এইচআইভি এবং এইডস সংক্রান্ত জাতিসংঘের যৌথ কর্মসূচি (ইউএনএইডস)
এইচআইভি এবং এইডস সংক্রান্ত জাতিসংঘের যৌথ কর্মসূচি (ইউএনএইডস) হলো এইচআইভি বা এইডস মহামারির বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত এজেন্সি।
এইচআইভি এবং এইডস সংক্রান্ত জাতিসংঘের যৌথ প্রোগ্রাম | |
---|---|
সংস্থার ধরন | জাতিসংঘ, যৌথ প্রোগ্রাম |
মর্যাদা | চলমান |
প্রধান কার্যালয় | জেনেভা, সুইজারল্যান্ড |
ওয়েবসাইট | unaids.org |
ইউএনএইডসের লক্ষ্য হলো এইচআইভি এবং এইডস বিস্তার প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন, শক্তিশালীকরণ এবং সমর্থন করা, যাতে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ, আক্রান্তদের সেবা, যত্ন ও সহায়তা প্রদান, এই সংক্রান্ত ব্যক্তিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন এবং মহামারির প্রভাব লাঘব করার বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্তিকরণ। ইউএনএইডস-এর প্রধান লক্ষ্য হল এইচআইভি/এইডস মহামারিকে একটি মারাত্মক মহামারি হিসেবে রূপান্তরিত হওয়া থেকে রোধ করা।
ইউএনএইডস-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কিছু কর্মসূচি একসাথে বাস্তবায়ন করছে। এটি জাতিসংঘ উন্নয়ন গোষ্ঠী সদস্য।[১] বর্তমানে উইনি বায়ানইমা[২] ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালকরা হলেন পিটার পিয়ট (১৯৯৫–২০০৮) এবং মিশেল সিদিবে (২০০৯–২০১৯)।[৩]
ইউএনএইডস নিয়মিতভাবে এইডস মহামারির অবস্থা, এইচআইভি নির্মূলের পরিকল্পনা এবং এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।[৪]
এজেন্সিটি ১৯৯৪ সালে প্রণীত এবং ২০০১ ও ২০০৬ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত GIPA (এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকতর সম্পৃক্ততা) নীতিকে সমর্থন করে।[৫]
লক্ষ্যসমূহ
সম্পাদনা- এইডস মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য নেতৃত্ব ও সমর্থন প্রদান;
- বিশ্বব্যাপী এইডসের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকে দিকনির্দেশনা দিতে কৌশলগত তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান;
- মহামারি এবং তার প্রতিক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ, অনুসরণ ও মূল্যায়ন;
- নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের উন্নয়ন;
- কার্যকর প্রতিক্রিয়া সমর্থন করার জন্য সম্পদ সংগ্রহ।
ভূমিকা
সম্পাদনাইউএনএইডস-এর লক্ষ্য হলো এইচআইভি/এইডস-এর বিরুদ্ধে বিস্তৃত প্রতিক্রিয়া প্রদান করা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন খাত ও অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে সম্পৃক্ত করা।
২৬ জুলাই ১৯৯৪ তারিখে ইকোসক (জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ) রেজ্যুলিউশন ১৯৯৪/২৪ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইউএনএইডস আনুষ্ঠানিকভাবে জানুয়ারি ১৯৯৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। এই সংস্থাটি একটি প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটিং বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে সকল ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে ২২টি সরকারের প্রতিনিধি, ইউএনএইডস-এর সহ-স্পনসর এবং পাঁচটি বেসরকারি সংস্থা (সিএসও - সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন) এর প্রতিনিধি, যার মধ্যে এইচআইভি/এইডস নিয়ে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইতিহাস
সম্পাদনাইউএনএইডস আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের রেজ্যুলিউশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়[৬] এবং ১৯৯৬ সালে চালু হয়, ইউএনএইডস-এর মূল পত্তন ১৯৮১ সালে এইচআইভি/এইডস-এর প্রথম নথিভুক্ত কেস থেকে শুরু করে, ১৯৮৬ সালে ডায়েটমার বোলি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ পিপল লিভিং উইথ এইচআইভি/এইডস ("জিএনপি+") এর মাধ্যমে বিস্তৃত হয়। বোলি একজন এইচএইভি পজিটিভ বিশেষজ্ঞ নার্স এবং অ্যাকটিভিস্ট ছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে এইচআইভি/এইডস নিয়ে বসবাসকারী মানুষদের সংযুক্ত করা।[৭]:১১[৮]
উৎপত্তি: ১৯২০-এর দশক থেকে ১৯৮০ এবং এইচআইভি/এইডস সংকটের পূর্বে
সম্পাদনাধারণা করা হয়, ১৯২০-এর দশকে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে মানুষের দ্বারা সিমিয়ান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এসআইভি)-এ আক্রান্ত শিম্পাঞ্জি খাওয়ার মাধ্যমে প্রথম এইচআইভি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এসাইভি একটি ভাইরাস, যা এইচআইভি-এর মতোই।[৯] বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে যে, শিম্পাঞ্জিরা লাল-টুপিওয়ালা ম্যাঙ্গাবে এবং গ্রেটার স্পট-নোজড বানর নামে দুটি ছোট প্রজাতির বানর শিকার করে এবং খায়, যেগুলোর মধ্যে SIV-এর দুটি ধরন বিদ্যমান। এই দুই ধরন একত্রিত হয়ে "SIVcpz" ভাইরাসে রূপান্তরিত হয়, যা প্রায় এইচআইভি-এর মতো এবং পরবর্তীতে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।[১০]
প্রথম "নিশ্চিত" এইচআইভি-এর ঘটনা ১৯৫৯ সালেটকঙ্গোতে বসবাসকারী এক ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে পুনরায় সনাক্ত করা হয়। তবে ধারণা করা হয়, লক্ষণ ও মৃত্যুর প্যাটার্ন অনুযায়ী আরও বেশ কিছু এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা পূর্বে ছিল।[৯]
১৯৮১: প্রথম এইডস কেসের প্রতিবেদন
সম্পাদনাপ্রথমবারের মতো এইডসের ঘটনা ৫ জুন ১৯৮১-এ মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর সাপ্তাহিক মহামারী বিষয়ক ডাইজেস্ট মরবিডিটি অ্যান্ড মরটালিটি উইকলি-তে রিপোর্ট করা হয়,[৭][১১] যেখানে পাঁচজন রোগীর বিরল নিউমোনিয়ার ঘটনা এবং "একটি সাধারণ সংস্পর্শে আসার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি, যা নিউমোনিয়া এবং ক্যানডিডিয়াসিস-এর মতো রোগে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়" এমন একটি সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছিল।[১১] ১৯৮২ সালে, সিডিসি "এইডস" বা অ্যাকোয়ার্ড ইম্যুন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম শব্দটি গ্রহণ করে। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন বেলজিয়াম এবং ফ্রান্স, এবং আফ্রিকার দেশগুলো জায়ার, কঙ্গো, রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, এবং জাম্বিয়া-এর চিকিৎসকরা ১৯৭০-এর দশকে এইচআইভি/এইডস-এর মতো লক্ষণসহ চিকিৎসা কেস দেখতে এবং চিকিৎসা করতে সক্ষম হন।[৭][১২] ১৯৮৫ সালে, সিডিসি এইডস বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন আটলান্টায় আয়োজন করে।[১২][১৩]
১৯৮১–১৯৯৪: ইউএনএইডস প্রতিষ্ঠার পূর্বে বৈশ্বিক পদক্ষেপ
সম্পাদনালিন্ডসে নাইট তার রিপোর্ট "UNAIDS: The first ten years, 1996–2006"-এ ১৯৮০-এর দশকের শুরুর ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সংক্ষেপে উল্লেখ করেছেন:[৭]:৭ "কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে কয়েকটি বিরল রোগ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করে, এমন একটি মহামারীকে নির্দেশ করবে যা বিশ শতকে যুদ্ধে মারা যাওয়া সব মানুষের চেয়েও বেশি প্রাণ কেড়ে নেবে।" তবে, এইচআইভি/এইডস মহামারী এবং সংকটের প্রতি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার গতি ও সফলতার বিষয়ে মতামত বিভিন্ন।
এইচআইভি/এইডস সংকটের জন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নেতৃত্বে আসে, যা প্রথম এইচআইভি/এইডস কেস আবিষ্কার করেছিল। "AIDS: the Early Years and the CDC's Response" শীর্ষক ২০১১ সালের একটি প্রতিবেদনে[১২] যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে সিডিসি-এর দ্রুত ও কার্যকর পদ্ধতি এবং কর্মীদের কারণে প্রথমে এই ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সিডিসি-এর পদ্ধতি, মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ-এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, প্রথম রিপোর্টকৃত ঘটনার ১-২ বছরের মধ্যে নির্ণয়, চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাথমিক সুপারিশগুলি দ্রুত বিকাশ, জারি এবং প্রচার করা সম্ভব হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সিডিসি-এর "চমৎকার নজরদারি, দ্রুত সনাক্তকরণ, উদ্ভাবনী বিজ্ঞান, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিরা" সহ অন্যান্য কারণগুলো "নতুন রোগ বুঝতে এবং প্রতিরোধ করতে মহামারী সংক্রান্ত তদন্তের ক্ষমতাকে চিত্রিত করে" এবং "সিডিসি-এর খ্যাতি এবং কর্মীদের সাফল্য বৈশ্বিক এইডস প্রোগ্রামের গঠনে সহায়তা করেছিল।"[১২]
ইউএনএইডস প্রতিষ্ঠার পূর্বে এইচআইভি/এইডস সংকটের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার সমালোচকরা দাবি করেন যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল ধীরগতি, অপরিকল্পিত, অবহেলিত এবং সংকটকে আরও ত্বরান্বিত করেছে, যা নেতৃত্বের ব্যর্থতা, সুযোগ নষ্ট করা, সময়ের অপচয়সহ অন্যান্য কারণের জন্য আরও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।[৭] একটি বই যা বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং উভয় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে, তাতে বলা হয়েছে যে প্রথম পনেরো বছর ধরে, "বিশ্বের বেশিরভাগ নেতাই, সমাজের সকল ক্ষেত্রে, এই নতুন মহামারীর ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের প্রতি বিস্ময়কর উদাসীনতা প্রদর্শন করেছেন।" বইটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণ – (১) পক্ষপাত ও পূর্বনির্ধারিত ধারণা যে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র যৌনকর্মী, পুরুষ-যারা-পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, মাদক ব্যবহারকারী, অভিবাসী ইত্যাদি কলঙ্কিত সম্প্রদায় থেকে এসেছে, (২) রাজনৈতিক ইস্যু যেমন কিছু দেশ সংকট স্বীকার করতে অনিচ্ছুক ছিল এবং সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিবেদন করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিল, (৩) কিছু রাজনীতিবিদ ভুলভাবে মনে করতেন যে রোগটি শুধুমাত্র নিম্ন আয়ের দেশগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল যাদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই এবং কিছু রাজনীতিবিদ তাদের দেশকে যৌনতা ও মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত করতে ভয় পেতেন – সবগুলো কারণে প্রতিক্রিয়া ধীরগতি হয় এবং গবেষণা, চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য কম তহবিল বরাদ্দ করা হয়, এমন সময়ে যখন আরও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেত। অন্য বিলম্বের কারণগুলোর মধ্যে কিছু বিজ্ঞানী এইচআইভি/এইডস-এর বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগগুলোকে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্কবাদ বলে মনে করতেন।[৭]
দাতা
সম্পাদনাএইচআইভি/এইডস বিষয়ে বৈশ্বিক কার্যক্রমের প্রধান প্রবক্তা হিসেবে ইউএনএইডস এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ, যত্ন ও সহায়তা প্রদান, ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের দুর্বলতা কমানো এবং মহামারীর প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে একটি সম্প্রসারিত প্রতিক্রিয়াকে নেতৃত্ব, শক্তিশালীকরণ এবং সহায়তা প্রদান করে। এই ম্যান্ডেট পূরণে, ইউএনএইডস সরকার, ফাউন্ডেশন, কর্পোরেশন, বেসরকারি গোষ্ঠী (যেমন ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়া ক্লাব ইত্যাদি) এবং ব্যক্তিদের স্বেচ্ছা অনুদান দ্বারা সমর্থিত।
২০০৩ সালে, বিশ্বব্যাপী ৩০টি সরকার, দাতব্য সংস্থা, ব্যক্তি এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান গ্রহণ করা হয়েছিল। বৃহত্তম দাতাগুলি ছিল নেদারল্যান্ডস, এরপরে ছিল নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, যুক্তরাজ্য এবং জাপান। ২০০৪ সালে, ভারতের মতো ৩৫টি সরকার ইউএনএইডসে অবদান রাখে।
২০২০ সালে, ইউএনএইডস ২৪৭.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্বেচ্ছা অনুদান পায়।[১৪] ২০২১ সালে, ২৭টি সরকার কর্তৃক ইউএনএইডস ১৭১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল তহবিল পায়, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৫,০০০,০০০ ডলার অনুদান দিয়ে প্রথম, তারপর সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডস। এর পাশাপাশি, ২০২১ সালে ইউএনএইডসকে ৭৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অন-মূল তহবিল প্রদান করা হয়, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫৩,৮০৭,২৯৪ ডলার এবং এরপরে ছিল ইউএনএফপিএ ও রাশিয়া।[১৪] নভেম্বর ২০২২ সালে, ইউএনএইডসের ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ন্যূনতম কার্যনির্বাহী বাজেটে ৩৫ মিলিয়ন ডলার তহবিলের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা হয়।[১৪] তারা বিশ্বাস করে যে এই পরিস্থিতি ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ এবং মুদ্রা বিনিময় বাজারের পরিবর্তনের কারণে আরো জটিল হয়েছে।[১৫] এক মাস পরে, অস্ট্রেলিয়া ইউএনএইডসের সাথে পাঁচ বছরের একটি অংশীদারিত্বে সম্মত হয় এবং ২০২২ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ২৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করতে অঙ্গীকার করে।[১৫]
ইউএনএইডসের শুভেচ্ছা দূত এবং বৈশ্বিক প্রবক্তারা
সম্পাদনাইউএনএইডস দেশীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটি এবং বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের, তাদের এজেন্ডা এবং নীতিমালা প্রচারের জন্য দূত এবং প্রবক্তা হিসেবে নিযুক্ত করে থাকে।[১৬]
ইউএনএইডসের বেশ কয়েকজন শুভেচ্ছা দূত রয়েছে যারা সংস্থার কাজ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন:[১৭] কোয়ারাইশা আবদুল করিম, মিউং-বো হং, তৌমানি দিয়াবাতে, নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মারিট, মোনাকোর প্রিন্সেস স্টেফানি, নাওমি ওয়াটস, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ভেরা ব্রেজনেভা, ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম,[১৮] চান্তাল বিয়া[১৯] এবং পিয়া ওয়ার্টজবাচ।[১৭][২০]
- ↑ UN Sustainable Development Group। "UNSDG About – Who we are" (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations। ২০ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Winnie Byanyima joins UNAIDS as Executive Director"। unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৩।
- ↑ "UNAIDS congratulates Michel Sidibé on his appointment as Minister of Health and Social Affairs of Mali"। unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৩।
- ↑ "Publications"। www.unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৭।
- ↑ UNAIDS (মার্চ ২০০৭)। Policy Brief: The Greater Involvement of People Living with HIV (GIPA) (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "UN ECOSOC Resolution Establishing UN AIDS" (পিডিএফ)। data.unaids.org।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Knight, Lindsay (২০০৮)। UNAIDS: The first ten years, 1996–2006 (পিডিএফ)। Albany, New York: World Health Organization। আইএসবিএন 978-92-9173-589-1।
- ↑ Turner, Stevie (১৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "Review of 'Wise Before Their Time' by Ann Richardson & Dietmar Bolle"। Lit World Interviews (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ ক খ "Origin of HIV & AIDS"। Avert (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৭-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৭।
- ↑ "History of AIDS"। HISTORY (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২১।
- ↑ ক খ "Pneumocystis Pneumonia --- Los Angeles"। Centers for Disease Control and Prevention। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "AIDS: the Early Years and CDC's Response"। Centers for Disease Control and Prevention। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৪।
- ↑ Staff Writers (২০১৯-১২-১৯)। "HIV and AIDS: An Origin Story"। PublicHealth.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৫।
- ↑ ক খ গ "Top Contributors"। open.unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২০।
- ↑ ক খ "Donors"। www.unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২০।
- ↑ "UNAIDS Ambassadors and Global Advocates"। unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৫।
- ↑ ক খ UNAIDS। "Goodwill Ambassadors and Representatives"। ১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Victoria Beckham visits UNAIDS in Geneva to lend her support to the AIDS response ahead of World AIDS Day"। unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৫।
- ↑ "First Lady of Cameroon Chantal Biya, UNAIDS Special Ambassador"। unaids.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৫।
- ↑ Legaspi, C. Mendez (৩ মে ২০১৭)। "Pia Wurtzbach's dream to become AIDS advocate comes true"। The Philippine Star। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭।