কাশ্মীরের পাঠান (কাশ্মীরি পাঠানও বলা হয়) এর মধ্যে পশতুন লোক (পাঠান) অন্তর্ভুক্ত যারা এখনও পশতুনওয়ালিকে অনুসরণ করতে পারে ও তাদের মাতৃভাষা হিসাবে পশতু বলতে পারে যারা জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে। যদিও কাশ্মীর জুড়ে প্রচুর সংখ্যক লোক রয়েছে যারা কাশ্মীরে আফগান শাসনের অধীনে এই অঞ্চলে স্থানান্তরিত পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে পশতুন বংশোদ্ভূত বলে দাবি করে। যদিও সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন, সারসরি অনুমান এই পাঠান বা পশতুনদের সংখ্যা ১০০,০০০-এর উপরে হতে পারে।[১] এই পাঠানদের মধ্যে অনেকেই সময়ের সাথে সাথে কাশ্মীরিয়তকে গ্রহণ করেছে এবং কাশ্মীরি ভাষাকে তাদের দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ব্যবহার করেছে, যদিও কিছু লোক পশতুনওয়ালি রীতিনীতি ও পশতুন সংস্কৃতির দিকগুলি অনুসরণ করে এবং পশতু সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে চর্চা করে, তাদের বেশিরভাগই গান্দেরবাল (গুটলিবাগ) জেলায় বসবাস করে এবং অনন্তনাগ, কিশতওয়ার জেলা, বারামুল্লা (উরি, শেরি, কালেবান) ও কুপওয়ারা (হাইহামা) জেলাতেও পাঠান রয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে প্রচুর সংখ্যক পশতুভাষী পশতুন রয়েছে। যদিও তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, তবে এটি কমপক্ষে ১০০,০০০-এরও বেশি কারণ এটি জানা যায় যে, ১৯৫৪ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় বসবাসকারী ১০০,০০০-এরও বেশি যাযাবর পুখতুনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে জিরগা প্রায়ই অনুষ্ঠিত হয়। কাশ্মীর উপত্যকায় বসতি স্থাপন কারী ও বসবাসকারীরা পশতু ভাষায় কথা বলে এবং এদের প্রধানত উপত্যকার দক্ষিণ-পশ্চিমে পাওয়া যায়, যেখানে সময়ে সময়ে পশতুন উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Pakhtoons in Kashmir"The Hindu। ২০ জুলাই ১৯৫৪। ৯ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১২