কাগজের ফুল

অসম্পূর্ণ বাংলাদেশী মহাকাব্যিক-নাট্য চলচ্চিত্র

কাগজের ফুল একটি অসম্পূর্ণ বাংলাদেশী মহাকাব্য নাট্য চলচ্চিত্র।[১] এটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের বাবার জীবন অবলম্বনে নির্মিতব্য চলচ্চিত্র।[২] তারেকের গল্প অবলম্বনে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তারেক এবং ক্যাথরিন মাসুদ[৩]

কাগজের ফুল
প্রযোজকগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
রচয়িতাতারেক মাসুদ
চিত্রনাট্যকার
কাহিনিকারতারেক মাসুদ
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তিমুক্তি পায় নি
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

পটভূমি সম্পাদনা

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট, তারেক মাসুদ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীর কাগজের ফুল চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের স্থান পরিদর্শনের শেষে মানিকগঞ্জ থেকে ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।[১][৪] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রটি নির্মাণে তার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।[৫][৬][৪] হাসিনা বলেন, মাসুদের "মুক্তির গান (১৯৯৫) ছিল অন্ধকারে একটি আলোর রশ্মি ।"[৫][৬][৪] তিনি আরো বলেন, "কাগজের ফুল চলচ্চিত্রের নির্মাণ শেষ করতে আমি আমার সমর্থন বাড়িয়ে দেব।"[৭]

প্রাক-নির্মাণ সম্পাদনা

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ এবং কলকাতার চলচ্চিত্রের শুটিং লোকেশন নির্ধারিত হয়েছিল।[৮] ২০১২ সালে, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পুরস্কার প্রদান করে।[৯] জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করবেন।[১০]

পরবর্তীকাহিনি সম্পাদনা

চলচ্চিত্রটির পরবর্তীকাহিনি হিসেবে ২০০২ সালে মাটির ময়না মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে তারেক মাসুদের ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। কাগজের ফুল চলচ্চিত্র মাসুদের বাবার ছেলেবেলার প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত, যেখানে ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় তার বাবার তরুণ জীবনের প্রতিচ্ছবি রচিত হয়েছে, যিনি মাটির ময়না চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র ছিলেন। কাগজের ফুল চলচ্চিত্রটি মূলত কলকাতার দাঙ্গা এবং বঙ্গভঙ্গের কারণে কাজির চরিত্রের রূপবিন্যাস।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. শাহ, জাহাঙ্গীর (১৬ আগস্ট ২০১১)। "Kagojer Phool: An unfinished project" (ইংরেজি ভাষায়)। মানিকগঞ্জ: দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  2. ওহলমাখার, জুডিথা (২৮ আগস্ট ২০১১)। "Bangladesh on the Big Screen" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি বিস্ট। ২৯ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  3. খালিদ, সাদিয়া (৫ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Remembering Tareque Masud: Catherine recalls her 'Cinema Ferry-wala' on his 62nd birthday" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  4. "Kagojer Phool: For art's sake"দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ আগস্ট ২০১১। ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  5. "তারেক মাসুদের 'কাগজের ফুল' নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার আশ্বাস"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০ 
  6. "Govt to assist 'Kagojer Phool' creation" (ইংরেজি ভাষায়)। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ আগস্ট ২০১১। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  7. "PM to help complete Tareque's last film" (ইংরেজি ভাষায়)। প্রিয় নিউজ। ২৫ আগস্ট ২০১১। ৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  8. সাইমন, কামার আহমাদ (৯ আগস্ট ২০১২)। "কাগজের ফুল ও তারেক মাসুদ"দৈনিক প্রথম আলো। ২০ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০ 
  9. "INTERNATIONAL GRANTS" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যাথরিন মাসুদ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  10. "Kagojer Phool was to be the prequel to Matir Moina" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা মিরর। ১৯ আগস্ট ২০১১। ৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা