এরিক অ্যাটকিনসন

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

এরিক সেন্ট ইভাল অ্যাটকিনসন (ইংরেজি: Eric Atkinson; জন্ম: ৬ নভেম্বর, ১৯২৭ - মৃত্যু: ২৯ মে, ১৯৯৮) ক্রাইস্টচার্চের রকলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

এরিক অ্যাটকিনসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএরিক সেন্ট ইভাল অ্যাটকিনসন
জন্ম৬ নভেম্বর, ১৯২৭
রকলি, ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস
মৃত্যু২৯ মে, ১৯৯৮
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কডিএস অ্যাটকিনসন (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৭)
১৭ জানুয়ারি ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৬ মার্চ ১৯৫৯ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৯
রানের সংখ্যা ১২৬ ৬৯৬
ব্যাটিং গড় ১৫.৭৫ ২১.৭৫
১০০/৫০ -/- -/৩
সর্বোচ্চ রান ৩৭ ৭৭
বল করেছে ১৬৩৪ ৪১৯৭
উইকেট ২৫ ৬১
বোলিং গড় ২৩.৫৫ ২৬.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৪২ ৬/১০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ১৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ এপ্রিল ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন এরিক অ্যাটকিনসন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত এরিক অ্যাটকিনসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। যুবক বয়সে দূর্ধর্ষ বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এরিক অ্যাটকিনসন মূখ্যতঃ সিম বোলার হিসেবে খেলতেন। তবে, বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম খেলায় তেমন সফলতা পাননি। প্রথম নয় খেলায় তিনি মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর, ফাস্ট-মিডিয়াম সুইং বোলিংয়ে দলে স্থান নিশ্চিত করেন। তারপূর্বে অন্য কেউ রিভার্স সুইংয়ের প্রয়োগ করেননি।

১৯৪৯-৫০ মৌসুমে বার্বাডোসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এরিক অ্যাটকিনসনের অভিষেক ঘটে। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ই.ডব্লিউ. সোয়ানটন একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৭ রান তুলেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে বার্বাডেসর পক্ষে ১১ খেলায় অংশ নিয়ে ২৯.৩৭ গড়ে ৪১১ রান ও ৯৬.০০ গড়ে ৫ উইকেট পান। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমের প্রথম খেলাতে সফররত পাকিস্তান একাদশের বিপক্ষে তার খেলায় ছন্দ ফিরে আসে। ৪/৭০ লাভ করেন তিনি।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এরিক অ্যাটকিনসন। ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে ৩০ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। ২৬ মার্চ, ১৯৫৯ তারিখে লাহোরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ডেনিস অ্যাটকিনসন তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন। সফররত পাকিস্তানি একাদশের বিপক্ষে অনুশীলনীমূলক খেলায় অংশগ্রহণের অল্প কিছুদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ সময়ে তাকে কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্বমূলক দলের পক্ষে খেলতে দেখা যেতো।

১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ব্রিজটাউনে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে এরিক অ্যাটকিনসনের অভিষেক ঘটা টেস্টটিই ডেনিস অ্যাটকিনসনের সর্বশেষ টেস্ট ছিল। এরফলে, এ দু’জন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তৃতীয় জোড়া ভ্রাতা হিসেবে গ্র্যান্টস্টলমেয়ার ভাইদের পর টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

এক মাস পর সাবিনা পার্কে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা টেস্ট বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। কিংস্টনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ৫/৪২ পান। এরপর, গ্যারি সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫ রান তুলে টেস্ট রেকর্ড গড়েন ও পাকিস্তান দলকে ইনিংস ও ১৭৪ রানে পরাভূত করেন।[২] গ্যারি সোবার্সের কারণে তার এ সাফল্য ম্লান হয়ে যায়।

ভারত গমন সম্পাদনা

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ভারত ও ইংল্যান্ড গমন করেন। ভারতের বিপক্ষে তিনটি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার পর অবসর গ্রহণ করেন। লাহোরে নিজস্ব শেষ টেস্টে ১২-৮১৫-৩ বোলিং পরিসংখ্যান করে পাকিস্তানকে ১০৪ রানে গুটিয়ে দেন ও দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।

ভারত সফরকালে পূর্ব অঞ্চলদক্ষিণ অঞ্চলের বিপক্ষে মাত্র ৭.২৫ গড়ে ১২ উইকেট লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/২০ পান। এ পর্যায়ে ওয়েস হলের সাথে বোলিং আক্রমণে নেমে অপরিবর্তিত অবস্থায় পূর্ব অঞ্চলকে ৩৯ রানে গুটিয়ে দেন।[৩]

এক বছরব্যাপী টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ২৫ উইকেট পেয়েছিলেন। জীবনের শেষদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। ২৯ মে, ১৯৯৮ তারিখে ৭০ বছর বয়সে এরিক অ্যাটকিনসনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা