ক্লদ নিউবেরি

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

ক্লদ নিউবেরি (ইংরেজি: Claude Newberry; জন্ম: ১৮৮৯ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯১৬) কেপ উপনিবেশের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৩ থেকে ১৯১৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ক্লদ নিউবেরি।

ক্লদ নিউবেরি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম৩০ নভেম্বর, ১৮৮৮
পোর্ট এলিজাবেথ, কেপ উপনিবেশ
মৃত্যু১ আগস্ট, ১৯১৬ (২৭ বছর)
ডেলভিল উড, সোম, ফ্রান্স
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট, লেগ-ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
২৬ ডিসেম্বর ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১০/১১ - ১৯১৩/১৪ট্রান্সভাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৬
রানের সংখ্যা ৬২ ২৫১
ব্যাটিং গড় ৭.৭৫ ১১.৯৫
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৬ ৪২
বল করেছে ৫৫৮ ২১২৩
উইকেট ১১ ৪৯
বোলিং গড় ২৪.৩৬ ২৪.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৭২ ৬/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ২১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯

শৈশবকাল

সম্পাদনা

ক্লদ নিউবেরি’র জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। তার প্রকৃত জন্ম তারিখও অজানা। শিশুকালে বাবা-মা’র কাছ থেকে পরিত্যক্ত হবার পর এস্তার রবার্টস নাম্নী এক মাসীর তত্ত্বাবধানে শৈশবকাল অতিবাহিত করেছিলেন ক্লদ নিউবেরি।[]

ঘরোয়া ক্রিকেট

সম্পাদনা

পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন ক্লদ নিউবেরি। নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

১৯১০-১১ মৌসুম থেকে ১৯১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত ট্রান্সভালের পক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। মার্চ, ১৯১১ তারিখে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৬/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ৭৭ রানে গুটিয়ে দিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।[]

টেস্ট ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি মাত্র চারটি টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ক্লদ নিউবেরির।

১৯১৩-১৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। প্রথম টেস্টে সফরকারী দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। সফরের পরবর্তী খেলায় ট্রান্সভালে বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমসিসি দল। ৩/১০৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে স্থানীয় দলের পক্ষে সর্বাপেক্ষা সফলতার সাক্ষর রাখেন তিনি। তবে সফরকারী দলটি আবারও ইনিংসের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিল। দলে চারটি পরিবর্তনের একটি অংশ হিসেবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে সিরিজের বাদ-বাকি টেস্টে তার অংশগ্রহণ ছিল। ২৪.৩৬ গড়ে ১১ উইকেট লাভ করে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক সফলতম বোলারে পরিণত হয়েছিলেন ক্লদ নিউবেরি।[] পুরো সিরিজে ফ্রাঙ্ক ওলিকে চারবার আউট করেছিলেন তিনি।[]

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সাউথ আফ্রিকান ইনফ্যান্ট্রিতে তালিকাভুক্ত হন ও ফ্রান্সে দায়িত্ব পালন করেন। ১ আগস্ট, ১৯১৬ তারিখে ফ্রান্সের সোম এলাকার ডেভিল উডে ২৭ বছর বয়সে ক্লদ নিউবেরি’র জীবনাবসান ঘটে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বারোজন টেস্ট ক্রিকেটারের জীবনাবসান ঘটেছিল। তন্মধ্যে, আর্থার অশি, রেজি সোয়ার্জ, গর্ডন হোয়াইট, এরিক বিল লুন্ডি, ক্লদ নিউবেরি, রেজিনাল্ড হ্যান্ডসফ্রেডরিক কুক - এ সাতজনই দক্ষিণ আফ্রিকান ছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Nigel McCrery, Final Wicket: Test and First Class Cricketers Killed in the Great War, Pen & Sword Books, Barnsley, 2015. pp. 253–54.
  2. Jones, Michael। "The tragic story of Claude Newberry"Cricket Country। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. "Eastern Province v Transvaal 1910-11"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Test Bowling for South Africa"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  5. Cricket and society in South Africa, 1910-1971, From union to icolation, Edited by Bruce Murray, Richard Parry and Jonty Winch, Palgrave Macmillan, ISBN 978-3-319-93607-9, 1969

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা