব্যাপারে নালিশ করলে ভূত তাকেও পরকীয়া সম্পর্ক পাতানোর পরামর্শ দেয় । সোমলতা রফিক নামে এক বাঙালি মুসলমানের প্রেমে পড়ে কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয় । সোমলতাকে চরিত্রহীনা করতে না পেরে রাসমণির ভূত তাকে ছেড়ে তার মেয়ে চৈতালির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ।

আধুনিকা, কলেজে-পড়া চৈতালির সঙ্গে রাসমণির ভূতের সম্পর্ক ভালভাবে জমে যায় । চৈতালির চেহারার সঙ্গে রাসমণির চেহারার মিল থাকায় সোমলতার ধারণা হয় যে রাসমণিই চৈতালি হয়ে আবার জন্মগ্রহণ করেছে, তাই সে রাসমণির গয়নায় ভরা বাক্স চৈতালির হাতে তুলে দেয় । কাহিনীর প্রেক্ষাপট এখন ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উপস্থিত হয় । চৈতালির প্রেমিক বনোয়ারীলাল (ওরফে বেণু) নিয়তঃ সীমান্ত টপকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করত । পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে বেণু নিহত হলে রাসমণির ভূতের পরামর্শে চৈতালি সেই ৫০০ ভরি গয়না মুক্তিবাহিনীকে দান করে এবং রাসমণির আত্মা অবশেষে প্রেতত্ব থেকে মুক্তি পায় ।

অভিনয় সম্পাদনা

সঙ্গীত সম্পাদনা

নাম গায়ক
আমার সোনার বাংলা অরিজিত সিং
বাংলা র‍্যাপ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কনা সেন শর্মা, পীযুষ গাঙ্গুলী, মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়
বাসনার গান কৌশিকী চক্রবর্তী
চন্দনা কুমকুম পারমিতা, ইপ্সিতা, স্বেতা, দেবলিনা
ও বনের ডুবা রে পারমিতা, ইপ্সিতা, স্বেতা, দেবলিনা
কি আছে গয়নার বাক্সে অন্দিয়া চ্যাটার্জী, উপল সেন গুপ্ত
নদী ওপারে ঘন কুয়াশা রূপঙ্কর
সখি রে সুভা মুডগাল

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গয়নার বাক্স"। টেলগ্রাফ। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "The Times of India ENTERTAINMENT"। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। 
  3. "Aparna Sen's next film based on Bengali story Goynar Baksho"। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। 
  4. "Aparna Sen's Goynar Baksho Bengali Film"। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭