এমআরটি লাইন ৫ (সাউদার্ন রুট)
সাউদার্ন রুট হলো ঢাকা মেট্রোরেলের অনুমোদিত এমআরটি লাইন ৫ রেলপথের একটি শাখা; এর অন্য শাখা হলো নর্দার্ন রুট। এই রুটটি বর্তমানে পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। সাউদার্ন রুটের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুন মাসে শুরু হবে এবং ২০৩০ বা ২০৩১ সালের মধ্যে চালু করার কথা রয়েছে।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন ৫ সাউদার্ন রুট | |||
---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
স্থিতি | অনুমোদিত | ||
মালিক | সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ | ||
অঞ্চল | ঢাকা, বাংলাদেশ | ||
বিরতিস্থল |
| ||
স্টেশন | ১৫ | ||
মানচিত্রে রং | ■ কমলা (#EE830B) | ||
পরিষেবা | |||
ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা | ||
ব্যবস্থা | ঢাকা মেট্রোরেল | ||
পরিচালক | ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড | ||
ডিপো | দাশেরকান্দি, বাড্ডা থানা | ||
কারিগরি তথ্য | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ১৭.৩ কিলোমিটার (১০.৭ মা) | ||
ট্র্যাকসংখ্যা | ২ | ||
বৈশিষ্ট্য | উড়াল ও পাতাল | ||
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি) আদর্শ গেজ | ||
|
ইতিহাস সম্পাদনা
২০০৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বাংলাদেশ সরকারকে তারা ঢাকায় একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুপারিশ করে। একই বছর মার্কিন পরামর্শক ফার্ম লুই বার্জার গ্রুপ ঢাকার জন্য একটি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা তৈরি করে।[১] বিশ্বব্যাংক এই পরিকল্পনাটি তৈরি করতে সহায়তা করে যা ঢাকায় পাঁচটি এমআরটি লাইন নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলো।[২] সেই পাঁচটি মেট্রো লাইন ছিল এমআরটি লাইন ১, এমআরটি লাইন ২, এমআরটি লাইন ৪, এমআরটি লাইন ৫ এবং এমআরটি লাইন ৬।[৩] ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাথে ৩.৩২৬ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাক-নির্মাণ কাজের জন্য একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা প্রয়োজনীয় অর্থের ৭৪.৬০% ছিলো।[৪] ২৯ মার্চ ২০২১-এ ইজিআইএস রেল এসএ, এজিস ইন্ডিয়া কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ওরিয়েন্টাল কনসাল্টেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড এবং এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড রুটের পরামর্শের জন্য ডিএমটিসিএলের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিগুলো যৌথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত নকশা ও রুটের জন্য প্রকিউরমেন্টের কাজ করে।[৫] প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে ত্রিমোহনী সেতু এলাকা পর্যন্ত সাউদার্ন রুট নির্ধারণ করা হয়। এই যাত্রাপথে গণভবনের নিকটস্থ কলেজ গেট ও আসাদ গেটে দুটি ভূগর্ভস্থ স্টেশনের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। ডিএমটিসিএল এই দুটি স্টেশনের অবস্থান নির্ধারণের জন্য একটি জরিপ করার পরিকল্পনা করেছিলো। গুরুত্বপূর্ণ ভবনের কাছাকাছি জরিপ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমতি নেওয়া দরকার ছিলো। ২০২২ সাল পর্যন্ত রুটের এ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণে জটিলতা সমাধানের জন্য একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।[৬] সাউদার্ন রুট নির্মাণ প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয় ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে এডিবি ৫৩.১৯% প্রদান করবে বলে আশা করা হয়েছিলো। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে এক অংশীদার সভায় সরকার এডিবিকে ৬.৩৮% বেশি অর্থ প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছিলো।[৭] প্রকল্পের আওতায় গাবতলী ও দশেরকান্দিতে দুটি ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড হাব নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে রুটটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।[৮]
যাত্রাপথ সম্পাদনা
এমআরটি লাইন ৫-এর সাউদার্ন রুটে ১৫টি প্রস্তাবিত স্টেশন রয়েছে। ৪টি স্টেশন পাতালে ও ১১টি স্টেশন উড়ালে নির্মাণ করা হবে।
কোড | নাম | সংযোগ | অবস্থান | চালু |
---|---|---|---|---|
১ | গাবতলী | এমআরটি লাইন ২ এমআরটি লাইন ৫উ |
মিরপুর থানা | পরিকল্পিত |
২ | টেকনিক্যাল | দারুস সালাম থানা | ||
৩ | কল্যাণপুর | কল্যাণপুর থানা | ||
৪ | শ্যামলী | আদাবর থানা | ||
৫ | কলেজগেট | তেজগাঁও থানা | ||
৬ | আসাদগেট | মোহাম্মদপুর থানা | ||
৭ | রাসেল স্কয়ার | ধানমন্ডি থানা | ||
৮ | কারওয়ান বাজার | এমআরটি লাইন ৬ | তেজগাঁও থানা | |
৯ | হাতিরঝিল | হাতিরঝিল থানা | ||
১০ | তেজগাঁও | তেজগাঁও থানা | ||
১১ | আফতাবনগর | এমআরটি লাইন ১ | গুলশান থানা | |
১২ | আফতাবনগর সেন্টার | |||
১৩ | আফতাবনগর পূর্ব | |||
১৪ | নাসিরাবাদ | বাড্ডা থানা | ||
১৫ | দাশেরকান্দি |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ রহমান, শামীম (২৩ ডিসেম্বর ২০২২)। "পুরোটাই উড়ালপথে নির্মাণ ভারতের 'মেট্রো ম্যান' শ্রীধরনের পরামর্শে"। বণিক বার্তা। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ জামান, শেখ শাহরিয়ার (২৫ ডিসেম্বর ২০২২)। "মেট্রোরেল ছিল বিরাট এক চ্যালেঞ্জ"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন হচ্ছে"। কালের কণ্ঠ। ১৪ অক্টোবর ২০১৯। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৩।
- ↑ করিম বাইরন, রেজাউল (১২ ডিসেম্বর ২০১৯)। "Another MRT line in the offing"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩।
- ↑ সুলতানা, মুনিমা (৩১ মার্চ ২০২১)। "General consultant appointed for studying another metro rail"। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩।
- ↑ ইসলাম, তৌহিদুল (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "গণভবনের সামনে মেট্রোরেলের স্থান নির্ধারণে জটিলতা"। আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩।
- ↑ "এমআরটি লাইন-৫ : এডিবির কাছে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার চায় সরকার"। ঢাকা পোস্ট। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩।
- ↑ "এমআরটি-৫-এর কাজ শুরু হতে পারে আগামী বছরের জুনে"। কালের কণ্ঠ। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩।