কারবালা

ইরাকের শহর
(কুরআনে মেসোপটেমিয়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কারবালা (আরবি: كربلاء; কারবালা আল-মুকাদ্দাসা বলেও উল্লেখ করা হয়) ইরাকের অন্তর্গত একটি শহর। এটি বাগদাদের ১০০ কিমি (৬২ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। শহরটি কারবালা প্রদেশের রাজধানী। ২০০৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ৫,৭২,৩০০ জন।

কারবালা
كربلاء
কারবালা আল মুকাদ্দাসা
কারবালা ইরাক-এ অবস্থিত
কারবালা
কারবালা
ইরাকে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩২°৩৭′ উত্তর ৪৪°০২′ পূর্ব / ৩২.৬১৭° উত্তর ৪৪.০৩৩° পূর্ব / 32.617; 44.033
রাষ্ট্রইরাক
প্রদেশকারবালা
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১০,৬৬,৬০০[]

কারবালা মূলত ঐতিহাসিক কারবালার যুদ্ধের কারণে বেশি পরিচিত। মহানবীর দৌহিত্র ও আলীর পুত্র হোসাইন ইবনে আলী এই শহরে শাহাদাতবরণ করেন। মক্কা, মদিনাজেরুজালেমের পর শিয়া মুসলমানেরা কারবালাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

রাতের কারবালা

ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

বিভিন্ন অনুসন্ধানকারীদের মধ্যে "কারবালা" শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক মত রয়েছে। কেউ কেউ "কারবালা" এর সাথে "কারবালাতো" ভাষার একটি সংযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, আবার কেউ কেউ এর অর্থ বের করার চেষ্টা করেছেন "কারবালা" শব্দের বানান এবং ভাষা বিশ্লেষণ করে। প্রাচীন ব্যাবিলনীয় গ্রামগুলির একটি গ্রুপ ছিল সেই গ্রুপের নাম ছিল "কার বাবেল"। সেই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলো হল - নানাওয়া, আল-গাদিরিয়া, কারবেল্লা (কার্ব ইল্লু। যেমন আরবা ইল্লু [আরবিল]), আল-নওয়াওয়েস এবং আল- হীর। অনুসন্ধানকারীরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে "কারবালা" শব্দটি সেই আরবি শব্দ "কার বাবেল" নামের গ্রুপটি থেকে এসেছে। সেই গ্রুপে উল্লেখ করা প্রাচীন ব্যাবিলনীয় গ্রামগুলির শেষ গ্রামের নামটি আজ আল-হাইয়ার নামে পরিচিত এবং যেখানে হুসেন ইবন আলীর কবর অবস্থিত।

তদন্তকারী ইয়াকুত আল-হামাউই উল্লেখ করেছিলেন যে "কারবালা" এর অর্থের বিভিন্ন ব্যাখ্যা থাকতে পারে, যার মধ্যে মূল যে ব্যাখাটি তিনি করেছেন সেটি হল যে জায়গায় হুসেইন ইবন আলীকে শহীদ করা হয়েছিল সেটি নরম মাটির তৈরি - "আল-কারবালাত"।

শিয়াদের বিশ্বাস অনুসারে, প্রধান দূত গ্যাব্রিয়েল (জিব্রাঈল আঃ) মুহাম্মদ (সাঃ) কে কারবালা' নামের প্রকৃত অর্থ বর্ণনা করেছেন: কার্ব (আরবি: كَرْب, যে ভূমি অনেক যন্ত্রণার কারণ হবে) এবং বালা' (আরবি: بَلَاء, দুর্দশা) এর সংমিশ্রণ।"

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
Published in the 19th century
  • Louis de Sivry, সম্পাদক (১৮৫৯)। "Karbala"Dictionnaire geographique, historique, descriptif, acheologique des pèlerinages anciens et modernes (French ভাষায়)। Paris। 
Published in the 20th century
  • "Kerbela", The Encyclopaedia Britannica (11th সংস্করণ), New York: Encyclopaedia Britannica, ১৯১০, ওসিএলসি 14782424 
Published in the 21st century
  • C. Edmund Bosworth, সম্পাদক (২০০৭)। "Karbala"। Historic Cities of the Islamic World। Leiden: Koninklijke Brill 
  • Michael R.T. Dumper; Bruce E. Stanley, সম্পাদকগণ (২০০৮), "Karbala", Cities of the Middle East and North Africa, Santa Barbara, USA: ABC-CLIO 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা