ফজলুল কবির চৌধুরী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
(এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী (১ নভেম্বর ১৯১৭—৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭২) ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ভ্রাতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্থানের স্পীকার ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম পোর্ট-ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান, মেরিন এন্ড মার্কেন্টাইল একাডেমীর গভর্নর ও চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক কাউন্সিলের কাউন্সিলর ছিলেন।[] তিনি সক্রিয় রাজনীতি ছাড়াও বহু জনহিতকর কাজ ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।[]

ফজলুল কবির চৌধুরী
জন্ম
এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী

(১৯১৭-১১-০১)১ নভেম্বর ১৯১৭
মৃত্যু৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭২(1972-09-09) (বয়স ৫৪)
ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ
সন্তানএ. বি. এম. ফজলে করিম চৌধুরী
পিতা-মাতা
  • খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরী (পিতা)
  • বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরী (মাতা)
আত্মীয়ফজলুল কাদের চৌধুরী (ভাই)

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

ফজলুল কবির চৌধুরী ১ নভেম্বর ১৯১৭ সালে চট্টগ্রাম রাউজানের গহিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ও মাতা বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরী।[]

তিনি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন শাস্ত্রে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

তার ছেলে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

ফজলুল কবির চৌধুরী ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান।

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট। এছাড়া তিনি রাউজান গহিরা শান্তির দ্বীপের ও রাউজান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম নাইট কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জনাব চৌধুরী একক প্রচেষ্টায় ১৯৬৩ সালে রাউজান কলেজ এবং ১৯৬২ সালে রাউজানের গহিরায় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী বেলজিয়ামের ডমিনিক পীয়ের অনুদানে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তির দ্বীপ।[]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কালে ভূমিকা

সম্পাদনা

ফজলুল কবির চৌধুরী ও তার ভাই ফজলুল কাদের চৌধুরী শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ উত্থাপিত ছয় দফার বিরোধী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।[][]

মৃত্যু

সম্পাদনা

এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. কাল আলহাজ এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], প্রকাশিত হয়েছেঃ দৈনিক পূর্বকোণ, প্রকাশের তারিখঃ ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫।
  2. রাজনীতিবিদ ফজলুল কবির চৌধুরীর ৪৩ তম মৃত্যুবাষির্কী আজ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, প্রকাশিত হয়েছেঃ Ctg Post.com, প্রকাশের তারিখঃ ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫।
  3. একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর ৪৩ তম মৃত্যুবাষির্কীতে মানুষের ঢল, ফেইস বুক।
  4. মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান (২০১২)। "চৌধুরী, ফজলুল কাদের"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "তালিকায় ফজলে করিম ও আমীর খসরুর বাবা"দৈনিক সময়ের আলো। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯। ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৩