কাকাবাবু হেরে গেলেন?

কাকাবাবু হেরে গেলেন? ১৯৯৫ সালের একটি বাংলাভাষী রহস্যকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র। এই ছবিটি মূল কাহিনীকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরিচালক ছিলেন পিনাকী চৌধুরী। উল্লেখ থাকে যে কাকাবাবু সিরিজের এটি দ্বিতীয় ছায়াছবি (তপন সিংহসবুজ দ্বীপের রাজার পরে)। ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেণ্ট কর্পোরেশনের প্রযোজনায় এই ছবিতে কাকাবাবু চরিত্রে অভিনয় করেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।[১][২]

কাহিনী সম্পাদনা

ছবির শুরুতেই দেখা যায় গোয়ার গির্জার একজন পুরোহিত একটি বহুমূল্য জিনিস লুকিয়ে নিয়ে পালাচ্ছেন এবং রেখে দিচ্ছেন গ্রেগরি রাওয়ের কাছে। ভারতের স্বাধীনতার আগে সেটিকে ইংরেজরা ভ্যাটিকান সিটিতে পাঠাবার ব্যবস্থা করেছিল তাই সেটিকে চুরি করে নিতে আসেন পুরোহিত। গ্রেগরি রাও আসলে বাঙালি, যিনি কাকাবাবু অর্থাৎ রাজা রায়চৌধুরীর পরিচিত বিমানের খৃষ্টান দাদু। এর বহু বছর পরে বিমান এবং তার ভায়েরা মামাদের অত বড় পুরোনো বাড়ি সংরক্ষণ করতে না পেরে তা বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। নতুন ক্রেতা তা ভেঙ্গে ফেলে নতুন বাড়ি করবার আগে বিমান চায় সেখানে অন্তত কাকাবাবুকে ঘুরিয়ে আনতে কারণ প্রাচীন ঐতিহ্যশালী জিনিসের ওপর কাকাবাবুর ঝোঁক আছে। কাকাবাবু যেতে রাজি হন কিন্তু সন্তু পরীক্ষার কারণে যেতে পারেনা। পরের দিনই বিমান, বিমানের স্ত্রী দীপা, কাকাবাবু এবং বিমানের পরিচিত অসিত ধর, যিনি পুরোনো জিনিস সংগ্রহ করেন, রওনা দেন আলিনগরের উদ্দেশ্যে। কাকাবাবুরা বিমানের মুখে শোনেন তাদের পুর্বপুরুষদের কাহিনী। সারা বাড়ি খুঁজেও কেউ কোনো গুপ্তধনের সন্ধান পায়না কিন্তু বুদ্ধিমান অসিত ধর পেয়ে যান এক বহুমূল্য সম্পদ। কাকাবাবু সিঁড়িতে পড়ে আঘাত পান। তিনি সন্তুকে বলেন অসিত ধরকে কলকাতায় নজরে রাখতে। কেউ দামী সামগ্রী কিছু খুঁজে পায়নি ওই পুরোনো বাড়ি থেকে কিন্তু অসিত পেয়েছিলেন একটি বই, যেটি গুটেনবার্গ বাইবেল। পৃথিবীর প্রথম ছাপাখানায় মুদ্রিত প্রথম বই যার একটি কপি গোয়ার চার্চ থেকে লুকিয়ে নিয়ে এসেছিলেন এক পুরোহিত যার থেকে পান বিমানের পাগল খৃষ্টান দাদু। সেটি অসিত বিদেশে পাচার করার ব্যবস্থা করলে বিমানবন্দরে তাকে আটকাবার চেষ্টা করেন কাকাবাবু।[২]

অভিনয় সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Kakababu Here Gelen (1995)"imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭ 
  2. "কাকাবাবু হেরে গেলেন?"। পুঁচকেপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭