কুড়িল উড়ালসেতু
কুড়িল উড়ালসেতু, যা কুড়িল ফ্লাইওভার নামেই সমধিক পরিচিত, ঢাকার কুড়িল মোড়ে, বিমানবন্দর সড়ক ও প্রগতি সরণির সংযোগস্থলে ৩য় উড়ালসেতু। অন্য দুটি উড়ালসেতু হলো যথাক্রমে মহাখালী উড়ালসেতু ও খিলগাঁও উড়ালসেতু। সরকারিভাবে এটি অবশ্য কুড়িল বহুমুখী ফ্লাইওভার নামে পরিচিত।[১] প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাচল নতুন শহরের সংযোগ স্থাপন, বিমানবন্দর সড়ক ও প্রগতি সরণি সংযোগস্থলের যানজট হ্রাস এবং নগরীর উত্তর-পশ্চিম অংশের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।[২] এই সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা।[২] প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।[৩] দুই বছরমেয়াদী প্রকল্পটি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে সম্পন্ন হবে বলে প্রাক্কলিত হয়।[১][২] কিন্তু পরে তা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।[৪]
কুড়িল উড়ালসেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৯′২০″ উত্তর ৯০°২৫′১৪″ পূর্ব / ২৩.৮২২৩° উত্তর ৯০.৪২০৬° পূর্ব |
বহন করে | বাস, ট্যাক্সি, মোটরবাইক, ছোট গাড়ি, |
ইতিহাস | |
চালু | ৪ আগস্ট ২০১৩ |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না |
অবস্থান | |
বিবরণ
সম্পাদনাউড়ালসেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২ মে। উড়ালসেতুটি নির্মাণে রাজউক-এর নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হচ্ছে।[২] সেতুটি আরসি গ্রিডার ও পিসি বক্স গ্রিডার উভয় পদ্ধতির মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে।[৩] পুরো সেতুটির সড়ক-দৈর্ঘ্য হবে ৩.১ কিলোমিটার। সেতুটির উচ্চতা ১৪.৫ মিটার (৪৭.৫৭ ফুট) এবং প্রস্থ ৯.২ মিটার (৩০.১৮ ফুট)। উড়াল সেতুটির মধ্যে থাকবে ৪টি লুপ বা ঘুর্ণি। এর নির্মাণে পাইলিং হবে ২৯২টি, পায়ার হবে ৬৭টি। পাইল কেপ হবে ৬৮টি। এই প্রকল্পের অধীনে ৩০০ ফুট প্রশস্ত একটি সংযোগ সড়কও নির্মিত হবে।[১][২] প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রকল্পের অধীন প্রচুর জমি সরকার অধিগ্রহণ করে, ফলে উচ্ছেদ করা হয় অনেক স্থাপনা। উড়ালসেতুটির উদ্বোধনকালীন ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসেতুর নির্মাণ খরচ প্রাক্কলিত হয় ৩০৩ কোটি টাকা।[৪]
নির্মাণকাজ
সম্পাদনাউড়ালসেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে রয়েছে রাজউক। নির্মাণ কাজে জড়িত রয়েছে প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের প্রারম্ভলগ্ন থেকেই এর নির্মাণ কাজ জোরেসোরে শুরু হয়। এছাড়া নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে বলেও পত্রপত্রিকায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। নির্মাণে ধীরগতির জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের জনবল ও যন্ত্রবলের ঘাটতি এবং রেলওয়ের জমি অধিগ্রহণে জটিলতাকে দায়ী করা হয়। নির্মাণ চলাকালীন রাস্তায় বোটল নেক তৈরি হওয়ায় এসময় রাস্তাগুলোতে প্রতিদিনই তৈরি হয় প্রবল যানজট।[২] কিন্তু ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগস্ট উড়ালসেতুর উদ্বোধন হবার পর এই চিত্র পাল্টে যায়, এবং বিনা জ্যামে বিশ্বরোড মোড় পার হতে পারে বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহনসমূহ। তবে উদ্বোধনকালীন সময়ে এর চারটি লুপের মধ্যে একটি, দুটি ফুটওভারব্রিজ ও লেকের শেষ পর্যায়ের কাজ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ বাকি ছিল (প্রেক্ষিত: ২৪ আগস্ট ১৯:৪০)।[৪]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ দেশের খবর: কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], নিজস্ব প্রতিবেদক, আল ইহসান। ৩ মে ২০১০। পরিদর্শনের তারিখ: জুলাই ১০, ২০১১ খ্রি.।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ নয় মাসে কাজ হয়েছে ৬ শতাংশ : নির্ধারিত সময়ে কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণে অনিশ্চয়তা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে, রকিবুল হক, দৈনিক আমার দেশ। ২৯ জানুয়ারি ২০১১ খ্রি.। পরিদর্শনের তারিখ: জুলাই ১০, ২০১১ খ্রি.।
- ↑ ক খ কুড়িল মোড়ের নির্মাণস্থলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাগানো প্রজেক্ট বৃত্তান্তের সাইনবোর্ড। পরিদর্শনের তারিখ: ৯ জুলাই ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ক খ গ সবার জন্য খুলে গেল কুড়িল উড়ালসেতু[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০৪, ২০১৩ তারিখে কারওয়ান বাজার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |