কুমিল্লা বিমানবন্দর

(কুমিল্লা স্টলপোর্ট থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কুমিল্লা বিমানবন্দর (আইএটিএ: CLA, আইসিএও: VGCM) বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত একটি বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি কুমিল্লার উত্তর-পশ্চিমে; মূল শহর থেকে ৩.৩ কি.মি. দূরে গড়ে উঠেছে।বিমান বন্দরটি ৭৭ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। বর্তমানে এখানে বাংলাদশ সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি অবস্থিত রয়েছে। এটি এমুহূর্তে পাবলিক সেবায় নিয়োজিত নয়। এই বিমানবন্দরটি এখন পরিত্যক্ত।

কুমিল্লা বিমানবন্দর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনপরিত্যক্ত
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাকুমিল্লা
অবস্থানবাংলাদেশ
এএমএসএল উচ্চতা২৬ ফুট / ৮ মিটার
ওয়েবসাইটhttps://geohack.toolforge.org/geohack.php?pagename=Comilla_Airport&params=23_26_12.5_N_91_11_23.5_E_region:BD_type:airport&title=Comilla+Airport+%28Comilla%29
মানচিত্র
VGCM বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
VGCM
VGCM
বাংলাদেশে কুমিল্লা বিমানবন্দরের অবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
ফুট মি
16/34 ৩,৩৮০ ১,০৩০ Asphalt
উৎস: Landings.com[১][২]

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের বাইরে দেশে যে কটি বিমানবন্দর রয়েছে কুমিল্লা তার অন্যতম। প্রতিদিনই এ বন্দরের সিগন্যাল ব্যবহার করছে দেশ-বিদেশের কমপক্ষে ৪০টি এয়ার বাস। আর সিগন্যালিং থেকে মাসে আয় হচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তবে, এ বিমানবন্দরে কোনো বিমান নামে না এবং এখান থেকে কোনো বিমান ওড়ে অন্যত্র যায়ও না।

কার্যকরি উদ্যোগ নিলে এখানে বিমান ওঠানামার কাজ শুরু করা সম্ভব। কুমিল্লা বিভাগ না হলেও বিভাগীয় সব দপ্তর রয়েছে এ জেলায়। রয়েছে সমৃদ্ধ ইপিজেড, বার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিমানবন্দরটি চালু করা হলে এটি একটি লাভজনক বিমানবন্দর হতে পারে বলে অনেকের মত। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা বিমানবন্দরটি পুরোপুরি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন।

কুমিল্লা এখন শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী জেলা। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এর ১৩ শতাংশই বিদেশে কর্মরত। এছাড়া বিমানবন্দরসংলগ্ন রয়েছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। তাই এটি সচল হলে প্রবাসীদের আসা-যাওয়ার সুবিধার পাশাপাশি ইপিজেডে অনেক বিদেশি বিনিয়োগে আসবেন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে।

বাংলাদেশে মোট তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। এছাড়া সাতটি শর্ট টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (স্টল) বিমানবন্দর রয়েছে। এই সাতটি স্টল বিমানবন্দরের একটি কুমিল্লা বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১-৪২ সালে নগরীর দক্ষিণ পাশে নেউরা, ঢুলিপাড়ার ও রাজাপাড়া এলাকার পাশে ৭৭ একর ভূমিতে তৈরি হয় এ বিমানবন্দর। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ রুটে সচল ছিল। পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়।

বিমান ওঠানামা না করলেও এখনও চালু অবস্থাতেই আছে বিমানবন্দরটি। এ বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী অনেক বিমানকে আকাশপথের সিগন্যাল দেওয়া হয়। প্রতিদিন এ বিমানবন্দর থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে অন্তত ৪০টি বিমান। এটির সিগন্যাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ভারতের অভ্যন্তরীণ রুট, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের বিমান। আগরতলা বিমানবন্দরে যাওয়া বিমানও এ রুটে চলাচল করে।

কুমিল্লা বিমানবন্দরে নেভিগেশন ফ্যাসিলিটিস, কন্ট্রোল টাওয়ার, ভিএইচএফ সেট, এয়ার কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি, ফায়ার স্টেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ সব সুবিধাই রয়েছে। যাত্রীদের জন্য আলাদা রুমও আছে। সব সুবিধা থাকার পরও উদ্যোগের অভাবে গত ৪ দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দরটি। তবে এটি চালু করতে খুব বেশি অর্থেরও প্রয়োজন নেই। শুধু উদ্যোগ নিয়ে রানওয়ে মেরামত এবং ফায়ার সার্ভিস ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের কয়েকজন জনবল নিয়োগ করলেই এ বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে স্টল বিমান চলাচলের পাশাপাশি কলকাতা, আগরতলাসহ বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচল সম্ভব। এসব কাজের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা। বিমানবন্দরটি চালু হলে বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষ সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থান ও আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করতে পারবেন। সুবিধা হবে প্রবাসীদেরও, বাঁচবে সময়। পাশাপাশি ইপিজেডসহ জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রসার ঘটবে। এ ইপিজেডে বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ না হওয়ার কারণে আগ্রহ থাকার পরও অনেক বিদেশি এখানে বিনিয়োগ করতে আসছেন না। ইপিজেডের পাশের বিমানবন্দরটি চালু হলে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়বে। এজন্যে দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম চালু করার জোড় দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনগণ।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Airport record for Comilla Airport at Landings.com. Retrieved 2013-08-08
  2. গুগল (২০১৩-০৮-০৮)। "location of Comilla Airport" (মানচিত্র)। গুগল ম্যাপস। গুগল। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা