কাবুল পতন (২০২১)
কাবুল পতন বলতে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বর্তমান ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার কর্তৃক দখল করাকে বোঝানো হয়। আমেরিকার সাথে তালেবান নেতৃবৃন্দের শান্তিচুক্তি হওয়ার পর আগস্টে তালেবান গোটা দেশে ব্যাপক হামলা শুরু করে। ফলে তৎকালীন আফগান সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্য আত্মসমর্পণ করতে শুরু করে। দেশের অধিকাংশ বড় বড় শহর দখলে নেওয়ার পর তালেবান স্পেশাল ফোর্স ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে তালেবান কাবুলে রক্তপাত চায় না বলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায়।[৬] [৭][৮] ফলে সম্পূর্ণ বিনা রক্তপাতে পরিপূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কাবুলকে তালেবান বিদ্রোহীদের হাতে সমর্পণ করা হয়। [৯][১০]
কাবুল অবরোধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: আফগানিস্তান যুদ্ধ (২০০১–২০২১) এর ২০২১ সালের তালেবান আক্রমণ | |||||||
তালেবান কর্তৃক কাবুল দখলের পর সেখানকার জনগণ হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তান ত্যাগের চেষ্টা করছে | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
তালিবান |
আফগানিস্তান সমর্থন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
আবদুল গনি বারাদার[৩] মুহাম্মাদ সুহাইল শাহীন[৪] |
আশরাফ গনি (পলায়ন) আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বিসমিল্লাহ খান মুহাম্মাদি | ||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||
তালেবান |
আফগান জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনী (এএনএসএফ) |
পটভূমি
সম্পাদনা২০০১ সালে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে উৎখাত করে নিজের মিত্র সরকারকে ক্ষমতায় বসায়। ফলে তালেবান যোদ্ধারা শহর ছেড়ে গ্রাম ও পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ২০০৫ সালে তালেবান যোদ্ধারা পুনরায় সংগঠিত হতে থাকে এবং আমেরিকান বাহিনী ও তাদের মিত্র তৎকালীন আফগান বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে দেয়। এভাবে ২০১৪ সালে হামলা আরো বৃদ্ধি পায়। ফলে একপ্রকার নিরুপায় হয়ে ২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবান নেতাদের সাথে কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিচুক্তি করোন। শান্তিচুক্তির ফলে বেশিরভাগ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সাথে সাথে তালেবান এবং সহযোগী গোষ্ঠীগুলি ২০২১ সালের ১লা মেতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। দেশজুড়ে আফগান সেনাবাহিনী দ্রুততার সাথে পরাজিত হতে থাকে এবং আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাত্র দুটি ইউনিট চালু থাকে: ২০১ নং দল এবং ১১তম বিভাগ। উভয়টিই কাবুলে অবস্থিত। তালেবান বাহিনী মিহতারলাম, শরণ, গার্দেজ, আসাদাবাদ এবং অন্যান্য শহর এবং পূর্বের জেলাগুলি দখল করার পর রাজধানী শহরটি ঘেরাও করে এবং ১৫ আগস্ট তাদের সামনে কাবুল পদানত হয়। [১০]
ফলাফল
সম্পাদনাকাবুল পতনের ফলে তৎকালীন আফগানিস্তান সরকারের পতন ঘটে। তাদের বড় বড় নেতা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণিও রাতের আধাঁরে দেশ ত্যাগ করেন। তালেবান কেন্দ্রীয় ক্ষমতা দখল করে নতুন সরকার গঠন করে। [৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Afghan president flees the country as Taliban move on Kabul"। AP NEWS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ "Afghan President Ghani leaves country - reports"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ "The Taliban's terrifying triumph in Afghanistan"। Economist। ১৫ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "'At the gates': Taliban ready to take Afghan capital"।
- ↑ ক খ Roggio, Bill (১৪ আগস্ট ২০২১)। "Taliban encircling Afghan capital Kabul, prepping final assault through east"। FDD's Long War Journal। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Mistlin (now), Alex; Sullivan (earlier), Helen (২০২১-০৮-১৫)। "Afghanistan: Kabul to shift power to 'transitional administration' after Taliban enter city – live updates"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ "Afghanistan: Heavy fighting ongoing on the outskirts of Kabul as of early Aug. 15; a total blackout reported in the city"। ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ক খ "Taliban enter Kabul, await 'peaceful transfer' of power"। AP NEWS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ "Afghanische Regierung kündigt friedliche Machtübergabe an"। FAZ। ১৫ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ক খ ডেস্ক, প্রথম আলো। "কাবুল দখল, প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৯।