কাজী ফিরোজ রশীদ
কাজী ফিরোজ রশীদ (জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক ও ঢাকা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
কাজী ফিরোজ রশীদ | |
---|---|
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ আগস্ট ১৯৮৯ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ – ৯ আগস্ট ১৯৮৯ | |
বাংলাদেশের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ মার্চ ১৯৮৮ – ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | |
বাংলাদেশের নৌপরিবহন উপমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ আগস্ট ১৯৮৭ – ২৭ মার্চ ১৯৮৮ | |
ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ – ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মিজানুর রহমান খান দিপু |
উত্তরসূরী | সাঈদ খোকন |
গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | শেখ হাসিনা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
পিতামাতা | কাজী মোজাফ্ফর হোসেন (পিতা), সুফিয়া খানম (মাতা) |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাকাজী ফিরোজ রশীদ ১৯৪৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার কাজী মোজাফ্ফর হোসেন ও মাতার নাম সুফিয়া খানম।[১]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাকাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২][৩]
এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি ১০ আগস্ট ১৯৮৭ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত নৌপরিবহন উপমন্ত্রী ছিলেন।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২৭ মার্চ ১৯৮৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ থেকে ৯ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও ৯ আগস্ট ১৯৮৯ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪][৫]
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ সিনেমা হল মালিক অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।
বিতর্ক
সম্পাদনাকাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীর বাড়ী দখলের অভিযোগ রয়েছে, যে বাড়িতে তিনি ভাড়া ছিলেন।[৬] ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে কানাডার সাবেক হাই কমিশনার মোহাম্মদ আলীর জমি জালিয়াতির জন্য মামলা করে। তিনি ১৯৭৯ সালে জমির জাল দলিল তৈরি করেছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করলে তা হাইকোট বিভাগ খারিজ করে দেয়।[৭] ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তার মামলা চলমান রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ User, Super। "Constituency 179_10th_Bn"। www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ"। প্রথম আলো। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।
- ↑ "কাজী ফিরোজ রশীদের রিট খারিজ, মামলা চলতে বাধা নেই"। NTV Online। ২০১৮-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১।